অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার সিটি গেইট হলে ৭ মার্চ, বুধবার বিকালে “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম। পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অষ্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা বায়েজিদ মীর, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, একেএম সওকত আলী, রুহী দাস সাহা, শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, লুৎফর রহমান সুজন, জহিরুল ইসলাম, জহিরুল হক প্রমুখ।
সভায় এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘৭ মার্চ আগুনঝরা দিন। ১৯৭১ সালের এইদিন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেসকোর্স ময়দয়নে ইতিহাসের অনন্য ভাষণটি দেন। মাত্র উনিশ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি গোটা বাঙালির প্রাণের সমস্ত আকুতি ঢেলে দিলেন। তা ছিল, অধিকার-বঞ্চিত বাঙালির শত হাজার বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের উচ্চারণে সমৃদ্ধ। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চ এক অত্যুজ্জ্বল মাইলফলক। আজকের দিনে আমরা শ্রদ্ধা জানাই রাজনীতির অমর কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’
খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, আমাদের জীবনে ৭ই মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসর্কোস ময়দানে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ওই দিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীনতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
বায়েজিদ মীর বলেন, সে দিন ২৩ বছরের পাকিস্তানিদের অত্যাচার-নিপীড়ন আর সীমাহীন বঞ্চনা থেকে মুক্তির জয়বার্তাই কেবল বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেননি বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখাও রয়েছে তাঁর ওই ভাষণে।
সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, ২৩ বছরের পাকিস্তানি শোষণ-নিপীড়ন-নিস্পেষণের জিঞ্জির ভাঙ্গতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ উজ্জীবিত করেছিল বাঙালিদের।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৮ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান