নেপালে ইউএস বাংলা বিমান বিধ্বস্তে বিলকিস আরা মিতু’র মৃত্যুতে নিউইয়র্কের আপস্টেট হাডসন সিটির পুরো কমিউনিটিতে শোক আবহ বিরাজ করছে।
হাডসন সিটির কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজানও ভেঙ্গে পড়েছেন মিতুর মৃত্যু সংবাদে। মিজান বলেন, ‘২০১৫ সালে ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর স্বামী আজিজুল হকের সাথে হাডসন সিটিতেই বসবাস করছিলেন মিতু। পড়ছিলেন নিকটস্থ একটি ভার্সিটিতে। এমন অবস্থায় স্বামীর অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে যান। সেখান থেকে নেপালে রওনা দেন তার সাবেক সহপাঠিদের সাথে। ১৪ মার্চ নেপাল থেকে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় স্বজনের সাথে নিজের জন্মদিন পালনের পরিকল্পনা ছিল মিতুর। এখন সবকিছুই স্মৃতির আয়নায় বন্দি।’ রাজশাহীর সপুরার নওদাপাড়া রোডের গোলাম কিবরিয়া এবং মনোয়ারা বেগমের একমাত্র কন্যা ছিলেন মিতু।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে অনার্স পড়াবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আজিজুল নিউইয়র্কে নার্স হিসেবে কোর্স করে ভালো একটি চাকরি করছেন। অর্জিত অর্থের পুরোটাই ব্যয় করছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করা মিতুর খুশীর জন্য। সেই মিতু বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছেন আজিজুল। স্ত্রী বিলকিস আরা মিতু’র (২৬) লাশ শনাক্ত করে বাংলাদেশে নেওয়ার জন্য আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নেপাল গেছেন স্বামী আজিজুল হক। এদিকে মিতুর জন্য হাডসন কাউন্টির প্রবাসী বাংলাদেশীরাই শুধু নন, ভিনদেশীরাও শোকে মুহ্যমান।
বিডি প্রতিদিন/১৭ মার্চ ২০১৮/হিমেল