বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা রচনায় প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার সংকল্পে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদযাপিত হলো। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে বর্ণাঢ্য এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হোস্ট সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী।
সুব্রত তালুকদারের সঞ্চালনায় ‘সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গোটাদেশের মানুষ আজ উন্নয়নে একীভূত। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়েছে। এর চেয়ে সুখবর আর কী হতে পারে’-উল্লেখ করেন ফরিদা।
নিউইয়র্কে বিভিন্ন সংগঠনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাস-প্রজন্মের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিস্তৃত করতে প্রথম প্রজন্মের এমন আন্তরিকতার বিকল্প নেই। বহুজাতিক এই সমাজে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখতে প্রবাসীদের নানা কর্মসূচি অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছে।’
প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় স্বার্থে প্রবাসীদের মধ্যে সৃষ্ট ঐক্যতানকে এগিয়ে নিতে হবে। তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করা সহজ হবে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
আলোচনায় আরও অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান এবং আবুল হাসিব মামুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, শিল্প সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, ত্রাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ খন্দকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হুসেন, মাসুদ হোসেন সিরাজি, মোর্শেদা জামান এবং হাজী আব্দুল কাদের মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক নূরল আমিন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক শিবলু প্রমুখ।নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন আব্দুল হামিদ, আলী হোসেন গজনবী, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, আশরাফ আলী খান লিটন, মতিন পারভেজ এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতারা।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। খুখির বার্তা নিয়ে। একাত্তরে যে প্রত্যাশায় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ৪৭ বছর পর হলেও সেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছেছে বাঙালিরা এবং এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ মার্চ, ২০১৮/মাহবুব