বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি নিয়ে গবেষণারতদের সমন্বয়ে নিউইয়র্কে ৯-১০ এপ্রিল আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় ‘ক্রাউন প্লাজা জেএফকে এয়ারপোর্ট হোটেল’র বলরুমে ‘সপ্তম আন্তর্জাতিক বিজনেস এ্যান্ড ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স’ শিরোনামে এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যের এবিআরএম (একাডেমি অব বিজনেস এ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট), নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির মেডগার এভার্স কলেজ এবং জার্নাল অব বিজনেস এ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট সিরার্চের সম্মিলিত উদোগে।
গত বছর একই সময়ে একইস্থানে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছে। এবারও ৩০ দেশের অর্থনীতিবিদ-গবেষক-শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়কারি লন্ডনস্থ একাডেমি অব বিজনেস এ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট’র (এবিআরএম) নির্বাহী চেয়ার বাংলাদেশী-বৃটিশ ড. পি আর দত্ত জানান, ‘বিশ্বের মেধাবি সব গবেষকদের সমন্বয়ে এই সম্মেলনে বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম হচ্ছে। সে সব আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ব্যবস্থাপনাও স্থান পাচ্ছে। সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণামূলক আলোচনা হচ্ছে। ড. দত্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ-এটি এখন আর কল্পিত কিছু নয়, বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।’
ড. দত্ত জানান, এবিআরএম বিগত একদশকেরও বেশী সময় ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, মিশর, প্যারিস, ইটালী, ভারত এবং দুবাই - তে আন্তর্জাতিক একাডেমিক সম্মেলন করে আসছে। এগুলোর মধ্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত ''ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন রিস্ট্রাকচারিং অব দি গ্লোবাল ইকনোমি”, ইউএসএ এর নিউইয়র্ক-এ অনুষ্ঠিত ''ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন বিজনেস এন্ড ইকনোমিক ডেভলপ্মেন্ট” এবং লন্ডন-এ অনুষ্ঠিত ''ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এন্ড একাডেমিক রিসার্চ কনফারেন্স” গবেষকদের মধ্যে বেশ সমাদৃত হয়েছে।
ড. দত্ত উল্লেখ করেন, গত বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নিয়ে একটি বিশেষ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এবং দ্বিতীয় ওয়ার্কশপটি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন(আইবিএ)তে। এছাড়াও গতবছর কলকাতা, রাশিয়ার মস্কো এবং লন্ডনে আরও তিনটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় ।
বর্তমান বিশ্বে বিরাজ করছে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা, জটিলতা এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ। তা সত্ত্বেও পৃথিবী এগিয়ে চলছে-অর্থনীতি, সমাজনীতি সর্বক্ষেত্রেই দেখতে পাই উন্নতি এবং প্রগতির ছোঁয়া। বিশ্বায়ণের সহজাত নিয়মেই বাংলাদেশও কম এগিয়ে নেই। স্বল্পোন্নত দেশের গন্ডিগুলো পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের আসনে। এই পরিবর্তন আমাদের সকলের জন্যই অসাধারণ এবং অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা প্রতিটি বাঙালির।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৮/হিমেল