কাতারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলনূর কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে দোহার বিন যায়েদ সেন্টারে বাংলা ভাষা সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলনূর গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হাসান। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলনূর শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন।
সালেহ নূরুন্নবীর উপস্থাপনায় প্রাণবন্ত এ বাংলা সন্ধ্যায় সদ্যপ্রয়াত কবি আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্যকর্মের উপর আলোকপাত করেন বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু শামা, আর শেকড়সন্ধানী লেখক শফিউদ্দিন সরদারের ঐতিহাসিক উপন্যাস গ্রন্থাবলি নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক তাফসির উদ্দিন।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চার গুরুত্ব বিষয়ে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা ইউসুফ নূর, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন শামিম, কবি মফিজুর রহমান ও প্রকৌশলী তানিম আহমেদ।
শিশু কিশোরদের জন্য আয়োজিত বাংলা বর্ণমালা প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধানে ছিলেন- প্রকৌশলী বুলবুল আহমদ ও প্রকৌশলী মনিরুল হক।নারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আলেমা সারা মাহমুদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন হাফেজ আবদুর রহমান আর শেষে মোনাজাত করেন মাওলানা ইউসুফ নূর।
ড. আনোয়ারুল হাসান ঘরোয়া পরিবেশে বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চার ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার জন্য প্রবাসী মায়েদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কবি আল মাহমুদ ছিলেন কাব্যজগতে ইসলামী চেতনার বাতিঘর আর আলনূর সেন্টার হলো ইসলামী সংস্কৃতি ও দেশীয় ঐতিহ্যের ইউনিক প্রতিষ্ঠান।
প্রভাষক আবু শামা বলেন, সমকালীন শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদ ছিলেন আবহমান গ্রামবাংলার মেহনতি মানুষের কাব্যকণ্ঠ এক নন্দিত লোকজ কবি। তার অনবদ্য সৃষ্টি সোনালী কাবিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আজও তৈরি হয়নি।
মরহুম শফিউদ্দিন সরদারকে কালজয়ী ঐতিহাসিক ঔপন্যাসিক আখ্যায়িত করে তাফসিরুদ্দিন বলেন, গৌড় থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত বাংলার কয়েক শতাব্দীর গৌরবময় মুসলিম শাসনের ইতিবৃত্ত কাহিনী আকারে তুলে ধরে আমাদের জাতীয় ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে গেছেন।পাঠক নন্দিত ইসলামি ঔপন্যাসিক শফিউদ্দিনসরদারের রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন না হলেও এ দেশের তাওহিদি জনতার হৃদয়ে তিনি থাকবেন স্বমহিমায় ভাস্বর এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পরে প্রতিযোগিতায় শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম