শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:০০, বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. নূরল ইসলাম

'বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে কেউই যত্নবান নই'

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে:
অনলাইন ভার্সন
'বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে কেউই যত্নবান নই'

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ‘ফার্স্ট প্ল্যানিং কমিশনর উপ-প্রধান এবং ৬ দফা কর্মসূচির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের রূপকার অর্থনীতিবিদ ড. নূরল ইসলাম (১ এপ্রিল ৯০ বছর পূরণ করবেন) এখনো বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সংবাদে অভিভূত হন। তিনি প্রার্থনা করেন যে স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা যেন শতভাগ পূরণ হয়। 

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ নূরল ইসলাম বহুদিন যাবত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী সংলগ্ন ম্যারিল্যান্ডের পটোম্যাক সিটিতে সপরিবারে বসবাস করছেন। এখন তার সময় কাটে অনলাইনে এবং টিভিতে খবরাখবর দেখে, সমবয়সী অথবা কাছাকাছি বয়সী পেশাজীবীদের সাথে মাসের নির্দিষ্ট একটি দিনে আলাপ-আড্ডার মধ্য দিয়ে। 

চট্টগ্রামের সন্তান নূরল ইসলাম বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও চলনশক্তি এখনও হারাননি কিংবা খাবার-দাবারেও কোন কমতি ঘটেনি। মধ্যবয়সীদের মতোই সবধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন এবং আলাপচারিতায়ও শৈশব-কৈশোর-যৌবনের সব স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালিদের ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের ঘটনাবলি, বাঙালির মুক্তি সনদ হিসেবে পরিচিত ৬ দফার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে কাজের অভিজ্ঞতা কোনকিছুই ভুলেননি। কিংবা ধারাবিবরণীতে কোন ব্যতয়ও ঘটেনা। 

১৯৬১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের আলোকে একটি সেমিনার করেছিলেন রেহমান সোবহান এবং হাবিবুর রহমানকে সাথে নিয়ে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা চাকরি ছেড়ে পাকিস্তানের করাচিতে পেশাগত জীবন শুরু করলেও বাঙালিদের সাথে পশ্চিমা শাসকদের বিমাতাসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এক বিন্দু ছাড় দেননি কখনো। এজন্যে বঙ্গবন্ধুর নজরে পড়েছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরির সময়গুলোতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিচক্ষণতাপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই অর্থনীতিবিদ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট করে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। অর্থনীতিতে ডক্টরেট করেন ১৯৯৫ সালে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড থেকে। তিনি ফাও-এর অর্থনীতি ও সমাজনীতি বিভাগের সহকারি মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ রোমিন ইসলাম এবং কম্প্যুটার বিজ্ঞানী নাঈম ইসলাম হচ্ছেন নূরল ইসলামের দুই পুত্র। তার নাতনী লিলা ইসলাম পড়ছে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক এওয়ার্ড এবং ২০১৩ সালে বিডিআই’র আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। 

মৃদুভাষী নূরল ইসলাম উত্তর আমেরিকা সংস্করণ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দীর্ঘ এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন এবং তা এই শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাতকারে তিনি সাম্প্রতিক বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যে বাংলাদেশের জন্যে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই পথেই হাঁটছে বর্তমানে বাঙালিরা-এমন অভিব্যক্তি করেন নূরল ইসলাম। এখানে সাক্ষাতকার প্রশ্নোত্তর আকারে উপস্থাপন করা হলো। ম্যারিল্যান্ডে এই সাক্ষাতকার গ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. খন্দকার মনসুর, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল কাদের মিয়া ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক হাজী জাফরউল্লাহ ছিলেন। সাক্ষাতকারের সার্বিক সমন্বয় করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নিয়মিত কন্ট্রিবিউটর বিজ্ঞানী-লেখক ড. আশরাফ আহমেদ। 

প্রশ্ন : সেই সময়ের বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে কিছু বলুন।
নূরল ইসলাম : উনি ইতিহাসের লোক। ইতিহাসে উজ্জ্বল এক অধ্যায়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাই তাকে রাজনীতির কাঁদার মধ্যে টানাটানি করা উচিত হচ্ছে না। উনি সবকিছুর উর্দ্ধের একজন মানুষ, একজন বাঙালি। আমরা যারা তার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলাম, তাদের কাছে খুবই খারাপ লাগে, তাঁকে দলীয় গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখার ঘটনাবলিতে। অথচ ভারতীয় রাজনীতিতে মহাত্মা গান্ধীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কখনোই ব্যবহার করা হয় না। তিনি সবার ওপরে। কংগ্রেস দূরের কথা, বিজেপিরও সাহস হয় না গান্ধীকে নিয়ে কোন কথা বলা বা সমালোচনা করার। 

প্রশ্ন : ভারতীয়রা অনেক এগিয়ে রয়েছেন গণতান্ত্রিক পথ-পরিক্রমায়। অপরদিকে আমরা অনেকটাই নবীন এবং সে কারণে পিছিয়ে রয়েছি।
নূরল ইসলাম : তাই বলে কী আমরা পিছিয়েই থাকবো। সঠিক পথে এগুবো না? 
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়ন ঘটানোর স্বার্থেই বঙ্গবন্ধুকে সবসময় সামনে রাখতে হচ্ছে।
নূরল ইসলাম : আমি একমত পোষণ করছি এ ব্যাপারে। 

প্রশ্ন : সম্রাট অশোক ভারতীয় ইতিহাস থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। দু’হাজার বছর বিস্তৃতির অতল গহ্বরে ছিলেন। বৃটিশরা এসে তাকে আবারো সামনে এনেছিল। সে হারিয়ে গিয়েছিলেন, কারণ তিনি বৌদ্ধ ছিলেন। হিন্দু, ব্রাহ্মণরা তাকে সহ্য করতে পারেনি। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর টানা ২১ বছর তাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। বাঙালির ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তাকে মুছে ফেলার অভিপ্রায়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকেও বিকৃত করার জঘণ্যতম একটি পরিক্রমা চলেছে। 

নূরল ইসলাম : তুলনামূলক এই প্রসঙ্গ সঠিক নয়। আমি ধর্মভিত্তিক পরিস্থিতি নিয়ে তুলনা করতে চাই না। আমি বলতে চাই যে, যারা বিভিন্ন দেশ ও জাতিগোষ্ঠির মৌলিক স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করতে চাই। যেমন নেলসন ম্যান্ডেলা। মহাত্মা গান্ধী। যারা পৃথিবীতে মুক্তিকামী মানুষের আরাধ্য পুরুষ হিসেবে বিবেচিত। বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, নেতৃত্বগুণ আর মানবতার মুক্তির জন্যে বিরাট একটি জনগোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করার যে মেধা ও সাহস তার ছিল সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তৃত করার একটি বিষয়, আরেকটি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের প্রবণতা। তাঁকে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার জন্যে, ভোটের পাল্লা ভারি করার জন্যে। এটাই আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। 

প্রশ্ন : পচাত্তরের ১৫ আগস্ট থেকে ছিয়ানব্বইয়ের ১৩ জুন পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতির এই মহানায়কের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটনার পাশাপাশি ইতিহাসের আঙ্গিনা থেকে তাকে চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। এরফলে এই সময়ে বেড়ে উঠা বা জন্মনেয়া প্রজন্ম সঠিক তথ্য জানতে সক্ষম হয়নি। একারণেই বঙ্গবন্ধুকে সামনে আনা এবং তার সংগ্রামী জীবন, ত্যাগের মহিমা ইত্যাদি প্রচারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যে দায়িত্বটি ঐতিহাসিক কারণেই আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করতে হয়েছে। 
নূরল ইসলাম : এটাই আমি মানতে চাই না। আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুকে একাকার করার প্রয়োজন নেই। 
প্রশ্ন : বিচ্ছিন্ন করবেন কীভাবে?
নূরল ইসলাম : উনি সবার উর্দ্ধে। উনি বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা, ফাউন্ডার। স্বাধীনতার পর মুক্ত বাংলায় অবতরণের পরই সে সময়ের জাতীয় নেতারা তাঁর প্রতি আহবান রেখেছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হবার জন্যে। সরকার গঠন করে সেই সরকারের কাজ-কর্মের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাকে। উনি তাদেরকে বলেছিলেন, আমি না থাকলে এরা কোন কাজই ঐক্যবদ্ধভাবে করতে পারবে না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব রয়েছে। আস্থাবোধও তেমন নেই। আমি যদি সরকারে না থেকে গ্রামে গিয়ে নিজের কাজ-কর্ম শুরু করি, সেটিও করতে পারবো না। প্রতিক্ষণে ওরা আমাকে ফোন করবে অথবা লোক মারফৎ খবর দেবে। কারণ, ওরা সিদ্ধান্ত নিতে তো পারবেই না, মারপিটেও লিপ্ত হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে প্রবাসী সরকারের কাজকর্মে তেমনটি আমরা দেখেছি। নেতারা এতটাই বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত ছিলেন যে, একজন আরেকজনের নেতৃত্ব মানতেন না। সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ঐক্যের প্রতিক-এটি তিনি নিজেও অনুধাবনে সক্ষম হন। 

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর জীবন-ইতিহাস কী বাঙালিরা পড়ছে?
নূরল ইসলাম : আমার তো মনে হয় না। অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। কমপক্ষে ১৫টি বই রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। অথচ শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বড় একটি অংশই তা পাঠ করে না। আমার তো মনে হয় ৯০% বাঙালিই তা পড়ে না। এটা খুবই দুঃখজনক। 
প্রশ্ন : কেন পড়ে না, আপনার কী মনে হয়।
নূরল ইসলাম : আমি বলেছি, শহর ও উপ-শহরের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তদের কথা। তারা কেন বাংলাদেশের ইতিহাস তথা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস পাঠে আগ্রহী হচ্ছে না। কয়েক বছর আগে ঢাকায় গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলেন সাক্ষাত করতে। আমারই ছাত্র ছিলো। সে সময় তিনি যে কথা আমাকে জানিয়েছেন তা অবাক হবার মত। ইউরোপিয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরের সময় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চেয়েছিলো। পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বাঙালিরা ক্ষেপেছিল কেন। সে ইতিহাস তাদের ভালো মত জানা নেই। তাই ঢাকায় বিশিষ্টজনদের কাছে জানলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর তারা পেয়ে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আমলা গ্রুপের। তাই ইতিহাস জানাতে একজন নেতার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই নেতা একাত্তরের আগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে আমার মত লোকদের সাথেই ছিলেন। সেই নেতা প্রতিনিধি দলের সাথে বসেই পল্টনের ময়দানের বক্তৃতা দিলেন। তার কাছে ৬ দফা কী তা জানতে চেয়েছিলেন প্রতিনিধিরা। কিছুই বলতে পারেননি। অথচ তিনি পার্টির বড়নেতা এবং মন্ত্রীও ছিলেন আগের সরকারে। অথচ ৬ দফার কিছুই ঠিকমত বলতে পারলেন না। এই ৬ দফা ছিল বাঙালির মুুক্তি সনদ। অনেকে বলে থাকেন যে, আমিই নাকি ৬ দফার রচয়িতা। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটা ভুল। ৬ দফার রূপকার হলেন জাতিরজনক শেখ মুজিব। তার নির্দেশনায় আমি শুধু বাক্য-রচনা করেছি। 

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু তথা বাংলাদেশের ইতিহাস পড়তে বাঙালিদের অনাগ্রহের কারণ কি?
নূরল ইসলাম : শিশুরা কীভাবে শিখে? মা-বাবার কাছে থেকে। ভাই-বোনের কাছে থেকে। আমার মা-বাবা গল্প করতেন বৃটিশ আমলের ঘটনাবলি নিয়ে। বন্ধু-বান্ধব এবং স্কুল-কলেজে শিক্ষকের কাছে থেকে ইতিহাস জেনেছি। রাজনীতিকদের বক্তব্যেও জেনেছি আগের ইতিহাস। আমাদের দেশের বর্তমান নেতা-নেত্রীর কাছে থেকে তেমন সঠিক ইতিহাস কি জানা যাচ্ছে? এখনতো আমি অনেকটাই অসুস্থ। ৪ বছর আগে পর্যন্ত প্রতি বছরই বাংলাদেশে গেছি অন্তত: দু’বার। সভা-সেমিনার করেছি বিভিন্ন পর্যায়ে। গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারও দিয়েছি নানা ইস্যুতে। সর্বশেষ ৪ বছর আগে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যাই। আমার প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্টের (অর্থনীতি) বর্তমান চেয়ারম্যানকে বললাম যে, আমি আসতে চাই ডিপার্টমেন্টে। কিছু বলতে চাই। তিনি বিনয়ের সাথে সম্মতি দিলেন। তাকে অনুরোধ জানালাম ৪৫ বছরের বেশী বয়েসী কাউকে যেন দাওয়াত না দেন। সে অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষকরা জড়ো হলেন। আমি সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে জানালাম যে, আমি কোন বক্তব্য দিতে আসিনি, আলাপ করতে এসেছি। সে সময় আমি জানতে চাইলাম যে, তারা বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ে কিনা। সকলেই জানিনা বললেন। কারণ হিসেবে জানালো যে, পাঠ্যে এসব নেই। আগে ছিল একটি কোর্স, সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। আমি বললাম, তোমাদের কোন আগ্রহ নেই? বলা হলো-না স্যার। প্রয়োজন হচ্ছে না। সকলেই এম এ কাসের ছাত্র। এ সময় একজন ছাত্রী কিছু বলার অনুমতি চাইলেন। বললেন, দৈনিক ২৪ ঘন্টা সময়। এরমধ্যে ৭ ঘন্টা ঘুমাতে হয়। অবশিষ্ট সময়ে আমাকে কাসের জন্যে প্রস্তুত হতে হয়। লেকচার থাকলে সেজন্যেও তৈরী হতে হয়। বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলতে হয়। টিভি দেখতে হয়। ইতিহাস বই পড়ার সময় কোথায়? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ার কোন আহবান সমাজ থেকেও আসে না। কোন পক্ষ থেকেই কোন আগ্রহ দেখি না। পাঠ্যপুস্তকেও নাই। মা-বাবার কাছেও এমন কিছু শুনি না। ছাত্রীটির কথা শুনে আমি অভিভ’ত যে, তিনি অপ্রিয় সত্য অবলিলায় উচ্চারণ করেছেন। 

প্রশ্ন : ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরাও তো এখন রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত?
নূরল ইসলাম : অধিকাংশই আওয়ামী লীগ করেন। অন্যেরা বিএনপি-জামাত সমর্থক। সকলেরই এক অবস্থা। আমি নিশ্চিত যে, ওরা দলবাজি করলেও দলের প্রকৃত আদর্শ-উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করে না। অন্য আরো অনেকের মত তারাও নেতা-নেত্রীর তোয়াজকেই একমাত্র যোগ্যতা মনে করছে। ৬ দফা জানা জরুরী-এ আহবান অনেকবার জানিয়েছি সংশ্লিষ্টদের কাছে। ৬ দফাকে অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করেছি বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী জানবে, অথচ যে কর্মসূচিতে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেটি জানবে না, তাহলে পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস কীভাবে জানবে? বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা-সব বই-ই পড়েছি। আমি তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) যেটুকু চিনতাম, তা থেকে অসমাপ্ত আত্মজীবনীর অনেক কিছুই আমি বুঝতে পারিনি। তবে এ নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন করতে চাই না। চুপ করে থাকাই ভালো। তবে আমি ভাবছি, যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি মুখস্ত করবেন। এর প্রয়োজন রয়েছে। আমি একাত্তর পূর্ব এবং উত্তরের অনেক ঘটনাবলির সাক্ষী। সে সব আমার গ্রন্থে রয়েছে। খোন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানদের ভূমিকাও রয়েছে। সে সব পড়া উচিত ইতিহাসের নিষ্ঠুর, নির্মম গতি-প্রকৃতির সাথে পরিচিত থাকার স্বার্থেই। পল্টনের ময়দানে বক্তৃতা আর মুক্তিযুদ্ধ তথা বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানা এক কথা নয়। আমার কাছে অদ্ভূত লাগে যে, বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে কোন ধারণা নেই, অথচ রাজনীতির ময়দানে তারাই তুখোর। 
প্রশ্ন : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর একটি অথেনটিক বায়োগ্রাফি আছে কি?
নূরল ইসলাম : সে অভাব কবে দূর হবে সেটিও ভাবনার বিষয়। কেন নেই উনার অথেনটিক বায়োগ্রাফি? এটা ভাবতেও লজ্জা লাগে। উনার নাম ব্যবহার করে এমপি, মন্ত্রী, সচিব, উপাচার্য, পরিচালক ইত্যাদি হবেন। লাইসেন্স-পারমিট-কন্ট্রাক্ট নেবেন। অথচ সেই মানুষটির অফিসিয়াল একটি বায়োগ্রাফিতে আমরা আগ্রহী নই। অথচ ছিয়ানব্বইয়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর এ নিয়ে কারো কোন আপত্তিও ছিল না। এখনও নেই। তবুও কেউই তা প্রকাশে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে না। সকলেই উনার নাম ভাঙ্গিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন, কিন্তু ইতিহাসের এই মহানায়ককে আরো সুস্পষ্টভাবে ভবিষ্যতের কাছে সমাদৃত করতে আগ্রহী নন কেউই। ১৯৯৬ সালের কথা, নতুন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। আমি ঢাকায়। সে সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আমাকে বললেন যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর ওর‌্যাল হিস্ট্রি লিখতে চান। গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে হাজার হাজার মানুষের সাথে কথা বলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন-কিন্তু পকেটে টাকা নেই। নিজে কোন পারিশ্রমিক চান না। কর্মস্থল থেকেও ছুটি নেবেন। তবে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়াতে তো খরচ লাগবে। এ প্রস্তাব আমাকে আশান্বিত করলো। আমি বড়মাপের একজন নেতার কাছে গেলাম। তিনি রেফার করলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ড. এস এ মালেকের কাছে। তার কাছে গেলাম। তরুণ শিক্ষককে ৩ লাখ টাকা দেয়ার অনুরোধ রাখলাম। এরপর ঐ শিক্ষক ৩ বার দেখা করেও কোন সাড়া পাননি। (এ সময় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষকের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে সত্বর যোগাযোগের জন্য। বঙ্গবন্ধুর ওর‌্যাল বায়োগ্রাফির তহবিল প্রদানেও তারা রাজি) । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ এবং মেধাবি একজন শিক্ষক গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে জাতিরজনকের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের (ওই সময়ের যারা যুবক-ছাত্র-তরুণ-তরুণী) সাক্ষাতকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনার স্বতস্ফূর্ত ঐ উদ্যোগে ৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করে দেননি, অথচ বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন অনেকে। এখনও কামাচ্ছেন একইধারায়। সেখানেই আমার আপত্তি। এজন্যে অনেকেই আমাকে পছন্দ করেন না। আমি সে সব কেয়ার করি না। তাঁর নাম ভাঙাতে ভালো লাগে, অথচ সেই মানুষটির ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্র তৈরীর জন্য একটি কড়িও ব্যয় করতে চান না অনেকে। এর চেয়ে দু:খজনক আর কী হতে পারে।  

প্রশ্ন : সামগ্রিকভাবে বর্তমান বাংলাদেশের ওপর আপনার অবজারভেশন কী।
নূরল ইসলাম : খুবই ভালো। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ-এ নিয়ে কোনই সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে-এটিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েও বহু প্রবাসী গ্রেফতার
যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েও বহু প্রবাসী গ্রেফতার
নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিউইয়র্কে তিন দিনের নাট্যোৎসব
নিউইয়র্কে তিন দিনের নাট্যোৎসব
সিডনিতে ‘জুলাই সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত
সিডনিতে ‘জুলাই সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন কমিটি গঠন
কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন কমিটি গঠন
কাতারে ৬০৩ হাফেজকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান
কাতারে ৬০৩ হাফেজকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান
সিডনিতে ‘ভবের হাটে’ বাউল গানে মুগ্ধ প্রবাসীরা
সিডনিতে ‘ভবের হাটে’ বাউল গানে মুগ্ধ প্রবাসীরা
ফিলাডেলফিয়ায় বৈশাখী মেলা
ফিলাডেলফিয়ায় বৈশাখী মেলা
মালয়েশিয়ায় এলিট গ্লোবাল বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
মালয়েশিয়ায় এলিট গ্লোবাল বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
আমিরাতে হাটহাজারী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত
আমিরাতে হাটহাজারী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত
টরন্টোতে ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ উদযাপন
টরন্টোতে ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ উদযাপন
সর্বশেষ খবর
ঘানার তারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে ৫ ধর্ষণ মামলা
ঘানার তারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে ৫ ধর্ষণ মামলা

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ত্বকের যত্নে কমলার খোসা
ত্বকের যত্নে কমলার খোসা

২১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

টেক্সাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু
টেক্সাসে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'স্মরণকালের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার'
'স্মরণকালের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার'

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী : পেজেশকিয়ান
ইসরায়েলকে চরম শিক্ষা দিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী : পেজেশকিয়ান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই
ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন
বগুড়ায় টিএমএসএস ফিটনেস ও জিম সেন্টার উদ্বোধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম
জুলাই সনদ অবশ্যই সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম
ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী
হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খানসামায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন
বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে: ওবায়দুর রহমান চন্দন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি
দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’
‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড
ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু
চট্টগ্রামে ৪৪তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার
মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব, মূল হোতা গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ
ইসরায়েলকে সমর্থন, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম
সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ
টানা ৩ দিনের ছুটিতে দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
বিতর্কের মধ্যেই ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০
গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত ৩০০

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প
গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো
বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত: ট্রাম্পকে পুতিন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে
এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার
মেদ ঝরিয়ে ফিট কপিল, রহস্য ফাঁস করলেন ফিটনেস ট্রেনার

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিব্বত ইস্যুতে ভারতকে নাক গলাতে মানা করল চীন
তিব্বত ইস্যুতে ভারতকে নাক গলাতে মানা করল চীন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জিরো টলারেন্সে বিএনপি
জিরো টলারেন্সে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন
রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন

নগর জীবন

হত্যা করলেই মিলত টাকা
হত্যা করলেই মিলত টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!
আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য
মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি
ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি

নগর জীবন

শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল
শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল

প্রথম পৃষ্ঠা

চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া
চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

আটকে গেল চার বিমানবন্দর
আটকে গেল চার বিমানবন্দর

প্রথম পৃষ্ঠা

মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল
মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি
২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি

শনিবারের সকাল

নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’
নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা
জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা

মাঠে ময়দানে

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

নগর জীবন

দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা
ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা

শনিবারের সকাল

যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা
যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা
ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা

শোবিজ

হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের
হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের

মাঠে ময়দানে

টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন
টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত
ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

রানের দেখা নেই লিটনের
রানের দেখা নেই লিটনের

মাঠে ময়দানে

নতুন ভালোবাসায় পারসা ইভানা
নতুন ভালোবাসায় পারসা ইভানা

শোবিজ

উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ
উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে জোকোভিচ

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা- শিবলী সাদিক
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা- শিবলী সাদিক

শোবিজ

অমিতাভের বার্তা জয়ার উচ্ছ্বাস
অমিতাভের বার্তা জয়ার উচ্ছ্বাস

শোবিজ

নব্বই পেরোনো এক নরসুন্দর
নব্বই পেরোনো এক নরসুন্দর

শনিবারের সকাল

আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা
আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আনকাট ‘শোলে’
আনকাট ‘শোলে’

শোবিজ