শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:০০, বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. নূরল ইসলাম

'বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে কেউই যত্নবান নই'

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে:
অনলাইন ভার্সন
'বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে কেউই যত্নবান নই'

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ‘ফার্স্ট প্ল্যানিং কমিশনর উপ-প্রধান এবং ৬ দফা কর্মসূচির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের রূপকার অর্থনীতিবিদ ড. নূরল ইসলাম (১ এপ্রিল ৯০ বছর পূরণ করবেন) এখনো বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সংবাদে অভিভূত হন। তিনি প্রার্থনা করেন যে স্বপ্ন নিয়ে একাত্তরে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা যেন শতভাগ পূরণ হয়। 

খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ নূরল ইসলাম বহুদিন যাবত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী সংলগ্ন ম্যারিল্যান্ডের পটোম্যাক সিটিতে সপরিবারে বসবাস করছেন। এখন তার সময় কাটে অনলাইনে এবং টিভিতে খবরাখবর দেখে, সমবয়সী অথবা কাছাকাছি বয়সী পেশাজীবীদের সাথে মাসের নির্দিষ্ট একটি দিনে আলাপ-আড্ডার মধ্য দিয়ে। 

চট্টগ্রামের সন্তান নূরল ইসলাম বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও চলনশক্তি এখনও হারাননি কিংবা খাবার-দাবারেও কোন কমতি ঘটেনি। মধ্যবয়সীদের মতোই সবধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন এবং আলাপচারিতায়ও শৈশব-কৈশোর-যৌবনের সব স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালিদের ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের ঘটনাবলি, বাঙালির মুক্তি সনদ হিসেবে পরিচিত ৬ দফার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে কাজের অভিজ্ঞতা কোনকিছুই ভুলেননি। কিংবা ধারাবিবরণীতে কোন ব্যতয়ও ঘটেনা। 

১৯৬১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের আলোকে একটি সেমিনার করেছিলেন রেহমান সোবহান এবং হাবিবুর রহমানকে সাথে নিয়ে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা চাকরি ছেড়ে পাকিস্তানের করাচিতে পেশাগত জীবন শুরু করলেও বাঙালিদের সাথে পশ্চিমা শাসকদের বিমাতাসুলভ আচরণের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এক বিন্দু ছাড় দেননি কখনো। এজন্যে বঙ্গবন্ধুর নজরে পড়েছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরির সময়গুলোতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিচক্ষণতাপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই অর্থনীতিবিদ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট করে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। অর্থনীতিতে ডক্টরেট করেন ১৯৯৫ সালে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড থেকে। তিনি ফাও-এর অর্থনীতি ও সমাজনীতি বিভাগের সহকারি মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ রোমিন ইসলাম এবং কম্প্যুটার বিজ্ঞানী নাঈম ইসলাম হচ্ছেন নূরল ইসলামের দুই পুত্র। তার নাতনী লিলা ইসলাম পড়ছে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক এওয়ার্ড এবং ২০১৩ সালে বিডিআই’র আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। 

মৃদুভাষী নূরল ইসলাম উত্তর আমেরিকা সংস্করণ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দীর্ঘ এক সাক্ষাতকার দিয়েছেন এবং তা এই শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাতকারে তিনি সাম্প্রতিক বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যে বাংলাদেশের জন্যে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই পথেই হাঁটছে বর্তমানে বাঙালিরা-এমন অভিব্যক্তি করেন নূরল ইসলাম। এখানে সাক্ষাতকার প্রশ্নোত্তর আকারে উপস্থাপন করা হলো। ম্যারিল্যান্ডে এই সাক্ষাতকার গ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. খন্দকার মনসুর, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল কাদের মিয়া ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক হাজী জাফরউল্লাহ ছিলেন। সাক্ষাতকারের সার্বিক সমন্বয় করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নিয়মিত কন্ট্রিবিউটর বিজ্ঞানী-লেখক ড. আশরাফ আহমেদ। 

প্রশ্ন : সেই সময়ের বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে কিছু বলুন।
নূরল ইসলাম : উনি ইতিহাসের লোক। ইতিহাসে উজ্জ্বল এক অধ্যায়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাই তাকে রাজনীতির কাঁদার মধ্যে টানাটানি করা উচিত হচ্ছে না। উনি সবকিছুর উর্দ্ধের একজন মানুষ, একজন বাঙালি। আমরা যারা তার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলাম, তাদের কাছে খুবই খারাপ লাগে, তাঁকে দলীয় গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখার ঘটনাবলিতে। অথচ ভারতীয় রাজনীতিতে মহাত্মা গান্ধীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কখনোই ব্যবহার করা হয় না। তিনি সবার ওপরে। কংগ্রেস দূরের কথা, বিজেপিরও সাহস হয় না গান্ধীকে নিয়ে কোন কথা বলা বা সমালোচনা করার। 

প্রশ্ন : ভারতীয়রা অনেক এগিয়ে রয়েছেন গণতান্ত্রিক পথ-পরিক্রমায়। অপরদিকে আমরা অনেকটাই নবীন এবং সে কারণে পিছিয়ে রয়েছি।
নূরল ইসলাম : তাই বলে কী আমরা পিছিয়েই থাকবো। সঠিক পথে এগুবো না? 
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়ন ঘটানোর স্বার্থেই বঙ্গবন্ধুকে সবসময় সামনে রাখতে হচ্ছে।
নূরল ইসলাম : আমি একমত পোষণ করছি এ ব্যাপারে। 

প্রশ্ন : সম্রাট অশোক ভারতীয় ইতিহাস থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। দু’হাজার বছর বিস্তৃতির অতল গহ্বরে ছিলেন। বৃটিশরা এসে তাকে আবারো সামনে এনেছিল। সে হারিয়ে গিয়েছিলেন, কারণ তিনি বৌদ্ধ ছিলেন। হিন্দু, ব্রাহ্মণরা তাকে সহ্য করতে পারেনি। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পর টানা ২১ বছর তাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। বাঙালির ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তাকে মুছে ফেলার অভিপ্রায়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকেও বিকৃত করার জঘণ্যতম একটি পরিক্রমা চলেছে। 

নূরল ইসলাম : তুলনামূলক এই প্রসঙ্গ সঠিক নয়। আমি ধর্মভিত্তিক পরিস্থিতি নিয়ে তুলনা করতে চাই না। আমি বলতে চাই যে, যারা বিভিন্ন দেশ ও জাতিগোষ্ঠির মৌলিক স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করতে চাই। যেমন নেলসন ম্যান্ডেলা। মহাত্মা গান্ধী। যারা পৃথিবীতে মুক্তিকামী মানুষের আরাধ্য পুরুষ হিসেবে বিবেচিত। বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, নেতৃত্বগুণ আর মানবতার মুক্তির জন্যে বিরাট একটি জনগোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করার যে মেধা ও সাহস তার ছিল সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তৃত করার একটি বিষয়, আরেকটি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের প্রবণতা। তাঁকে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার জন্যে, ভোটের পাল্লা ভারি করার জন্যে। এটাই আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। 

প্রশ্ন : পচাত্তরের ১৫ আগস্ট থেকে ছিয়ানব্বইয়ের ১৩ জুন পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতির এই মহানায়কের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটনার পাশাপাশি ইতিহাসের আঙ্গিনা থেকে তাকে চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। এরফলে এই সময়ে বেড়ে উঠা বা জন্মনেয়া প্রজন্ম সঠিক তথ্য জানতে সক্ষম হয়নি। একারণেই বঙ্গবন্ধুকে সামনে আনা এবং তার সংগ্রামী জীবন, ত্যাগের মহিমা ইত্যাদি প্রচারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যে দায়িত্বটি ঐতিহাসিক কারণেই আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করতে হয়েছে। 
নূরল ইসলাম : এটাই আমি মানতে চাই না। আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুকে একাকার করার প্রয়োজন নেই। 
প্রশ্ন : বিচ্ছিন্ন করবেন কীভাবে?
নূরল ইসলাম : উনি সবার উর্দ্ধে। উনি বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা, ফাউন্ডার। স্বাধীনতার পর মুক্ত বাংলায় অবতরণের পরই সে সময়ের জাতীয় নেতারা তাঁর প্রতি আহবান রেখেছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হবার জন্যে। সরকার গঠন করে সেই সরকারের কাজ-কর্মের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাকে। উনি তাদেরকে বলেছিলেন, আমি না থাকলে এরা কোন কাজই ঐক্যবদ্ধভাবে করতে পারবে না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব রয়েছে। আস্থাবোধও তেমন নেই। আমি যদি সরকারে না থেকে গ্রামে গিয়ে নিজের কাজ-কর্ম শুরু করি, সেটিও করতে পারবো না। প্রতিক্ষণে ওরা আমাকে ফোন করবে অথবা লোক মারফৎ খবর দেবে। কারণ, ওরা সিদ্ধান্ত নিতে তো পারবেই না, মারপিটেও লিপ্ত হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে প্রবাসী সরকারের কাজকর্মে তেমনটি আমরা দেখেছি। নেতারা এতটাই বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত ছিলেন যে, একজন আরেকজনের নেতৃত্ব মানতেন না। সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ঐক্যের প্রতিক-এটি তিনি নিজেও অনুধাবনে সক্ষম হন। 

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর জীবন-ইতিহাস কী বাঙালিরা পড়ছে?
নূরল ইসলাম : আমার তো মনে হয় না। অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। কমপক্ষে ১৫টি বই রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। অথচ শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বড় একটি অংশই তা পাঠ করে না। আমার তো মনে হয় ৯০% বাঙালিই তা পড়ে না। এটা খুবই দুঃখজনক। 
প্রশ্ন : কেন পড়ে না, আপনার কী মনে হয়।
নূরল ইসলাম : আমি বলেছি, শহর ও উপ-শহরের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তদের কথা। তারা কেন বাংলাদেশের ইতিহাস তথা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস পাঠে আগ্রহী হচ্ছে না। কয়েক বছর আগে ঢাকায় গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলেন সাক্ষাত করতে। আমারই ছাত্র ছিলো। সে সময় তিনি যে কথা আমাকে জানিয়েছেন তা অবাক হবার মত। ইউরোপিয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরের সময় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চেয়েছিলো। পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বাঙালিরা ক্ষেপেছিল কেন। সে ইতিহাস তাদের ভালো মত জানা নেই। তাই ঢাকায় বিশিষ্টজনদের কাছে জানলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর তারা পেয়ে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আমলা গ্রুপের। তাই ইতিহাস জানাতে একজন নেতার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই নেতা একাত্তরের আগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে আমার মত লোকদের সাথেই ছিলেন। সেই নেতা প্রতিনিধি দলের সাথে বসেই পল্টনের ময়দানের বক্তৃতা দিলেন। তার কাছে ৬ দফা কী তা জানতে চেয়েছিলেন প্রতিনিধিরা। কিছুই বলতে পারেননি। অথচ তিনি পার্টির বড়নেতা এবং মন্ত্রীও ছিলেন আগের সরকারে। অথচ ৬ দফার কিছুই ঠিকমত বলতে পারলেন না। এই ৬ দফা ছিল বাঙালির মুুক্তি সনদ। অনেকে বলে থাকেন যে, আমিই নাকি ৬ দফার রচয়িতা। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটা ভুল। ৬ দফার রূপকার হলেন জাতিরজনক শেখ মুজিব। তার নির্দেশনায় আমি শুধু বাক্য-রচনা করেছি। 

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু তথা বাংলাদেশের ইতিহাস পড়তে বাঙালিদের অনাগ্রহের কারণ কি?
নূরল ইসলাম : শিশুরা কীভাবে শিখে? মা-বাবার কাছে থেকে। ভাই-বোনের কাছে থেকে। আমার মা-বাবা গল্প করতেন বৃটিশ আমলের ঘটনাবলি নিয়ে। বন্ধু-বান্ধব এবং স্কুল-কলেজে শিক্ষকের কাছে থেকে ইতিহাস জেনেছি। রাজনীতিকদের বক্তব্যেও জেনেছি আগের ইতিহাস। আমাদের দেশের বর্তমান নেতা-নেত্রীর কাছে থেকে তেমন সঠিক ইতিহাস কি জানা যাচ্ছে? এখনতো আমি অনেকটাই অসুস্থ। ৪ বছর আগে পর্যন্ত প্রতি বছরই বাংলাদেশে গেছি অন্তত: দু’বার। সভা-সেমিনার করেছি বিভিন্ন পর্যায়ে। গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারও দিয়েছি নানা ইস্যুতে। সর্বশেষ ৪ বছর আগে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যাই। আমার প্রতিষ্ঠিত ডিপার্টমেন্টের (অর্থনীতি) বর্তমান চেয়ারম্যানকে বললাম যে, আমি আসতে চাই ডিপার্টমেন্টে। কিছু বলতে চাই। তিনি বিনয়ের সাথে সম্মতি দিলেন। তাকে অনুরোধ জানালাম ৪৫ বছরের বেশী বয়েসী কাউকে যেন দাওয়াত না দেন। সে অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষকরা জড়ো হলেন। আমি সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে জানালাম যে, আমি কোন বক্তব্য দিতে আসিনি, আলাপ করতে এসেছি। সে সময় আমি জানতে চাইলাম যে, তারা বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ে কিনা। সকলেই জানিনা বললেন। কারণ হিসেবে জানালো যে, পাঠ্যে এসব নেই। আগে ছিল একটি কোর্স, সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। আমি বললাম, তোমাদের কোন আগ্রহ নেই? বলা হলো-না স্যার। প্রয়োজন হচ্ছে না। সকলেই এম এ কাসের ছাত্র। এ সময় একজন ছাত্রী কিছু বলার অনুমতি চাইলেন। বললেন, দৈনিক ২৪ ঘন্টা সময়। এরমধ্যে ৭ ঘন্টা ঘুমাতে হয়। অবশিষ্ট সময়ে আমাকে কাসের জন্যে প্রস্তুত হতে হয়। লেকচার থাকলে সেজন্যেও তৈরী হতে হয়। বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলতে হয়। টিভি দেখতে হয়। ইতিহাস বই পড়ার সময় কোথায়? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ার কোন আহবান সমাজ থেকেও আসে না। কোন পক্ষ থেকেই কোন আগ্রহ দেখি না। পাঠ্যপুস্তকেও নাই। মা-বাবার কাছেও এমন কিছু শুনি না। ছাত্রীটির কথা শুনে আমি অভিভ’ত যে, তিনি অপ্রিয় সত্য অবলিলায় উচ্চারণ করেছেন। 

প্রশ্ন : ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরাও তো এখন রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত?
নূরল ইসলাম : অধিকাংশই আওয়ামী লীগ করেন। অন্যেরা বিএনপি-জামাত সমর্থক। সকলেরই এক অবস্থা। আমি নিশ্চিত যে, ওরা দলবাজি করলেও দলের প্রকৃত আদর্শ-উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করে না। অন্য আরো অনেকের মত তারাও নেতা-নেত্রীর তোয়াজকেই একমাত্র যোগ্যতা মনে করছে। ৬ দফা জানা জরুরী-এ আহবান অনেকবার জানিয়েছি সংশ্লিষ্টদের কাছে। ৬ দফাকে অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করেছি বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী জানবে, অথচ যে কর্মসূচিতে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেটি জানবে না, তাহলে পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস কীভাবে জানবে? বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা-সব বই-ই পড়েছি। আমি তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) যেটুকু চিনতাম, তা থেকে অসমাপ্ত আত্মজীবনীর অনেক কিছুই আমি বুঝতে পারিনি। তবে এ নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন করতে চাই না। চুপ করে থাকাই ভালো। তবে আমি ভাবছি, যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি মুখস্ত করবেন। এর প্রয়োজন রয়েছে। আমি একাত্তর পূর্ব এবং উত্তরের অনেক ঘটনাবলির সাক্ষী। সে সব আমার গ্রন্থে রয়েছে। খোন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানদের ভূমিকাও রয়েছে। সে সব পড়া উচিত ইতিহাসের নিষ্ঠুর, নির্মম গতি-প্রকৃতির সাথে পরিচিত থাকার স্বার্থেই। পল্টনের ময়দানে বক্তৃতা আর মুক্তিযুদ্ধ তথা বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানা এক কথা নয়। আমার কাছে অদ্ভূত লাগে যে, বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে কোন ধারণা নেই, অথচ রাজনীতির ময়দানে তারাই তুখোর। 
প্রশ্ন : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর একটি অথেনটিক বায়োগ্রাফি আছে কি?
নূরল ইসলাম : সে অভাব কবে দূর হবে সেটিও ভাবনার বিষয়। কেন নেই উনার অথেনটিক বায়োগ্রাফি? এটা ভাবতেও লজ্জা লাগে। উনার নাম ব্যবহার করে এমপি, মন্ত্রী, সচিব, উপাচার্য, পরিচালক ইত্যাদি হবেন। লাইসেন্স-পারমিট-কন্ট্রাক্ট নেবেন। অথচ সেই মানুষটির অফিসিয়াল একটি বায়োগ্রাফিতে আমরা আগ্রহী নই। অথচ ছিয়ানব্বইয়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর এ নিয়ে কারো কোন আপত্তিও ছিল না। এখনও নেই। তবুও কেউই তা প্রকাশে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে না। সকলেই উনার নাম ভাঙ্গিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন, কিন্তু ইতিহাসের এই মহানায়ককে আরো সুস্পষ্টভাবে ভবিষ্যতের কাছে সমাদৃত করতে আগ্রহী নন কেউই। ১৯৯৬ সালের কথা, নতুন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। আমি ঢাকায়। সে সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আমাকে বললেন যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর ওর‌্যাল হিস্ট্রি লিখতে চান। গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে হাজার হাজার মানুষের সাথে কথা বলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন-কিন্তু পকেটে টাকা নেই। নিজে কোন পারিশ্রমিক চান না। কর্মস্থল থেকেও ছুটি নেবেন। তবে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়াতে তো খরচ লাগবে। এ প্রস্তাব আমাকে আশান্বিত করলো। আমি বড়মাপের একজন নেতার কাছে গেলাম। তিনি রেফার করলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ড. এস এ মালেকের কাছে। তার কাছে গেলাম। তরুণ শিক্ষককে ৩ লাখ টাকা দেয়ার অনুরোধ রাখলাম। এরপর ঐ শিক্ষক ৩ বার দেখা করেও কোন সাড়া পাননি। (এ সময় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষকের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে সত্বর যোগাযোগের জন্য। বঙ্গবন্ধুর ওর‌্যাল বায়োগ্রাফির তহবিল প্রদানেও তারা রাজি) । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ এবং মেধাবি একজন শিক্ষক গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে জাতিরজনকের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের (ওই সময়ের যারা যুবক-ছাত্র-তরুণ-তরুণী) সাক্ষাতকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনার স্বতস্ফূর্ত ঐ উদ্যোগে ৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করে দেননি, অথচ বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন অনেকে। এখনও কামাচ্ছেন একইধারায়। সেখানেই আমার আপত্তি। এজন্যে অনেকেই আমাকে পছন্দ করেন না। আমি সে সব কেয়ার করি না। তাঁর নাম ভাঙাতে ভালো লাগে, অথচ সেই মানুষটির ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্র তৈরীর জন্য একটি কড়িও ব্যয় করতে চান না অনেকে। এর চেয়ে দু:খজনক আর কী হতে পারে।  

প্রশ্ন : সামগ্রিকভাবে বর্তমান বাংলাদেশের ওপর আপনার অবজারভেশন কী।
নূরল ইসলাম : খুবই ভালো। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ-এ নিয়ে কোনই সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে-এটিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর
আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নিউইয়র্কে সমাবেশ
আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নিউইয়র্কে সমাবেশ
মালয়েশিয়ান-আসিয়ান ইয়ুথ এসডিজি সামিটে ইয়ুথ হাব ফাউন্ডেশনের অংশগ্রহণ
মালয়েশিয়ান-আসিয়ান ইয়ুথ এসডিজি সামিটে ইয়ুথ হাব ফাউন্ডেশনের অংশগ্রহণ
‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো’ আগামী অক্টোবরে
‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো’ আগামী অক্টোবরে
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিউইয়র্কে 'মা দিবস' পালিত
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিউইয়র্কে 'মা দিবস' পালিত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ
‘সেবা দিতে ব্যর্থ হলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে’
‘সেবা দিতে ব্যর্থ হলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে’
কানাডায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উদযাপিত
কানাডায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উদযাপিত
মে দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার আলোচনা
মে দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার আলোচনা
কানাডায় মহান মে দিবস পালিত
কানাডায় মহান মে দিবস পালিত
পুত্রবধূসহ বেগম জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে
স্বাগত জানিয়ে নিউইয়র্কে আনন্দ-সমাবেশ
পুত্রবধূসহ বেগম জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে নিউইয়র্কে আনন্দ-সমাবেশ
কানাডার ক্যালগেরিতে সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার ক্যালগেরিতে সংগীত সন্ধ্যা
সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘গুড মর্নিং বাংলাদেশ’ এর বিগেস্ট মর্নিং টি
সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘গুড মর্নিং বাংলাদেশ’ এর বিগেস্ট মর্নিং টি
সর্বশেষ খবর
গুগল এবং কোওরার সিইওদের মন্তব্যে সাড়া দিলেন ইলন মাস্ক
গুগল এবং কোওরার সিইওদের মন্তব্যে সাড়া দিলেন ইলন মাস্ক

এই মাত্র | টেক ওয়ার্ল্ড

তিন দফা দাবিতে বুধবার ‘লংমার্চ টু যমুনা’ জবি শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবিতে বুধবার ‘লংমার্চ টু যমুনা’ জবি শিক্ষার্থীদের

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের সঙ্গে আমার কখনোই ঝামেলা ছিল না : আনচেলত্তি
রিয়ালের সঙ্গে আমার কখনোই ঝামেলা ছিল না : আনচেলত্তি

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জে সেই ব্যক্তিগত ‘আয়নাঘরের’ মালিক গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি
সিরাজগঞ্জে সেই ব্যক্তিগত ‘আয়নাঘরের’ মালিক গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিমের সঙ্গে যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয়
ডিমের সঙ্গে যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয়

৪১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

সাতক্ষীরায় ট্রলি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
সাতক্ষীরায় ট্রলি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঠারো কোটি টাকার অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করল নৌবাহিনী
আঠারো কোটি টাকার অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করল নৌবাহিনী

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কো-কারিকুলামে অভ্যস্ত করতে হবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কো-কারিকুলামে অভ্যস্ত করতে হবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

এসএসসির বাংলা ২য় পত্রের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নে অসঙ্গতি
এসএসসির বাংলা ২য় পত্রের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নে অসঙ্গতি

৫৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, শিক্ষক আটক
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, শিক্ষক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা
চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বোয়িংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো চীন
বোয়িংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, আটক ২
নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডাক্তার না হয়েও দেখেন রোগী, জরিমানা এক লাখ টাকা
ডাক্তার না হয়েও দেখেন রোগী, জরিমানা এক লাখ টাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৌশলী রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না : মুফতি রেজাউল করীম
কৌশলী রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না : মুফতি রেজাউল করীম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই
সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ বছর পর দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু
১৫ বছর পর দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ডলার গ্রেফতার
নাটোরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ডলার গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জমির বিরোধে কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জমির বিরোধে কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনচেলোত্তির অধীনেই ‘হেক্সা’ দেখছেন রিভালদো
আনচেলোত্তির অধীনেই ‘হেক্সা’ দেখছেন রিভালদো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বদলে গেল বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-২০ সিরিজের সূচি
বদলে গেল বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-২০ সিরিজের সূচি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় জোড়া খুনের ঘটনায় আসামির স্বীকারোক্তি
নওগাঁয় জোড়া খুনের ঘটনায় আসামির স্বীকারোক্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাঁদপুরে অনুমোদন ছাড়াই বিএসটিআই লোগো ব্যবহার, অর্থদণ্ড
চাঁদপুরে অনুমোদন ছাড়াই বিএসটিআই লোগো ব্যবহার, অর্থদণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোদির ভাষণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান
মোদির ভাষণের কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে থেকেই মেয়র নির্বাচিত হলেন ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো
কারাগারে থেকেই মেয়র নির্বাচিত হলেন ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ উপলক্ষে রাবিতে আলোচনা সভা
ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ উপলক্ষে রাবিতে আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘পুলিশ কিলার ফোর্স হতে পারে না, বড়জোর শটগান থাকতে পারে’
‘পুলিশ কিলার ফোর্স হতে পারে না, বড়জোর শটগান থাকতে পারে’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
গ্রেফতার মমতাজ; এতদিন লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?
গ্রেফতার মমতাজ; এতদিন লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা
আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান
পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের বিমান উপহার পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
কাতারের বিমান উপহার পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি
এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি

২০ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ
চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস
শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল
প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইল ভারত
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইল ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ
আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার
এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত
পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিকার মোবাইলে হোটেলের ওয়াইফাই সংযোগ, রাগে সম্পর্কচ্ছেদ প্রেমিকের!
প্রেমিকার মোবাইলে হোটেলের ওয়াইফাই সংযোগ, রাগে সম্পর্কচ্ছেদ প্রেমিকের!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’
‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেস্টুরেন্ট নয়, এ যেন মরণফাঁদ!
রেস্টুরেন্ট নয়, এ যেন মরণফাঁদ!

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না : অর্থ উপদেষ্টা
ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না : অর্থ উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা
এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

সারা ফেলেছে পঞ্চগড়ের লাল সোনা
সারা ফেলেছে পঞ্চগড়ের লাল সোনা

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ভারতের সাথে সংঘর্ষে ১১ সেনাসহ ৫১ জন নিহত : পাকিস্তান সেনাবাহিনী
ভারতের সাথে সংঘর্ষে ১১ সেনাসহ ৫১ জন নিহত : পাকিস্তান সেনাবাহিনী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের জরুরি সতর্কবার্তা
লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের জরুরি সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সহায়তা পেতে সেনা ক্যাম্পের হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ
সহায়তা পেতে সেনা ক্যাম্পের হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি
জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
জয় এখন মার্কিন নাগরিক গ্রহণ করেছেন পাসপোর্ট!
জয় এখন মার্কিন নাগরিক গ্রহণ করেছেন পাসপোর্ট!

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থ পাচারে সেভেন স্টার
অর্থ পাচারে সেভেন স্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মহাসমাবেশ
ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মহাসমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আখের সঙ্গে ধান চাষে বদলে যাবে কৃষি অর্থনীতি
আখের সঙ্গে ধান চাষে বদলে যাবে কৃষি অর্থনীতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিগগিরই পিএইচডি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিগগিরই পিএইচডি

প্রথম পৃষ্ঠা

যে স্বপ্ন পূরণ হলো না শাকিব খানের
যে স্বপ্ন পূরণ হলো না শাকিব খানের

শোবিজ

হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রতিকূল পরিবেশেও বিশ্বে বাড়ছে বাংলাদেশি ডেনিমের চাহিদা
প্রতিকূল পরিবেশেও বিশ্বে বাড়ছে বাংলাদেশি ডেনিমের চাহিদা

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক

প্রথম পৃষ্ঠা

চুরি দেখে ফেলায় দুই খালাকে খুন করে ১৪ বছরের ভাগনে!
চুরি দেখে ফেলায় দুই খালাকে খুন করে ১৪ বছরের ভাগনে!

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহবাগে গরু ছাগল জবাই
শাহবাগে গরু ছাগল জবাই

পেছনের পৃষ্ঠা

যেমন আছেন নাটকের সিনিয়র শিল্পীরা
যেমন আছেন নাটকের সিনিয়র শিল্পীরা

শোবিজ

জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন চিকিৎসা খাতে
জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন চিকিৎসা খাতে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন
নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

প্রথম পৃষ্ঠা

আকস্মিক ঢাকা ত্যাগ পাকিস্তান হাইকমিশনারের
আকস্মিক ঢাকা ত্যাগ পাকিস্তান হাইকমিশনারের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইনসাফের প্রতি দৃঢ় থাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের
ইনসাফের প্রতি দৃঢ় থাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের

প্রথম পৃষ্ঠা

কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার
কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন
সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনী
শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনী

নগর জীবন

ঘুষ-দুর্নীতির ৯০৯ অভিযোগ-পরামর্শ
ঘুষ-দুর্নীতির ৯০৯ অভিযোগ-পরামর্শ

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন হলো ব্রিটেনে আসা ও স্থায়ী হওয়া
কঠিন হলো ব্রিটেনে আসা ও স্থায়ী হওয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বাধীনতাবিরোধীদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার আহ্বান এনসিপির
স্বাধীনতাবিরোধীদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার আহ্বান এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই অতিরিক্ত কমিশনারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
দুই অতিরিক্ত কমিশনারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‌্যাব পুনর্গঠন

প্রথম পৃষ্ঠা

জাপাসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ
জাপাসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেসবুকে নেতাদের বাহাস
ফেসবুকে নেতাদের বাহাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবি থেকে দূরে অনন্ত
ছবি থেকে দূরে অনন্ত

শোবিজ

যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের শঙ্কা
যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা