ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন। এটি একমাত্র ভাষণ যার মাধ্যমে একটা জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যেও অমূল্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ভাষণের উপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত ভাষণ দেন স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
শুরুতে ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিওটি প্রদর্শন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। আলোচকগণ এই ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, সুদূরপ্রসারী প্রভাবের উপর আলোকপাত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিশনের কাউন্সিলর মো. তৌফিকুর রহমান।
এদিকে, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ৭ মার্চ এর ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর আবেদন কালোত্তীর্ণ।
অনুষ্ঠানে আয়োজিত বিশেষ মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা