যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) গত ১৩ এপ্রিল (শনিবার) আয়োজন করে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির উৎসবমুখর দিকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেশের ছাত্র-শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের কাছে উপস্থাপন করা।
দেড় শতাধিক দর্শককে সাথে নিয়ে ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে প্রথমবারের মতো উদযাপিত এই বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের প্রতি দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তারপর ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করে স্বাগত জানানো হয় বাংলা বর্ষের প্রথম দিনটিকে।
গান পরিবেশনের সময় দর্শকরা যেন গানের মর্মার্থ বুঝতে পারেন সে দিকে লক্ষ্য রেখে গানের সাথে সাথে প্রজেক্টরে গানের ইংরেজি অনুবাদও প্রদর্শিত হয়। অতঃপর অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা ‘আমি নেই আমার না থাকা আছে’র ইংরেজি অনুবাদ আবৃত্তি করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। রাতের খাবারের বিরতির পূর্বে শেষ প্রদর্শন হিসেবে সম্মিলিত নৃত্য উপস্থাপন করেন মায়মুনা, অনন্যা, মৌমিতা ও শুভ্র।
সংক্ষিপ্ত বিরতির পর স্ব-রচিত পুঁথি নিয়ে মঞ্চে আসেন শেখ রাকিবুল হাসান ও তার সহযোগীরা। তার পুঁথির চমৎকার সুরে মোহাবিষ্ট ছিলেন উপস্থিত সকল দর্শক। দলগত পুঁথি পরিবেশনার পর মঞ্চায়িত হয় একক কবিতা ও গান। বাঙালির পরিচয় সমৃদ্ধ সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘আমার পরিচয়’ আবৃত্তি করে শোনান জুনাইদ আল মামুন। বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ড ডিফারেন্ট টাচের ‘শ্রাবণের মেঘগুলো’ গানটি গেয়ে শোনান তালহা জোবায়ের।
অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনার শেষ সংযোজন হিসেবে দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন সিলভি ও মায়মুনা। অতঃপর একটি রম্য নাটিকা মঞ্চস্থ করেন মিজানুর রহমান, রাকিবুল হাসান, তালহা জোবায়ের ও শুভ্র। অনুষ্ঠানের শেষে ফ্যাশন শো’র মাধ্যমে মঞ্চায়িত হয় বৈশাখের উৎসবমুখর আবহ, বসন্তের মন হারানো তারুণ্য, বাঙালি মুসলিম বিয়ের সংস্কৃতি, ঈদের আনন্দ, ও পুজার উৎসব।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন তনিমা হায়দার। ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়মুনা আক্তারের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যের মাঝ দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম