২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:৫৭

নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :

নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জেএফকে এয়ারপোর্টে স্বাগত জানাতে শতশত প্রবাসীর সমাগম ঘটে। ‘বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা-শুভেচ্ছা-স্বাগতম’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। আর এভাবেই পুরো এয়ারপোর্ট এলাকা মুজিব সৈনিকদের দখলে চলে যায়। 

অপরদিকে, প্রায় দুইশত গজ দূরে বিএনপির ছোট্ট একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় এয়ারপোর্ট পুলিশের বেষ্টনীতে। গত ১০ বছরের মধ্যে বিএনপির এটি ছিল সবচেয়ে কমলোকের সমাবেশ। তারা এটি করেন ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচির আওতায়। 

২২ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ইত্তিহাদ এয়ারলাইন্সে শেখ হাসিনা তার সফরসঙ্গিসহ নিউইয়র্ক সিটির জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন। জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এই আগমণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন।  নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারসহ নেতা-কর্মীদের বর্ণাঢ্য সমাবেশটি জয়-বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ,নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতৃবৃন্দ পুরো কর্মসূচির সমন্বয় করেন। সম্মেলনের দাবিতে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত থাকলেও দলীয় নেতাকে স্বাগত জানানোর এ সমাবেশে তার বিন্দুমাত্র চিহ্ন দেখা যায়নি। অধিকন্তু পরস্পরের সহযোগী হয়েই টানা দু’ঘন্টার কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন। 
জেএফকে এয়ারপোর্টের ৪ নম্বর টার্মিনালের প্রবেশ দ্বারেই পুলিশের সতর্ক প্রহরায় অনুষ্ঠিত এ স্বাগত সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিজাম চৌধুরী, ড. খন্দকার মনসুর, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, জাকারিয়া চৌধুরী, আব্দুল কাদের মিয়া, এম এ সালাম, সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আবুল হোসেন, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, আশরাফুজ্জামান, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, আব্দুল হাই জিয়া, মোহাম্মদ হানিফ, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, জাহাঙ্গির হোসেন, কায়কোবাদ খান, জালালউদ্দিন জলিল, মোর্শেদা জামান, সবিতা দাস, সুব্রত তালুকদার, জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, সালেহ শফিক গেন্দা, রুবাইয়া শবনম প্রিয়া, এটিএম মাসুদ, এটিএম আলম, শেখ সেলিম, ফারুক হোসেন, হোসেন রানা, কাজী আজিজুল হক খোকন, নুরুজ্জামান সর্দার, সাখাওয়াত বিশ্বাস, ইকবাল ইউসুফ, আবু তাহের বীর প্রতিক প্রমুখ। ছিলেন জাসদের আব্দুল মোসাব্বিরসহ নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম ফজলুল হকও ছিলেন স্বাগত সমাবেশে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই আসছি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। সকলেই স্বতস্ফ’র্তভাবে এয়ারপোর্টে এসেছেন বলেই মনে হলো। 
অপরদিকে, বিএনপির বিক্ষোভে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন শরাফত হোসেন বাবু, মিল্টন ভূইয়া, এম এ বাতিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, জসীম ভূইয়া, মাকসুদ চৌধুরী, মোশারফ হোসেন সবুজ, গিয়াসউদ্দিন, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, রকিবউদ্দিন দুলাল, রুহুল আমিন নাসির, কাওসার আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম জনি, রাশিদা আহমেদ মুন, এলিজা আকতার মুক্তা, আশরাফ হোসেন, আনিসুর রহমান খোকন, রইছউদ্দিন, সালেহ মানিক, রেজবুল কবির, হাসান মাহমুদ, আতিকুল হক আহাদ, শেখ হায়দার আলী, ওয়েছ আহমেদ, শামীম আহমেদ, আশরাফ হোসেন, নাসিম আহমেদ, বদিউল আলম প্রমুখ। তারা অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কখনোই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা। 

এদিকে, এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এরপর শেখ হাসিনার গাড়ি বহর সরাসরি জাতিসংঘ সংলগ্ন হোটেল লটে প্যালেসে গমন করে। সেখানে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। এই হোটেলেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সফরসঙ্গির অধিকাংশই উঠেছেন হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে। এবার বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন বিএফইউজের প্রেসিডেন্ট মোল্লা জালাল।  

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর