১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:১৪

খালেদার মুক্তির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সহায়তা চেয়ে স্মারকলিপি

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

খালেদার মুক্তির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সহায়তা চেয়ে স্মারকলিপি

বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছেন কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারমেন।

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সহায়তা চেয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একদল নেতাকর্মী।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটিতে এশিয়া মহাদেশ বিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যান (Subcommittee on Asia, the Pacific, Nonproliferation, Chairman) কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারমেনের কাছে এ স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

রবিবার এই কংগ্রেসম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করেন ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল এ চৌধুরী শিপলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। 

এ সময় তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতিসহ কারাগারে আটক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দেন। চিকিৎসার স্বার্থে দ্রুততার সঙ্গে মুক্তি প্রয়োজন বলেও নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন। 

নেতৃবৃন্দ এ সময় অভিযোগ করেন, সাজানো মামলায় তাকে জেল দেয়া হয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই কংগ্রেসম্যান মনোযোগ সহকারে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কথা শোনেন। এ নিয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আরও বিস্তারিত জানার পর সহকর্মীদের সাথে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করেন।
 
লস এঞ্জেলেস সিটি সংলগ্ন এলাকা নিয়ে গঠিত ৩০তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে ১৯৯৭ সাল থেকে নির্বাচিত হয়ে আসা কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারমেন এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মার্কিন রাজনীতির সাথে আরও জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার আহবান জানান। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনের বছরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিজয় দানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। অভিবাসীদের গড়া এই আমেরিকায় ট্রাম্পের কারণে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হচ্ছেন কঠোর পরিশ্রমী অভিবাসীরা-এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন এম ওয়াহিদ রহমান, মো. আ. বাছিত, মিকায়েল খান রাসেল, শাহাদাৎ হোসেন শাহীন, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জেবুল, মোয়াজ্জেম আহমেদ রাসেল, বদরুল আলম মাসুদ প্রমুখ। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজপথে সরব থাকার পাশাপাশি আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলেও দেন-দরবার অব্যাহত রাখবো বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর