সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়েসরকারের চলমান সার্কিট ব্রেকারের সময় বৃদ্ধি করার বিষয়ে ঘোষনা দেন। চলমান সার্কিট ব্রেকার আগামী ৪ মে পর্যন্ত থাকলেও তা বৃদ্ধি করে আগামী ১ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে
গত সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকরা সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের মতো একই সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং যা তারা ইতিমধ্যে পাচ্ছেন। সার্কিট ব্রেকার চলাকালীন অভিবাসীরা যেন সঠিক সময় বেতন পায় সরকারের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে নতুন ১,১১১ জন নতুন আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে, এদের মধ্যে অন্যদিনের মতোই বাংলাদেশিদের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৯১২৫ জন, এদের মধ্যে এখনও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৫৯৩ জন, আইসিইউতে রয়েছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৮৩৯ জন।
এদিকে, গত সোমবার (২০ এপ্রিল) থেকে সিঙ্গাপুর সরকার নতুন করে একটি নির্দশনা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে আগামী ১৪ দিন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা সকল ওয়ার্ক পারমিট হোল্ডার এবং এসপার্স হোল্ডার নিজ বাসা থেকে বের হতে পারবেন না। তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। যদি কেউ এই নির্দেশনা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে সরকারের অইন অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে কাজের অনুমতি বাতিল এবং জরিমানা করা হবে।
গত রবিবার দেশটিতে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় ২৪০ জনকে ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানা করা হয়েছে এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় আরও ১২০ জনকে ৩০০ ডলার করে জরিমানা করা হয়েছে। যেসকল ডরমিটরিতে লকডউন করা হয়েছে সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য খাবার, চিকিৎসা সেবা, ইন্টারনেট ব্যবস্থাসহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে কিছু ছোট কোম্পানিগুলো তাদের ওয়ার্কারদের দেখাশুনা করছেনা বলে জানা গেছে। সেই সব শ্রমিকরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ