করোনাভাইরাস সনাক্তের দুই মাস পর বাহরাইনে প্রথম রমজানেই রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বরাতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এটি প্রকাশিত হয়।
মন্ত্রনালয়ের তথ্যমতে, গতকাল ২৪ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয় ৩০১ জন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে প্রবাসী শ্রমিক। গত ২ মাসে মোট ১,০৭,২৭৩ জনকে পরীক্ষা করে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫১৮ জনে। তবে গতকাল নতুন করে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে ২ মাসে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন। মৃত্যুর খাতায় কোন বাংলাদেশির নাম এখন পর্যন্ত নেই। আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ জন বাংলাদেশি।
আক্রান্তের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে যায় ১১১৩ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৩৯৭ জন। এদের মধ্যে একজন আশংকা জনক অবস্থায় রয়েছেন।
থেমে থেমে লকডাউন আর আইন কানুনের শিথিলতার মধ্যে ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অনেকটাই সফল বাহরাইন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রয়োজণ আছে বলে মনে করেন অনেকে। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস বিশ্বকে কাঁপিয়ে যে মুহুর্তে হানা দেন বাহরাইনে, তখন শুধু আক্রান্ত হয়েছিল বেশির ভাগ বাহরাইনের নাগরীক। এটির প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের চলমান সিদ্ধান্ত যথেষ্ট না হওয়ায় এবং জনগনের অসচেতনতায় ধীরে ধীরে এটি সংক্রামিত হতে থাকে বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের মাঝে।
ইতোমধ্যে এটি অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক হারে। যার ফলে দেশটির বেশ কয়টি শহরের অনেকগুলো ভবনে শ্রমিকদের মাঝে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ায়। ঐ ভবন গুলো লকডাউন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে রয়েছে অসংখ্য বাংলাদেশি। এতে ভবনে আটকা পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা খাদ্যসহ নানা সঙ্কটে রয়েছে বলে একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন।
তবে দূতাবাস বরাবরের মত বলে যাচ্ছে, সে সব বাংলাদেশিদের প্রতি দায়িত্বের কথা। যেদিন ঘোষণা করা হয় রমজানের, বাহরাইনে করোনাভাইরাস সনাক্তের ২ মাস শেষ হয়, আর সেদিনই বৃদ্ধি পায় আক্রান্তের সংখ্যা। ঘোষণা হয় দ্বিতীয় বারের মত জরুরী নির্দেশনার বা আংশিক লকডাউনের। বাধ্যতামুলক করা হয়েছে ফেইস মাস্ককে। চিহ্নিত করা হয়েছে জনসমাগমের পর ঘনবসতি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ