বিরোধী লেবার পার্টির ছায়া অর্থমন্ত্রী অ্যানিলিজ ডডস বলেছেন, তিনি এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাননি যাতে তার ৬ বছরের সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে স্বস্তি বোধ করতে পারেন। খবর-বিবিসি।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ন্যাশনাল এ্যাডুকেশন ইউনিয়ন (এনইইউ) তার সদস্যদের সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘোষিত জুনে স্কুল খুলে দেয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত না করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
দেশটির প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন এনএএইচটি জুনে স্কুল খুলে দেয়ার পরিকল্পনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যায়িত করে বলেছে, এভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব।
এনএএইচটি’র সাধারণ সম্পাদক পল হোয়াইটম্যান জানান, আসল বিষয় হচ্ছে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস নেয়ার মতো পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ স্কুলগুলোতে নেই। সোমবার ন্যাশনাল এ্যাডুকেশন ইউনিয়ন (এনইইউ) পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ শিক্ষক জুনে স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।
প্রধান শিক্ষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যদি মনে করেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, তাহলে সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও স্কুল বন্ধ রাখার অধিকার তাদের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ১ জুন স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্যাটিক রোচ সোমবার বিবিসিকে বলেন, সরকার একটা তারিখ ঘোষণা করেছে অথচ তারা এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি। কিভাবে স্কুলগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে নিরাপদ করা হবে এবং শিক্ষার্থী ও স্কুলকর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন