করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানানো উচিত মনে করছেন প্রবাসীরা।
সিঙ্গাপুর সরকার যে আন্তরিকতার ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে কাজ করছে দেশটির প্রবাসী হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছে অনেকে শ্রমিক।
প্রতিটি অভিবাসী শ্রমিকদের একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের মতো করে চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় কাজে প্রতিটি শ্রমিক দেশটির সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। করোনার সঠিক কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও সিঙ্গাপুর সরকারের সঠিক চিকিৎসা ও নার্সিং বেশি কার্যকর ভূমিকায় রোগী সেরে উঠছে। সারা বিশ্বে একমাত্র সিঙ্গাপুরেই মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুবই কম, একমাত্র সিঙ্গাপুর সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এর কারণে, আমরা বাংলাদেশি হিসেবে অভিভূত হয়েছি।
একজন বাংলাদেশের শ্রমিককে দুই মাসের বেশি সময় আইসিইউতে গুরুত্বের সাথে রেখে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি দেখে সিঙ্গাপুরে জাতীয় দৈনিকসহ অনলাইন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছেন। কিন্ত অবাক করার বিষয় হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দৈনিকে তো দূরের কথা কোনো আলোচনাই হয়নি, সিঙ্গাপুরের এমন মহানভুবতা দেখে প্রায় প্রতিটি দেশের সরকার প্রধানরা কৃতজ্ঞতার সাথে সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি।
সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনেক প্রবাসীরা অনুরোধ করছেন এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য। এবং বর্তমানে বাংলাদেশি প্রবাসীরা যে সমস্যা নিয়ে বেশি আতঙ্কিত সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট জটিলতা অনেক প্রবাসীর ওয়ার্ক পারমিটের এর মেয়াদ শেষ হলেও পাসপোর্ট কারণে সেটা বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। যথাসময়ে পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ার কারণে এর প্রধান সমস্যা হচ্ছে- বর্তমান পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট ছাপাসহ ভিবিন্ন কাজগুলো স্থগিত রয়েছে।
যদি ছাপার কাজটি করে পাসপোর্ট এর নাম্বারটি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রবাসীদের কাছে পৌঁছানো হয় তবে প্রবাসীরা সঠিক সময়ে তাদের ওয়ার্কপারমিট রেনু করতে পারবে। দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই উদ্যোগটি নেয়া জরুরি বলে মনে করছে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত প্রবাসীরা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত