সামনের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দিন সবকটি কংগ্রেস, ইউএস সিনেটের ৩৩ আসন ছাড়াও পেনসিলভেনিয়াসহ বেশ কটি স্টেটে বিভিন্ন পর্যায়ের ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচন (প্রাইমারি) ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। করোনা আতঙ্কে লোকজনের ঘরে থাকার নির্দেশ সত্বেও কয়েকটি স্টেটে প্রাইমারি সম্পন্ন হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেটের প্রাইমারি অবশ্য আদালতের নির্দেশে স্থগিত রাখা হয়েছে।
আগামী ২ জুন পেনসিলভেনিয়া স্টেটের অডিটর জেনারেলসহ বিভিন্ন আসনের প্রাইমারি এখনও বহাল রয়েছে। এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা করোনায় গৃহবন্দী থেকেই নানান অবলম্বনে ভোট প্রার্থনা করছেন।
১০ মে এমনি একটি ভোট প্রার্থনায় ক্যাম্পেইন টিমের এক মিটিংয়ের আয়োজন করেন ডেমক্র্যাটিক পার্টি থেকে অডিটর জেনারেল প্রার্থী বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ। জুম এবং আইফোনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল ক্যাম্পেইন মিটিংয়ে কেবলমাত্র বাংলাদেশি সংগঠকরাই অংশ নেন পেনসিলভেনিয়া ছাড়াও নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, দেলওয়ারে, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়াসহ বিভিন্ন স্টেট থেকে। এর সমন্বয় করেন ক্যাম্পেইন কমিটির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড. ইবরুল চৌধুরী।
এ সময় জানানো হয় যে, দলীয় মনোনয়নের এ দৌড়ে মোট ৬ জনের শীর্ষে রয়েছেন ড. নীনা। তিনি বলেন, আগাম ভোট দেয়া যাচ্ছে। তাই এই সংকটের সময়ে কেন্দ্রে যাবার ঝুঁকি না নিয়ে আগাম ভোট ডাকযোগে প্রেরণের সুযোগ নিতে পারেন। ১৮ মে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির শেষ দিন। কেউ যাতে ভোটের এ সুযোগ থেকে নিজেকে দূরে না রাখেন। কারণ, সামনের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। ট্রাম্পকে হঠাতে হবে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে এবং একইসাথে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকেও জয়ী করতে হবে। তাহলেই ফেডারেল এবং স্টেট থেকে নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথ সুগম হবে।
জানা গেছে, পেনসিলভেনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ কমিউনিটি গ্রুপগুলো সমর্থন জানিয়েছে ড. নীনাকে। তিনি জয়ী হতে পারলে কমনওয়েলথের ২৩৩ বছরের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সংযোজন ঘটবে। প্রথম কোন এশিয়ান হিসেবে এ অঙ্গরাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একটি পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছ্বতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অভিবাসী সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথ সুগম করতে চান ড. নীনা। অঙ্গরাজ্য প্রশাসনে ব্রাউন কালারের একজন হিসেবে এবং নারী হিসেবে অধিষ্ঠিত হবার বাধাসমূহ দূর করতে চান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
.