কাতারে করোনা মহামারীতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে অর্থনীতির চাকা সচল করতে ধাপে ধাপে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এর অংশ হিসেবে দোকান পাট, কলকারখানা ও বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কয়েক ধাপে চালু করে নতুন সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি পরিবর্তে করে বৃহস্পতিবার থেকে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতদিন এক গাড়িতে সর্বোচ্চ দুইজন বসার যে নির্দেশনা ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে যানবাহনে ৪ জন যাত্রী বসার বিধান রয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিরা
অন্যদিকে রেস্তোঁরা, ক্যাফেটেরিয়াতে শুধুমাত্র গ্রাহকদের জন্য পার্সেল এর ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া জিম সেন্টার, সেলুন ও বিউটি পার্লার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সোমবার (১৫ জুন) ভোর থেকে কাতারজুড়ে প্রায় ৫০০ মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে নামাজ আদায়ের জন্য।
ফলে তিন মাস বন্ধ থাকা মসজিদ গুলোতে আবারও মুসলিদের আনাগোনা ও ইবাদতের মুখরিত হয়ে উঠবে পবিত্র ঘরগুলো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সব মসজিদ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কাতার ওয়াকফ মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আযানের ১০ মিনিট আগে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। মসজিদের দরজা জানালা খোলা থাকলেও অজুখানা ও টয়লেট বন্ধ থাকবে।
আর মসজিদে নামাজিদের প্রবেশের জন্য আযানের পাঁচ মিনিট আগে একটি দরজা খোলা হবে। নিজস্ব জায়নামাজ, মাস্ক, মোবাইলে এহতেরাজ অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক অন্যথায় মসজিদে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। একজন মুসল্লি থেকে অন্যজনে সামাজিক দূরত্ব ২ মিটার হবে। নামাজ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরো মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কাতারে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯,৬০২ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৬,৮৯৮ জন। আর এ পর্যন্ত ১৩ বাংলাদেশিসহ করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেন ৭৩ জন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ