পুলিশী বর্বরতার প্রতিবাদ এবং বর্ণবাদ নির্মূলের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে আশপাশের দোকান-পাটে হামলা ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে। যার শিকার হয়েছেন এক হাজারের অধিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীও। এবার সেসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্ত গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে ১২০০, ফিলাডেলফিয়ায় ২৮০, লস এঞ্জেলেসে ৩৫০, ওয়াশিংটন ডিসিতে ৭৬, টেক্সাস, মিনিয়াপলিস, সিয়াটল, পোর্টল্যান্ড, আটলান্টা, মায়ামী, নিউ অর্লিন্স প্রভৃতি স্থান থেকে আরও ২২৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিনিয়াপলিস সিটির থার্ড প্রেসিঙ্কট পুলিশ স্টেশনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মূল নায়ক ডাইল্যান রবিনসনকেও (২২) কলরাডোর ব্রিকেনরিজ সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৮ মে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ থেকে এই যুবক পুলিশ স্টেশনে মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করেছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সিটির পুলিশ এবং এফবিআই লুটতরাজের সাথে জড়িতদের শনাক্ত এবং মামলা দায়েরের কাজ করছে বলে জানা গেছে।
গত ২৫ মে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার সাথে জড়িত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বর্ণবিদ্বেষের ভিকটিম হয়ে আর কোন কৃষ্ণাঙ্গের প্রাণ যাবে না-এমন নিশ্চয়তার দাবি যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদী আন্দোলন শুরু হয়। এখনো চলছে এই আন্দোলন। বিক্ষোভ-মিছিলে অংশগ্রহণকারিদের কেউই লুটে অংশ নেয়নি বলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা