কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার এয়ার গ্যালাক্সি'র মাধ্যমে বিশেষ ফ্লাইটে ছুটিতে আটকে পড়া বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী, ছাত্র,অন্যান্য পেশাজীবী ও কোরিয়ান নাগরিকসহ প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছে।
এই ফ্লাইটেই যাওয়া শুধুমাত্র জেজু হাল্লা ইউনিভার্সিটিরই ১৮ জন ছাত্রের করোনা টেস্ট করার পর তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এক জন সন্দেহজনক অবস্থায় আছে। পুনরায় তাকে টেস্ট করানো হবে এবং তাকে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাকি ১৪ জনের নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। কোভিড-১৯ পজিটিভ তিন জন ছাত্র বর্তমানে জেজু ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ইনছন বিমানবন্দরে নামার পর করোনা ট্যাক্সি করে খিম্পু এয়ারপোর্টে অবতরণের পর চারটি ভিন্ন ফ্লাইটে জেজু দ্বীপে যায় বাংলাদেশি ছাত্ররা।
এদিকে বিমানে আসা অন্যান্য যাত্রীরা সংস্পর্শে এসেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এছাড়া আজ শুক্রবার সকালে একই বিমানে বাংলাদেশ থেকে চাটার্ড ফ্লাইটে আরও দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া দুই জনের মধ্যে একজন ইনছন সিটির অন্যজন পাজু সিটির। একই চার্টার চাটার্ড ফ্লাইটে যাওয়া আরও একজনের করোনা শনাক্ত। শনাক্ত ব্যক্তি ১৩ বছর বয়সী কিশোর নামিয়াং সিটির বাসিন্দা। এই নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতে। অন্যান্য ৬ জনের মধ্যে জেজু দ্বীপে তিন জন, ইনছন, পাজু, ইকসান সিটিতে এক জন করে।
১৩ বছর বয়সী কিশোরের সংস্পর্শে আসা পরিবারের তিন জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং তাদেরও করোনা টেস্ট করানো হবে।
এই নিয়ে এই ফ্লাইটে যাওয়া ১২০ জন বাংলাদেশির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন