জার্মান প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন করেছেন গ্রীষ্মকালীন বর্ণিল উইকেন ডে। যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীরা অংশ নিয়েছেন। যার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার, বাঙালির মমত্ববোধ, বাঙালির জাগ্রতবোধ ও বাঙালির সততাবোধ বিশ্বদরবারে তুলে ধরাসহ জার্মানিতে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া।
করোনাকালে দেশটির সরকারের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানবতার কল্যাণে বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে এ ধরনের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে।
জানা যায়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রবাস জীবনযাপনে সংঘবদ্ধতা, প্রতিবেশীদের সান্নিধ্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলা-জার্মান সমিতি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সমাজ ও সাংস্কৃতিকে জার্মানিতে একটা সুষ্ঠুরূপ দেওয়াই সমিতির মূল লক্ষ্য।
সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন চ্যারিটি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয় করে তা বিভিন্ন মানবতার কল্যাণে ব্যয় করা হয়। যার বেশি ভাগ অর্থই প্রদান করা হয় বাংলাদেশের অসহায় মানুষের কল্যাণে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অসহায়-গরিব মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র এবং পানি পরিশোধন সামগ্রী বিতরণ করে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সংগঠনের কাজ চলছে বলে বাংলা-জার্মান সমিতির কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে তা স্পষ্ট করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি শামীম আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জেমস জুয়েল বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নদী বিশ্বাস ও সহকারী কাজী নিগার সুলতানা, উপদেষ্টা বদরুল হায়দার আরজু, ডেভিড কামার, প্রদীপ সাহা, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর কাজী হাবিব, সদস্য সত্ত্বোজিৎ অপু, পরিক্ষিথ রায়, হারুনর রশীদ হারন, স্বপন কুমার রায়, বাবুল সরকার এবং রিয়াজ সেলিম, রুমা।
আরও যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় আয়োজনটি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে তারা হলেন ছন্দা, শিমুল, করিনা, তাপসি, আলো, ডোরা, রুমা, অর্চনা, ডেমি, এলকে, শীলা, রওশনা হায়দার ও মিঠু বৌদি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত সবার জন্য বাঙালির ঐতিহ্যের বাহারি খাবার তালিকায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল আস্ত খাসির গ্রিল। ভোজন আর সাংস্কৃতিক মিলন মেলায় আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই শেষ হয় বাংলা-জার্মান সমিতির বর্ণিল গ্রীষ্মকালীন উইকেন ডে’র আয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই