সেনসাস অর্থাৎ লোক গণনার কার্যক্রম ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। বছরব্যাপি এই কার্যক্রমে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকল্পে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। করোনার কারণে কিছুটা ব্যাহত হলেও অনলাইনে সব সময় তা অব্যাহত রয়েছে। শেষ ধাক্কা হিসেবে গতকাল বিকেলে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় সেনসাসের লোকজনকে দেখা যায়। মূল আয়োজনে ছিলেন কমিউনিটি লিডার ফাহাদ সোলায়মান, মাজেদা এ উদ্দিন, আহনাফ আলম প্রমুখ।
ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের জন্যে সিটিজেনদের উদ্বুদ্ধ করার এ কার্যক্রমের মধ্যমণি ছিলেন স্থানীয় স্টেট এ্যাসেম্বলীওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ। তিনি বিভিন্ন ভাষার মানুষের সাথে আসন্ন নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। সে সময় সেনসাসের একটি প্রচারপত্রের প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদদাতা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিউনিটির প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিমধ্যেই খ্যাতি অর্জনকারি ক্যাটালিনা ক্রুজ বলেন, ‘১৩ ভাষায় সেনসাসের প্রচারপত্র বিলি হয়েছে। এরমধ্যে বাংলা নেই কিংবা সেনসাসের ব্যাপারে দেয়া হটলাইনেও বাংলায় কথা বলার সুযোগ নেই। এর কারণ হচ্ছে অধিকসংখ্যক বাংলাদেশী-অভিবাসী ১০ বছর আগের সেনসাস কিংবা বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট দেননি। তাই, সামনের নির্বাচনে যেন তারা অনেক বেশী সংখ্যায় ভোট দেন অথবা চলমান সেনসাসে অংশ নিতে যেন দ্বিধা না করেন। তাহলেই ১০ বছর পর যে সেনসাস হবে সেখানে বাংলা ভাষাকেও যুক্ত করতে বাধ্য হবে ফেডারেল প্রশাসন।’
‘শুধু রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিলে চলবে না, কিংবা সিটিজেনশিপ গ্রহণ করেই বসে থাকলে চলবে না। সিটিজেন হবার পরই ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হবে। এবং কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের গুরুত্ব অবশ্যই বাড়বে প্রশাসনের সকল পর্যায়ে’-মন্তব্য ক্যাটালিনার।
উল্লেখ্য, এই রেজিস্ট্রেশন কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। সে সময় সেনসাসে অংশগ্রহণেও আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেকের মধ্যে।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, প্রতি ১০ বছর অন্তর সেনসাস অনুষ্ঠিত হয় ফেডারেল তহবিল বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণের জন্যে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকাও পুনর্গঠিত হয়ে থাকে। এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসা এবং উন্নয়নের বাজেটও নির্দ্ধারণ করা হয় লোকসংখ্যার ভিত্তিতে।
আরো উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর থেকেই নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে আগাম ব্যালট নিয়ে ভোট দেয়া যাবে। তাই ৩ নভেম্বরের ভীড় এড়াতে অথবা করোনা সংক্রমণের ভীতি থেকে দূরে থাকার সুবিধার্থে আগেই সকলকে ভোট প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন নিউইয়র্ক বোর্ড অব ইলেকশনের কর্মকর্তা মাজেদা এ উদ্দিন। এ সময় টেবিল-চেয়ার বসিয়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণে প্রবাসীদের সহযোগিতা করতে দেখা যায় তরুণ ডেমক্র্যাট আহনাফ আলম, মিসেস শাহানাকে। এর একদিন পর সোমবার বিকেলে ব্রুকলীনে আরেকটি ভোটার-রেজিস্ট্রেশনের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় মাজেদা এ উদ্দিনের সার্বিক সমন্বয়ে। সেখানেও বিপুলসংখ্যক প্রবাসী নিজেদেরকে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন ছিল ৯ অক্টোবর।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন