বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারার উদ্যোগে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দূতাবাসের নবনির্মিত বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী, দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তুরস্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মো. রাশেদ ইকবাল এবং মিশন উপ-প্রধান মো. রইস হাসান সারোয়ারের উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান।
অনুষ্ঠানটির শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। তিলাওয়াত শেষে সমগ্র মানব জাতির মুক্তির দূত আখেরি জামানার শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্মের উপর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য অতিথিদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ক বিষদ আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সমগ্র মানব জাতির কল্যাণ প্রতিষ্ঠা এবং পৃথিবী ও আখেরাতে শান্তি ও জান্নাত লাভের প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জীবন ও কর্মের আলোকে জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য ও গুরুত্ব উপলব্ধি ও সে অনুযায়ী জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি তুরস্কে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দূতাবাসের নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন এবং যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাস সার্বক্ষণিক সবার পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি ভবিষ্যতে দূতাবাসে আয়োজিত সম্ভাব্য সকল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ পাঠ করা হয়। এপরর দেশ ও জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনা, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই