ভারতের নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে।
শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হক দূতাবাসের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আগত অতিথিদের সাথে নিয়ে দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত ভিডিও বার্তাটি প্রদর্শন করা হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করেন এবং দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত যে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে পথ চলতে শিখেছিল, আজ সে বিশ্বের বুকে এক উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিগত ১২ বছরে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলির রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ গত ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ভিডিও বার্তা ও অভিনন্দন বার্তা পাঠাচ্ছেন যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বনেতাদের গুরুত্ব ও আস্থা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়”-পররাষ্ট্র নীতির এই মূল মন্ত্রকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সকল দেশের সাথে সফলভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি, ভারত সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ২০২০ সালের “গান্ধী শান্তি” সম্মানে ভূষিত করেছে। এটিকে তিনি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন