সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হিসেবে বিশ্বে খেজুরের চাহিদা থাকলেও ধর্মীয় কারণেই এ ফলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে রমজান মাস এলেই মুসলিম দেশগুলোতে খেজুরের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন হওয়ায় বিশ্বজুড়ে ক্রমান্বয়ে খেজুরের চাহিদা বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতার। আমদানি নির্ভরশীল এই দেশটি চাহিদার কথা বিবেচনা করে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বড় বড় স্থাপনা ও রাস্তা ঘাটগুলো সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। গতবছরের ন্যায় এবারও করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে সীমিত পরিসরে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রয়েছে।
আরব দেশগুলোতে রমজান মাস আসলেই বিশেষ ছাড়ের প্রতিযোগিতার হিড়িক পড়ে মার্কেট গুলোতে। তাছাড়া দেশে যাওয়ার সময় প্রবাসীদের পরিবার পরিজনের জন্য ক্রয় করতে হয় খেজুর। অন্যদিকে ক্রেতাদের কথায় মাথায় রেখে স্বল্প মূল্যে মানসম্পন্ন খেজুর ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে আজওয়া, মাবরুম, কিং মেডজুল, খালাস, খানিজি, বাহরি ও শিশিসহ এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকৃত খেজুরের পাশাপাশি কাতারে ৫৭টি খেজুর উৎপাদনকারী খামারে উৎপাদিত খেজুর মার্কেট গুলোতে চাহিদা রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মোর্শেদ।
বহুগুণের পুষ্টিকর এই ফলটি শরীরের হাড়কে মজবুত করে, হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে, মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য এড়াতে ব্যাপক কাজ করে এই খেজুর।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন