কানাডার অভ্যন্তরে বাইরের দেশ থেকে যেন কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্ট আসতে না পারে সেজন্য কানাডা সরকার ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের যাত্রীদের সব ধরনের ফ্লাইট কানাডা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কমপক্ষে ৩০ দিন এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম কানাডিয়ান প্রেস জানায়, উভয় দেশে কোভিড -১৯ বৃদ্ধির ঘটনা অস্বাভাবিক হওয়ায় ফেডারেল সরকার পরবর্তী এক মাসের জন্য ভারত ও পাকিস্তান থেকে আগত যাত্রীদের ফ্লাইট স্থগিত করছে।
পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘব্রা বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে কানাডায় আগত বিমানের যাত্রীদের মধ্যে বেশি সংখ্যক কোভিড -১৯ শনাক্ত হওয়ায়, ট্রান্সপোর্ট কানাডা সেসব দেশ থেকে সরাসরি যাত্রী বিমান চলাচল বন্ধ করার জন্য এয়ারম্যানকে বা NOTAM নোটমকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন- উভয় দেশ থেকে সমস্ত বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত যাত্রী বিমান নিষিদ্ধ থাকবে, তবে বিশেষত ভ্যাকসিন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের চালনা অব্যাহত রাখতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কার্গো ফ্লাইটগুলির অনুমতি দেওয়া হবে।
বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন, কোভিড কালের শুরু থেকেই জাস্টিন ট্রুডোর সরকার আগাম সতর্কতা নিতে পিছপা হননি। দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯ এর নতুন নতুন ভ্যারিয়েনটের ব্যাপক উপস্থিতিতে ভারত, পাকিস্তানের সাথে বিমান যোগাযোগের ঘোষণা টি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আর ভ্যাক্সিন প্রদানের গতিকে আরও দ্রুততর না করা অবধি জনমনে শংকা দূরীকরণে এমন সতর্কতামূলক পদক্ষেপে নিয়ে এগুনো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প ও দৃশ্যমান নয়।
অন্যদিকে কানাডায় গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। তারপর থেকেই দেশটির সরকার দেশের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেই ভারত ও পাকিস্তানের সাথে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়াও নাগরিকরা যেন দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসে সেদিকেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের সরকার।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৫ শত ৮৭ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ৮শ' ৮৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৩শত ৪৮ জন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন