যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ইস্যুকে মানবিকতায় ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরেকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন নথিপত্রহীন অভিবাসীদের স্বার্থে। কয়েকদিন আগেই জারি করা আরেক নির্দেশ অনুযায়ী ‘অবৈধ অভিবাসী’র পরিবর্তে ‘নথিপত্রহীন অভিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করতে হচ্ছে। সর্বশেষ শুক্রবারের ঘোষণা অনুযায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আমলের আরেকটি অযৌক্তিক পদক্ষেপ পরিহারের কথা জানালেন বাইডেনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেয়রকাস। এটি হচ্ছে, আদালত থেকে বহিষ্কারাদেশ জারির পর যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেননি তাদেরকে চক্রবৃদ্ধি হারে জরিমানার শিকার হতে হবে না।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অর্থাৎ ক্ষমতা গ্রহণের পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে বহিষ্কারাদেশ লঙ্ঘনকারীকে প্রথম দিনেই ৩ হাজার ডলার এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্যে ৫০০ ডলার করে জরিমানার বিধি করেছিলেন। সে অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আইস কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রাপ্ত একজন নথিপত্রহীন অভিবাসীর জরিমানা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৭ ডলার। যদিও জরিমানার ১১%ও আদায় করা সম্ভব হয়নি। কারণ, নথিপত্রহীনরা এত বিপুল পরিমাণের অর্থ পাবে কোথায়?
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আলেজান্দ্রো মেয়রকাস বলেন, অপ্রয়োজনীয় এবং কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে কখনোই অভিবাসনের আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। ভিন্নভাবে সেটি করা সম্ভব। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের সূত্রে শনিবার আরও জানা গেছে, ট্রাম্পের ওই অযৌক্তিক বিধি স্থগিতের নির্দেশ মূলত গত জানুয়ারিতেই প্রদান করা হয়েছে। এখন তারা ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের সাথে কাজ করছেন যাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জরিমানার নথি খোলা হয়েছে সেগুলো বাতিলের জন্য।
এ ধরনের জরিমানার মুখে লাখ খানেক বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে অভিবাসন বিষয়ক এটর্নিরা এ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এখন এসব অভিবাসী যতদিন খুশি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নথিপত্রহীন কঠোর পরিশ্রমী অভিবাসীদেরকে গ্রিনকার্ড প্রদানের স্পষ্ট একটি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ক্ষমতা গ্রহণের পরই প্রেসিডেন্ট বাইডেন কংগ্রেসের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন অভিবাসন আইন সংস্কারের জন্য। সে আহবানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিনিধি পরিষদে দুটি বিল পাশ হয়েছে এবং তা সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা