১১ বছর পর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দলীয় হাইকমান্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডনে আসবেন ৩০ অক্টোবর। তারপর লন্ডন থেকে গ্লাসগো যাবেন। সেখানে জলবায়ূ সম্মেলন শেষ করে লন্ডনে ফিরবেন। ৭ নভেম্বর বিকালে লন্ডনে কুইন দ্বিতীয় এলিজাবেথ সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।
জানা গেছে, একই দিনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কমিটির শীর্ষ পদ ঘোষণা করে যাবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নতুন সভাপতি হিসাবে যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্জ্ব জালাল উদ্দিন , ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আবুল হাশেম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মজম্মিল আলী, বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি হরমুজ আলী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী। তবে জানা গেছে সভাপতি পদের জন্য বয়সে তুলনামূলক কম, যিনি সার্বক্ষনিক দলকে সময় দিতে পারবেন এমন একজন এক্টিভ মানুষকেই আনা হবে।
অনেকেই মনে করেন, বহির্বিশ্বে বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগের যে গ্রুপিং ও দলাদলি রয়েছে সেই অবস্থা থেকে ভিন্ন থেকে যুক্তরাজ্য। আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল চালাচ্ছেন হয়তো দলীয় সভানেত্রী সেটাকেও মূল্যায়ন করে বর্তমান নেতৃত্বের উপরই ভরসা রাখবেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তবে তারপরই যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ স ম মিসবাহ।
তবে যেহেতু আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা রয়েছে, সেটা দলীয় হাইকমান্ডও জানে, সেই হিসাব ধরা হলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তারাজ্য আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন। যদি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী না থাকেন তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচন তার জন্য এক প্রকার নিশ্চিত বলেই ধরা নেয়া যেতে পারে বলে দলীয় কমান্ড থেকে জানা গেছে। তবে আনোয়রুজ্জামান চৌধুরীর ঘনিষ্টজনদের সূত্রে জানা গেছে, তিনি দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটার পক্ষেই আছেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, যেদিন দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইবেন সেদিনই সম্মেলন হবে। এটা সম্পূর্ণ তার সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুত আছি দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের জন্য।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
