কানাডায় করোনাকালে এবারের আয়োজনে শুধু মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সব আয়োজন। বয়স্ক ব্যক্তিদের ও শিশুদের ইচ্ছা থাকলেও এবার পূজা মন্দিরে আসতে পারছেন না।
এবার দুর্গাপূজায় স্বাস্থ্যবিধি ও গাইডলাইন পূর্ণার্থীদের মেনে চলতে হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের ডাবল ভ্যাকসিনেশনের সনদপত্র দেখাতে হবে। পূজামণ্ডপে আসা সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই মিটার) বজায় রেখে লাইন ধরে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে হবে।
এছাড়াও মন্দিরের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা থাকবে। গত বছরের মতো এ বছর আলোকসজ্জায় সাজানো হবে না পূজামণ্ডপ। তবে একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে পূজামণ্ডপে নেওয়া হবে বিশেষ সতর্কতা। আর মিলনমেলা মূলত হবে ভার্চুয়ালি।
ক্যালগেরির প্রবাসী জয়দীপ স্যানাল জানালেন, বৈশ্বিক করোনা থেকে সারাবিশ্ব মুক্ত হয়ে নতুন করে জেগে উঠুক এটাই আমাদের প্রধান প্রার্থনা। বিশ্ববাসীর সুখ ও শান্তি কামনা করছি।
ক্যালগেরির ‘আমরা সবাই’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রুপক দত্ত বলেন, করোনাসহ সকল পাপ ও পঙ্কিলতা দূর হয়ে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির এক্সকিউটিভ কমিটির সদস্য প্রকৌশলী সুব্রত বৈরাগী বলেন, দেশের মাটিতে পা রাখতে না পারলেও কানাডায় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাঙ্গালিরা দুর্গাপূজাকে ঘিরে মেতে উঠবেন আনন্দ উৎসবে।
উল্লেখ্য, কানাডার অন্যান্য প্রদেশেও স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে নেওয়া হয়েছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। এছাড়াও নব প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুুলে ধরতে অনেকেই উদযাপন করবেন ভার্চুয়াল পূজা।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির