পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ-এ প্রদত্ত কালজয়ী ভাষণের স্মরণে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়েছে।
সোমবার সময় বিকালে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পর্তুগাল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের উপর এক আলোচনার সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাঙালির অধিকার আদায়ের সকল গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা নিষ্ফল হবার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলার নিষ্পেষিত মুক্তিকামী জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রদূত আরো মন্তব্য করেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ, সমগ্র বাঙালি জাতিকে যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্ম করেছিল, বিশ্ব ইতিহাসে তা একান্তই বিরল। আর সেজন্যই ইউনেস্কো ভাষণটিকে মানবজাতির একটি প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে ৭ই মার্চের ভাষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং ঐক্য ও সংকল্পের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ -এর ভাষণের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক