লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেট যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কনস্যুলেটের বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটির সদস্য এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এরপর চ্যান্সেরীর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সম্মান জানানো হয়।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করার পর জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়াও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কনসাল জেনারেল মিজ সামিয়া আঞ্জুম তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন। অতঃপর তিনি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ, নির্যাতিত মা-বোন ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার তাৎপর্যের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের “সোনার বাংলা” গঠনে তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার অনুরোধ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শাহাদত বরণকারী সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত