তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অবিস্থত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।
সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাসের “একাত্তর মিলনায়তন”-এ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শুরুতেই রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্টদূত মসয়ূদ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান শাহনাজ গাজী। এরপর দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১, মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান এবং বহির্বিশ্বের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করে সময়োপযোগী, সাহসী এবং প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথকে সুগম করেছিল।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পৃথিবীর বহু দেশের জনগণই ̄স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। কিন্ত এতো স্বল্প সময়ে আমরা যে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি ̄স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছি তার পিছনে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্ব।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা পেয়েছিলাম, যিনি আমাদের দিয়েছেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, গর্বিত পরিচয় এবং সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন ও উদ্যম।
এরপর রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলদেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতির কথা তুলে ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুজিবনগর সরকারের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম