৯ আগস্ট, ২০২২ ০২:৪২

জার্মানিতে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বিটু বড়ুয়া, জার্মানি :

জার্মানিতে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জার্মানির বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

বার্লিন দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।  

উদযাপন অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি দূতাবাসের সকলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর সকলের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করা হয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ও রাজনৈতিক জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অনুকরণীয় অনন্য ভূমিকা।

সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন শাশ্বত বাঙালি স্ত্রী ও বাঙালি মায়ের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়স থেকে শুরু করে আমৃত্যু তার পাশে থেকে বঙ্গমাতা তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনে তার পাশে ছায়া হয়ে থেকেছেন। জাতির পিতার ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে তাঁর সহধর্মিণীর অবদান সবচেয়ে বেশি। সেজন্যই তিনি বঙ্গমাতা। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু যেমন ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে ইতিহাসের হয়েছেন, তেমনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব তার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষ অংশীদার ও প্রেরণাদায়ী হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েই শুধু নয়, মৃত্যুতেও সাথী হয়েছিলেন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই শাহাদাৎবরণ করেন তিনি। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর ০৮ আগস্ট বাংলাদেশসহ সকল দূতাবাসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও পদক প্রদানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রদূত সাধুবাদ জানান।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর