যুক্তরাষ্ট্রের শাসকরা অন্য দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমে সোচ্চার। তবে তাদের নিজ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানই ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। ‘দ্য কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত এক জরিপে উদ্বেগজনক এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি সপ্তাহে পরিচালিত হয়েছে জরিপটি। একই রকম আরেকটি জরিপ চালানো হয় গত জানুয়ারিতে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তদের মধ্যে। সে সময়ে ৫৮% ভোটার এমন আশঙ্কা পোষণ করেছিলেন। সর্বশেষ এ জরিপে সে হার বেড়ে পৌঁঁছেছে ৬৭ শতাংশে।
জরিপে অংশগ্রহণকারি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট-উভয় পার্টির পার্টির সমর্থকের ৬৯% একই আশঙ্কা পোষণ করেছেন। স্বতন্ত্র ভোটারের ৬৬% এরও আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারি বিভিন্ন বয়সী ভোটারের প্রায় সকলেই একই অভিমত পোষণ করেছেন। মাঝবয়সী ভোটারের ৬৬% গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির জরিপ বিশ্লেষক টিম ম্যালয় এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, গণতন্ত্র এবং জাতির ভিত্তি চরম বিপদের মুখে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের সংকল্প গ্রহণের সময়ে আমেরিকানরা একটি অশুভ চক্রে আবর্তিত হচ্ছে। যা কারোই কাম্য হতে পারে না।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১ সেপ্টেম্বর ‘আমেরিকার অস্তিত্ব’ সম্পর্কিত প্রাইম টাইম বক্তব্যের কিছুক্ষণ আগে এই জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বাইডেন ওই ভাষণে উল্লেখ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন মুভমেন্ট’ যুক্তরাষ্ট্রের আইনের শাসন, বৈশ্বিক অবস্থান এবং নাগরিক অধিকারের জন্যে বড় রকমের হুমকি।
উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টির কেউ কেউ এবং ট্রাম্প কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই দাবি করে আসছেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্টেটের রিপাবলিকান প্রার্থীও একই সন্দেহ পোষণ করে আসছেন। তারা ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলো বিশেষভাবে মনিটরিংয়ের আভাস দিচ্ছেন। অর্থাৎ বিদ্যমান ব্যবস্থায় নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা