ঈদের চাঁদ দেখার আনুষ্ঠানিক সংবাদ জানার পরই ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’এ নারী-পুরুষের উচ্ছ্বল উপস্থিতি ঘটতে থাকে। স্কুল-কলেজগামী তরুণীরা টেবিল আর টোল নিয়ে রাস্তার ধারে বসে পড়েন আগতদের মেহেদী-রাঙাতে। হাজার হাজার নারীর অধিকাংশই ছিল তরুণী, যারা গভীর রাত পর্যন্ত হাতে মেহেদীর সাজে সজ্জিত হন। আর এমন সাজে প্রতিফলিত হয় হাজার বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত বাঙালি সংস্কৃতি।
উল্লেখ্য, প্রচন্ড ধৈর্য আর মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে মেহেদী রাঙানোর পর অত্যন্ত তৃপ্তির সাথে সামান্য পারিশ্রমিক (যাকে বলা হয় ঈদের বকশিস) নেন তারা। বাংলাদেশী তথা দক্ষিণ এশিয়ান অধ্যুষিত ৭৩ এবং ৭৪ স্ট্রিট ছাড়াও এমন দৃশ্য তৈরী হয় ৩৭ এভিনিউ এবং ৩৭ রোড দিয়েও। অর্থাৎ পুরো জ্যাকসন হাইটস ডুবে যায় ঈদ-আনন্দে। আর সেই আনন্দে ফল্গুধারা বয়ে আনে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীগণের অংশগ্রহণে ‘চাঁদ রাত উদযাপন’ অনুষ্ঠান।
ইফতারের পর থেকে মধ্যরাত অবধি হাজার হাজার প্রবাসী শিল্পীদের গানে নেচে-গেয়ে ঈদকে স্বাগত জানান। ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র ব্যানারে এ আয়োজনের সমন্বয় ঘটিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান এবং জেবিবিএর নেতা মোহাম্মদ আলম নমী। নাচ আর গানের বিরতিতে ঈদ মোবারক জানাতে মঞ্চে উঠেন মূলধারার রাজনীতিকসহ কম্যুনিটির বিশিষ্টজনেরা।
এ প্রসঙ্গে জেবিবিএর সভাপতি ড. মাহাবুবুর রহমান টুকু জানান, মানুষের মধ্যে আনন্দের ঢেউ পরিলক্ষিত হলেও কেনাকাটায় তা অনুধাবন করতে পারিনি। অর্থনৈতিক সংকটে প্রায় সকলেই। ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে আরেকটি মন্দার। এজন্যেই হয়তো অনেকে ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত পোশাক-আশাক ক্রয় করেননি। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও একই কথা বলেছেন। তবে রমজানের পুরো মাসেই চুটিয়ে ব্যবসা হয়েছে গ্রোসারি আর রেস্টুরেন্টে। মূল্যও হাকানো হয়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশী।
জ্যামাইকা, ব্রঙ্কস এবং ব্রুকলীনেও চাঁদ রাতে মেহেদী রাঙানোর আমেজ তৈরী হয় এবং শত-সহস্র নারী পুরুষের সমাগম ঘটেছিল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল