আসলেই তারা জানতো না
অতঃপর তারা পৃথিবীতে রক্তপাত ঘটালো
গন্ধম সুস্বাদু বিষ
আজাজিল ভাঙা গলায় ফিসফিসিয়ে অস্বীকার করেনি
স্পষ্ট। শয়তানকে স্পষ্ট হতে হয়।
এটাই বড় প্রহেলিকা।
কে জানতো আদম সন্তান
পথে পথে ভিখ মাঙবে
পঁচা ঘা থেকে পুঁজ রক্ত গড়িয়ে পড়বে
চেটে খাবে কিছু আকাঙ্ক্ষিত জিভ
অতঃপর শতদল শত দলে বিভক্ত হলো
ভিখারীর দল, চামারের দল
বাল আর আবালের দল
চণ্ডাল আর দালালের দল
আমলা কিংবা কামলার দল
ছিপছিপে গড়নের বাঙাল আর কাঙালের দল
খুনি ও ধর্ষকের দল
যার ধর্ম নেই,
তার আত্মাটাকে কাফনে মুড়ে
কফিনে পুরে জ্বালিয়ে দাও শশ্মানে
আর দেহটা
এ্যানাটমি পাঠের জন্য সংরক্ষণ করা হোক
ধর্মটাকে বর্ম করে রাস্তার ভিখেরীকে দিতে চাই
যাতে ক্রমক্ষয়িষ্ণু লুঙ্গিটা রাস্তার ঘষা থেকে রক্ষা পায়
ও পাছায় পেতে বসুক।
তেলেসমতির দরকার নেই
দরগা কিংবা মাযারের পড়াপানির দরকার নেই
গোবর জলে স্নান করে পুতপবিত্রও হতে চাই না
ভণ্ড আর দণ্ড নিয়ে রাষ্ট্র বেঁচে থাকুক।
ক্ষণকাল দাঁড়িয়ে শোনো
প্রবল আকাঙ্ক্ষার স্তুতি,
সূরা পাঠ ও
অন্যান্য দুর্গন্ধ।
লেখক: শিক্ষার্থী, মাস্টার্স অব পারফরমিং আর্টস, বেঙ্গালুর বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত।
বিডি প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল