শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:৫৮, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত

মাহমুদুজ্জামান সোহান
অনলাইন ভার্সন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত

এপ্রিলের ২০ তারিখ। আকাশটা বেশ মেঘলা, দুপুরের পর হালকা একটু স্নোও পড়েছে। এক আশ্চর্য আবহাওয়া এই টরোন্টোতে।  

টরোন্টো প্যাভিলিয়নে অঞ্জন দত্তের গানের অনুষ্ঠান; সাথে রাজীব চৌধুরীর গান। শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। যেহেতু এই আয়োজকদের অনুষ্ঠান আমি আগেও দেখেছি এবং এদের ঠিক সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার একটা সুনাম রয়েছে তাই আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে, অবশ্যই আগেভাগে বের হতে হবে। কিন্তু রাস্তায় এতো ট্রাফিক বুঝতে পারি নি। জিপিএস দেখাচ্ছে পৌছবো ৬টা ১২তে। ১০০ কিমি লিমিটের ৪০১ হাইওয়েতে ৫০ কিমি স্পিডে গাড়ি চলছে আর গাড়িতে বাজছে "ছাদের ধারের রেলিংটা"। একে একে শুনছি ম্যারিঅ্যান, তুমি না থাকলে। দর্শক-শ্রোতা হিসেবে আমার নিজেরও তো একটা প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে, তাই এক এক করে অঞ্জন দত্তের পুরোনো গানগুলো শুনছিলাম।  
 
ভেতরে ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে, অথচ এই অনুষ্ঠানটাই কিনা আমি অলমোস্ট মিস হতে বসেছিলাম! অঞ্জন দত্ত টরোন্টোতে আসবেন তাতো আমার জানা সেই তিন চার মাস আগেই। কিন্তু টিকেট কিনছি, কিনি করতে করতে হঠাৎ এপ্রিল মাসের ৮ তারিখে Sound of Music এর একটা নোটিস দেখে চমকে উঠলাম। "Tickets sold out”! আমার কল্পনাতেও ছিল না যে টরোন্টোতে বাংলা গানের অনুষ্ঠানের টিকেট সোল্ড আউট হবে, তাও এতো আগে-ভাগে। ভাগ্য ভালো জনৈক ভদ্র মহিলার বিজনেস ট্যুর থাকায় মার্কেটপ্লেসের বদৌলতে টিকেটটা কিনতে পেরেছিলাম। আমার পছন্দের গান রাজীব চৌধুরীর "এক মুঠো দেশ" শেষ না হতেই পৌঁছে গেলাম টরন্টো প্যাভিলিয়নের পার্কিং লটে। 
 
প্যাভিলিয়নে ঢুকতেই অল্প বয়সী একটা মেয়ে হাসিমুখে আমাকে চেক ইন ডেস্ক দেখিয়ে দিলো। ঘড়ির কাটা তখন ৬টা ১৪তে। ডেস্কে এসে টিকেটের বারকোড দেখাতেই ওরা স্ক্যান করে আমার হাতে যখন কাগজের ব্যান্ড পড়াচ্ছে তখন কানে ভেসে আসছে রাজীব চৌধুরী গাইছে "আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই"।  অডিটোরিয়ামে ঢুকতেই একটা প্রাণচাঞ্চল্য অনুভব করলাম। আলো আঁধারি পরিবেশ। দূরে স্টেজে শুধু আলো আর বাকি সব অন্ধকার। ততক্ষনে রাজীব চৌধুরী গাইছেন "সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা" আর পুরো হল ভর্তি দর্শক গলা মেলাচ্ছে।  
 
কোথায় তেমন ফাঁকা সিট্ দেখতে পাচ্ছি না। একজন ভলান্টিয়ার মিষ্টি হেসে আমাকে জানালো একদম কোণায়, পেছনের সারিতে কয়েকটা সিট্ খালি আছে। আমি সেখানেই একটা সিটে গিয়ে বসলাম। এখান থেকে স্টেজটাকে যে খুব ভালোমতো যে দেখা যায় তা নয়, কারণ আমার আসনটা ঠিক স্টেজের কোণা বরাবর পরেছে। তবে বা পাশে, মাঝে - স্টেজের উপরে, আর ডানপাশে তিনটি বড় স্ক্রিন থাকায় তাতে পরিস্কার দেখা যায়।  
 
অডিটোরিয়ামটাতে আসন বিন্যাস দেখে মনে হয় একটা অর্ধবৃত্তের একটু বেশিই হবে, অনেকটা ২৭০ ডিগ্রীর ঠিক মাঝ বরাবর পেটের মধ্যে স্টেজটাকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।  এতে অন্তত তিন পাশ থেকেই দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে। পুরো হলভর্তি দর্শক রাজীব চৌধুরীর সাথে গাইছে কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান " সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা, রং ছিল ফাল্গুনি হওয়াতে, খুব ভালো লাগছিলো চন্দ্রিমা, খুব কাছে তোমাকে পাওয়াতে" - শেষের দুই লাইন তো শিল্পীর গলা ঢেকে গেল দর্শকের গানে! এখানেই শিল্পীর সার্থকতা।  
 
আয়োজকদের কাছ থেকে যতোটুকু জেনেছি দুই বাংলার দর্শক আছে ৫০/৫০। আশেপাশের দর্শকদের কথাবার্তায় আঁচ করতে পারলাম যে আমার ডান পাশে আর সামনের সারির ডান দিকে যারা বসেছেন উনারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। শিল্পীর গানের প্রশংসা করছেন। আর সামনের সারির বায়ে ও তার সামনের দর্শকরা আমাদের বাংলাদেশের। হয়ত পরিবার এবং বন্ধু বান্ধব মিলে একসাথে বসেছেন। ততক্ষনে শিল্পী পরের গানটি ধরেছেন, আমাদের কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের "ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে"। আমাদের গানেও যে তুই তুকারি অনেক আগের থেকেই আছে সেটা তো খেয়াল করিনি! এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। " সেই রাতে রাত ছিল" ওপার বাংলার গান আবার "ও মাঝি নাও ছাইড়া দে" আমাদের এপার বাংলার, কিন্তু পুরো হল ভর্তি দর্শক সবাই গলা ছেড়ে গাইলো সমান তালে। নিজের মৌলিক গান গাইতে গিয়ে রাজীব চৌধুরী বললেন। "এখন যে গানটা গাইবো, বন্ধু, এটা আমার স্কুল কলেজ জীবনের গান, হয়তো অনেকেরও সাথেই মিলে যাবে।"  
 
গিটারের শব্দ বাড়তে থাকলো গান ধরলেন " বন্ধু তোর কথা মনে পরে যায়", আবার এই গানের রেশ রেখেই গাইলেন "পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সেকি ভোলা যায়"।
 
পুরো হল একসাথে গাইছে। এটা এমনি একটা গান যে সবাই কেমন যেন নস্টালজিয়ায় ঢুকে পরে। মনে পড়লো, হৈমন্তী শুক্লা যেবার টরন্টো এলেন, এই গানে কিভাবে সবাই এক হয়ে গেয়েছিল। আমাদের টরোন্টোর বাংলা গানের দর্শকরা আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। সবাই এমনভাবেএকাত্ম হয়ে যায় যে আমি নিশ্চিত শিল্পীরাও গান গেয়ে তৃপ্তি পায়।  "আরো একটা বন্ধুর গান" বলেই শুরু করলেন "তুমি আমার পাশে বন্ধু হে বসিয়া থাকো, একটু বসিয়া থাকো"।  
 
গানের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু কথা, গল্প, রসিকতা দর্শক শ্রোতার সাথে একটা সম্পর্ক তৈরী করে ফেলে। যেমন রাজীব চৌধুরী হাসির ছলে বলছিলেন "এখানে আমাদের মানুষের অনেক টেনশন, মর্টগেজের রেট কমে না, দুই দিন আগে ১৭ সেন্ট তেলের দাম বাড়লো, তাই অঞ্জন দাকে বলেছিলাম আমি গেয়ে একটু টেনশন কমাই, তারপর আপনি আসেন।" 
 
গাইলেন "ওই দূর পাহাড়ের ধারে, দিগন্তেরই কাছে, নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে গাইছে আপন সুরে।   এর পর পরই গাইলেন "আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে, চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে, যেখানে নদী এসে থেমে গেছে"। ।  
 
এই পর্বে উনার ব্যান্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বললেন " আমার বাঁয়ে গিটারে অর্ণব আর ডানে কাহন আর তবলায় সজীব।  অনেক আগে টেলিভিশনে একটা অনুষ্ঠান দেখেছিলাম, সেখানে ছেলে নীলের সঙ্গে একই স্টেজে পারফর্ম করছিলেন। আমার শখ ছিল আমার মেয়েটার সঙ্গে যদি একই স্টেজে পারফর্ম করতে পারতাম। পেছনে পিয়ানোতে আমার মেয়ে জয়িতা। দর্শক করতালি দিয়ে সবাইকে অভিবাদন জানালো।  
 
দর্শক-শ্রোতার তুমুল করতালির মধ্যে মন শুধু মন ছুঁয়েছে দিয়ে রাজীব চৌধুরী যখন শেষ করলেন ঘড়ির কাটা তখন ঠিক ৭:৩০ এ। সাধারণত: দর্শক শ্রোতা যখন অঞ্জন দত্তের মত বড় মাপের কোনো শিল্পীর গান শুনতে আসেন, তখন শুরুর শিল্পীর প্রতি খুব একটা আগ্রহ থাকে না, কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ ব্যাতিক্রম দেখা গেলো। দুই বাংলার দর্শককে সমান তালে মিশে যেতে দেখলাম রাজীব চৌধুরীর গানের সাথে।  
 
কালো ক্যাপ, কালো শার্ট , জিন্স প্যান্ট আর হালকা কালো ফ্রেমের চশমায় অঞ্জন দত্ত যখন কোনো কথা বার্তা ছাড়াই সরাসরি শুরু করলেন "সেই বুড়ো পুরোনো গিটার, দিয়েছে কত কিছু দিয়েছে" গানটা, ঘড়ির কাঁটা ঠিক তখন ৭:৪৫ এ। পুরো অডিটোরিয়াম গলা ফাটিয়ে স্বাগতম জানালো, গাইলো একসাথে। গান শেষে একটু চুপ থেকে আস্তে আস্তে গল্প করার ভঙ্গিমায় কথা বলতে শুরু করলেন, এই বুড়ো পুরোনো গিটারটা কি দিয়েছে তার গল্প।  
 
" শুরুতে গানটা কিন্তু আমার একেবারেই আগ্রহের জায়গা ছিল না। আমার প্রচন্ড ভালোবাসার জায়গা ছিল অভিনয়। কিন্তু অভিনয়ে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেলো। একটা বিশেষ মহল মানে এই যেমন বুদ্ধদেব দাস গুপ্ত , অপর্ণা সেন কাজ দিয়েছে। কিন্তু তারাই বা আমাকে নিয়ে কতবার করবে বলুন? বছরে একটা করে ছবি করি এবং অল্প টাকার ছবি। এবং সেগুলো হলে ভিড় করে সবাই দেখতোও না। আর্ট সিনেমা। কি করে হবে? বয়স বেড়ে যাচ্ছে, ধার বেড়ে যাচ্ছে, বিয়ে করে ফেলেছি। আমার সন্তান হয়ে গেছে। কিছু তো করতে হবে আমাকে। আমি তখন ভাবলাম, আচ্ছা সুমন (কবির সুমন) তো গান করছে গিটার নিয়ে। একা একা কিছু গান লিখেছিলাম, একটা এক্সপেরিমেন্ট করার জন্যে। আমার বায়ে বসা ছেলে, নীল দত্ত। ওর তখন ১২ বছর বয়স। ও তখন আক্ষরিক অর্থে মিউজিক শিখেছে। অনেকগুলো টিচারের কাছে। তার মধ্যে একজন আমার ডানে বসা আছে অমিত দত্ত। তো আমি তখন ছোট্ট করে একটা অনুষ্ঠান করি। আমাদের সিনেমার লোকজন, তারা শুনতে আসে। তারা বলে, খুব ভালো অঞ্জন, গান করো, গান করো। মৃণাল বাবু, অপর্ণা সেন। 
 
এবং সেইখানে একটি ছেলে আসে, এখন সে খুব নাম করা ফিল্ম মেকার, ডিরেক্টর- সুমন মুখোপাধ্যায়। বলে অঞ্জন দা, যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে একটা শো -করবেন? 
 
--কবে?
 
-এই সামনের শনিবার। ৫০০০ টাকা দেবো। 
 
That was 1993। ৫০০০ টাকা নিয়ে আমি আর নীল গিয়ে ২ ঘন্টার শো করি। সেখান থেকে মেডিকেল কলেজ বলছে, আসবেন ? সাত হাজার টাকা দেব। সেখান থেকে কোথায় জলপাইগুড়িতে একটা অনুষ্ঠান, বলে দশ হাজার টাকা দেব। আমি করছি, বাহ্ এটা মন্দ নয়। 
 
সুমন (কবির সুমন) ও বলছে, হ্যা , গান করো করো করো, তুমি ভালো গান লেখো। আমি তো মিউজিকটা কোনোদিন শিখিনি। কিন্তু এই যে যেটা শিখলাম, যেটার জন্যে সময় দিলাম, খরচা করে দু বছর অভিনয় শিখেছি আমি বাদল সরকারের কাছে, যেটার জন্যে খাটলাম আমি সেইটা আমাকে সেই অর্থে যা না দিলো, যেটা মন দিয়ে করিনি, করেছি, ভালোবেসে করেছি সেটা অনেক অনেক বেশি আমায় দিয়েছে। কিন্তু এটা আমি অনেক বছর, বেশ কিছু বছর মানতে পারিনি। অভিমান ছিল আমার। এইজন্য আমার গানে দেখবেন একটা অভিমান আছে। একটা ব্যাংকের কেরানি - অভিমান, একটা মিউজিসিয়ান - অভিমান, অভিমানটা আমার ভেতরে। সেই দিনটা আস্তে আস্তে কমে এলো। আমার ধার শোধ করে দিলো। আমায় অনেক কিছু দিয়েছে, যার জন্যে একটুও খাটিনী। এই গানের বদৌলতে কত পৃথিবীর জায়গা আমি দেখলাম? এখন সাউন্ড অফ মিউজিকের দৌলতে প্রথমবার টরোন্টোতে এলাম। সাদা মাটা মানুষের গান। এমন কিছু বলেনা আমার গান। আমার চার পাশের মানুষদের নিয়ে গান। " 
 
আস্তে আস্তে গিটারের টুং টাং শব্দ বাড়তে থাকলো আর গান ধরলেন  
 
"জ্বলছে নিভছে নিয়নের বিজ্ঞাপন, 
বৃষ্টিতে ভিজে গেছে রাস্তা, ভেজা ভেজা মন,
লাস্ট ট্রাম ধরে ঘরে ফিরবে আবার স্যামসন,
সাথে সঙ্গী শুধুই স্যাক্সফোন। " 
 
পুরো হলভর্তি দর্শক শ্রোতা গলা মেলাচ্ছে মাঝে মাঝেই পুরো গানটা জুড়ে। গান শেষে আবার ফিরে গেলেন গল্পের আসরে 
 
"এরপর এইচ এম ভি এসে বলে, সুমনও খুব করে বলে, অনেকেই বলে রেকর্ড করার। আমি রেকর্ড করি। আর রেকর্ড করার পরে তো আমাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তো ১৯৯৪ এ আমি রেকর্ড করি আর ১৯৯৯ এ আমি প্রথম বাংলাদশে যাই। সেখানে গিয়ে আমি রিয়ালাইজ করি যে আমার ৫০ ভাগ অডিয়েন্স তো বাংলাদেশে। আমার দেশের লোকতো শুনছেই, তারা নিয়ে যাচ্ছে, অনুষ্ঠান করাচ্ছে, they really loved me। কিন্তু তারা আবার বলছে আমরা আপনার ছবি দেখেছি সিনেমা দেখেছি, কিন্তু গানটা, ওটাই। ( অভিনয়টা নয় গানেই মন দাও )। যাই হোক , বাংলাদেশে গিয়ে আস্তে আস্তে I came to terms যে, না, আমার গানটা করতে হবে সিরিয়াসলি। ততোদিনে এলবাম বের করেছি, সিরিয়াসলিই করেছি, কিন্তু আরো সিরিয়াসলি করতে হবে । তখন বাংলাদেশ থেকে একটা এলবাম বেরোলো, আপনারা শুনেছেন কিনা? আমার প্রিয় একটা গান, এই যে ৫০/৫০ অডিয়েন্স আমার দুই প্রান্তে এদেরকে নিয়ে একটা গান" 
 
আস্তে আস্তে গিটারের আওয়াজ বাড়তে থাকলো, অঞ্জন দত্ত গান ধরলেন
 
"বেইলি রোডের ধারে আমি দেখেছি তোমায়, 
রাতের অন্ধকারে আমি দেখেছি তোমায়, 
আমার বৌবাজারে আমি দেখেছি তোমায়, 
দুদিকের কাঁটাতারে আমি দেখেছি তোমায়" 
 
আমি যেই আসনটায় বসে আছি সেটা, একদম শেষের সারির কোনার একটা আসন কিন্তু এখান থেকে এক নজরে পুরো হলটাকে দেখা যায় খুব ভালো মতো।

গানের মাঝে মাঝে দর্শক গলা মিলাচ্ছে আবার হল কাঁপিয়ে করতালি দিচ্ছে। কি নিবিড়ভাবে দর্শক শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে শুনছে আমি সেটাই দেখছি। আমি দেখছি, কে কোন দেশের বা ধর্মের বোঝার উপায় নাই। মনে হচ্ছে আমরা একটা বড় পরিবার, আমাদের লিভিং রুমে বসে সবাই মিলে গান শুনছি, গান গাইছি আর গল্প শুনছি।  
 
"ডলারের হার কমলে, তাদের দর বদলায় 
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায় " 
 
এই লাইনদুটোর পরে হল ভর্তি দর্শকের তুমুল করতালিই প্রমান করে যে আমরা আসলেই মনে প্রাণে একটা অসাম্প্রদায়িক সমাজ চাই।  
 
তিনি আবার ফিরলেন গল্পে- 
 
" এই গান করতে তো অনেক জায়গায় গিয়েছি।  প্রথমে তো একা একা গান করতাম। তারপর একটা ব্যান্ড হলো সময়ের সাথে চলার জন্যে। কিন্তু বয়স যত বেড়েছে, আমার মনে হয়েছে আমার গানগুলো একটা ইন্টিমেট কথা বলছে, সহজ কথা।  আমাকে সুমন একবার বলেছিলো , you know, you have a strange sense of humour and very subtle sadness।  এটা কোনোদিনও তুমি হারিও না অঞ্জন।  এটার জন্যই আমার মনে হয়েছে, একটা ইন্টিমেট জায়গায় এসে ইন্টিমেটভাবে শুধু দুজন ভাল মিউজিশিয়ান, শুধু গিটার নিয়ে আমার গানগুলো করবো।  তো সেটার জন্য আমরা ডিসাইডেড যে আমরা এই তিন দত্ত মিলে করবো।  তো আমরা গান করছি এখানে ওখানে, এদেশ ওদেশ যাচ্ছি কিন্তু যে দেশটা, জায়গাটা দেখার ইচ্ছা ছিল, সেখানে যে আসতে পারবো এই ইন্টিমেট দলটাকে নিয়ে আসতে পারবো সেটা ভাবিনি।  এইজন্য আয়োজকদের অসংখ্যা ধন্যবাদ।
 
গান ধরলেন- 
 
"কানে বাজে এখনো পুরোনো সে পিয়ানোর ঝংকার, 
নিকোটিনে হলদে হয়ে যাওয়া দশটা আঙ্গুল, 
সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে একশো মাইলের গানটা, 
একশবার শুনে একশবার হতো ভুল " 
……………… 
“If you miss this train I ‘m on 
You will know that I have gone 
You can hear the whistle blow  
A hundred miles” 
 
সবাই গলা মেলালো
 
"A hundred miles, A hundred miles,  
A hundred miles, A hundred miles 
You can hear the whistle blow  
A hundred miles” 
 
গান শেষে কেউ একজন দর্শক সারি থেকে চিৎকার করে বললো " বেলা বোস"। হাসির ছলে অঞ্জন দত্ত আবার গল্পে ঢুকে গেলেন - 
 
" দেখুন ইন্টিমেটটা ইন্টিমেটই থাকুক, মনে মনে কথা হচ্ছে, আমি তো জানি এটা আমাকে গাইতে হবে। আপনার কারোর যদি বাড়ি যাবার তারা থাকে কিছুই আমার করার নেই (হাসতে হাসতে ), আরো কিছু গান শুনলে তারপর হয়তো গাইবো। অনেকদিন থেকে এই মহিলাকে বোস বোস বোস করে বসতে বলা হচ্ছে কিন্তু বসছে না। আরো কত মেয়েদের নিয়েই তো গান লিখেছি কিন্তু সবাই এই, বেলা বোস। ( আরো কিছু অনুরোধের প্রেক্ষিতে) দেখুন আমি জানি আমাকে ওই গানগুলো গাইতে হবে, এই যে আপনারা বিভিন্ন অনুরোধ করছেন আমার ভালো লাগছে। আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাকে যদি অনেকদিন ধরে খেয়াল করে থাকেন, আমি কিন্তু কালো চশমা পরি । আজ কিন্তু কালো চশমা পরি নি। D’trio to intimate relate” 
 
দ্রুত লয়ে গিটার বাজতে শুরু করলো, সেই তালে গান ধরলেন 
" কালো সাহেবের মেয়ে ইশকুল পালিয়ে ধরতে তোমার দুটো হাত, 
কত মার্ খেয়েছি মুখ বুজে সয়েছি অন্যায় কত অপবাদ 
ম্যারি অ্যান , ম্যারি ম্যারি অ্যান, ম্যারি অ্যান মারি" 
 
সারা হল হাত মাথা নেড়ে একসাথে গাইলো।  
 
এ পর্যায়ে অঞ্জন দত্ত চেয়ার ছেড়ে উঠে স্টেজের হালকা নীল আলোর পাশে একটু অন্ধকার কোনায় আস্তে আস্তে পায়চারি করতে থাকলেন। এবার গল্প শুরু করলেন ছেলে নীল দত্ত  
 
" আমরা যখন শো শুরু করেছিলাম ৯৩ তে তখন যে বাংলাদেশে একটা রক মুভমেন্ট। বাংলা রক ব্যান্ডস যে ছিল, অতটা আমরা সুযোগ পাইনি শুনতে। ৯৯এ বাংলাদেশে গিয়ে বুঝতে পারি ওখানে বাংলা রক ব্যান্ড মুভমেন্ট অনেক বছর ধরে চলছে। অনেকের সাথে আলাপ হয়, মাকসুদ ভাই ( তুমুল করতালি), ওয়ারফেজ, লাকি আখন্দ ভাই, অনেকের সাথে পরিচয় হয়, একসাথে পারফর্ম করি। এবং আস্তে আস্তে তাদের সাথে যোগাযোগ থাকে। এবং যোগাযোগটা একটা পর্যায়ে একজনের সাথে বেশি মাত্রায় হয়ে যায়। শুধু বাংলাদেশে নয়, তিনি কলকাতায় আসেন পারফর্ম করতে, আমাদের সাথে। আমরাও বাংলাদেশে যাই। একসাথে পারফর্ম করি। খুব ইম্পর্টেন্ট একজন মিউজিশিয়ান। হঠাৎ করে কিছু বছর আগে বাচ্চু ভাইয়ের সাথে দেখা হয় কোলকাতার একটা হোটেলে লিফটের সামনে সন্ধেবেলাI didn’t expect him। আমি একটা কি কাজে গিয়েছিলাম। ওখানে। বাচ্চু  ভাই লিফট থেকে বেরিয়ে আসলেন। চেহারাটা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছে। I was very surprised, shocked। আমি বললাম একি বাচ্চু ভাই। বললো হ্যা এসচিরে , ওই হসপিটালে ডাক্তারকে দেখাতে। That was the last time we met। পরের গানটা বাচ্চু ভাইয়ের জন্য " 
 
টুংটাং গিটার বেজে উঠলো নীল শুরু করলেন, 
 
"যে শহর চাইনি তা, জীবনের সবথেকে সুন্দর। 
যে আদর খাইনি তা, জীবনের সবথেকে প্রবল আদর। 
যে পথে যায়নি তা, খুঁজে মরে অযথা 
সেই পথেই বেঁধেছি যে ঘর। 
ছিলে বন্ধু কি সাত-জন্মের তুমি আমার 
ভালো মন্দ যেখানে একাকার। 
যদি দেখা হয়ে যায়, কোনো অন্য দুনিয়ায় 
তুমি চিন্তে পারবে কি আমায় আবার?" 
 
এক পর্যায়ে শুরু করলেন বাচ্চুর কালজয়ী গান
 
" সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে, 
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলে" 
 
আমি দর্শকদের আবেগ যেন অনুভব করছিলাম, অথবা ওটা আমার নিজেরই। কি ভীষণ আবেগ দিয়ে গাইছে পুরো হল। অনেকের কাছেই বাচ্চু একটা আবেগের জায়গা। নীল সেই আবেগটা বুঝতে পেরেছেন, ছুঁতে পেরেছেন , এবং ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন পুরোপুরি।  
 
ততক্ষনে অঞ্জন দত্ত চেয়ারে এসে বসেছেন, গিটারটা হাতে তুলে নিলেন। " ইটস বিউটিফুল, দার্জিলিংয়ের মতো খানিকটা। আমি তো এসেছি ক্যালগেরিতে প্রথমে। সেখানেও দেখলাম । এই টরোন্টোর ওয়েদারও। আমি যেখানে বড় হয়েছি দার্জিলিংয়ে, সেই রকম। বর্ষাকালে হঠাৎ বরফ পড়লো, গরম কালে বৃষ্টি হল। " 
 
গিটারের শব্দ আস্তে আস্তে বাড়ছে। গান ধরলেন 
 
"একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে,
থাকবেনা সাথে কোনো ছাতা,
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়, 
ভিজে যাবে চটি জামা মাথা। " 
 
মাথা হেলে দুলে, হাতে হাত বাজিয়ে হলভর্তি দর্শক গাইলো একসাথে। আবার হতে না হতেই যখন অমিত দত্ত খুব দ্রুত লয়ে গিটার বাজাচ্ছে ততক্ষনে সবাই বুঝে গেছে যে এবার শুরু হচ্ছে " পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব বলেছে পাড়ার দাদারা, অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই, রঞ্জনা আমি আর আসবো না" সবাই মিলে একসাথে তুমুল অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হলো গানটি।  
 
বললেন " গানগুলো সত্যি এসেন্সিয়ালি ভেরি সিম্পল। যদিও অবভিয়াস্লি একটা সেকেন্ড লেয়ার আছে। রঞ্জনা তো আর ফাজলামী করার জিনিস নয়? ( হাসি চারিদিকে )। দেখুন, আমি কথা বললেই সবাই হাসছে অথচ আমি হাসির কথা বলছি না। এটাই মজার। যাই হোক, আসলে রঞ্জনা একটা এন্টি কমিউনাল সং। সেটা যদি আমি গম্ভীরভাবে বলি তালে তো হলো না। আমি মজা করে বলে দিলাম। এটা আসলে আমার নিজের মানুষদের, ছোটোখাটো শহরের, পাড়ার গল্প সহজভাবে বলা। শহরটা বদলে গেছে, কিন্তু ঐগুলো আমার গানে থেকে গেছে। ইটস লাইক এ স্মল ওল্ড ম্যাপ অফ এ সিটি। যেমন। এসটিডি উঠে গেছে শহর থেকে অনেক আগেই তবুও তো আপনারা বোস বোস করে যাচ্ছেন কারণ আমার গানে সেটা রয়েই গেছে। তারমানে, আমার গানগুলো সিম্পল বাট ইট হ্যাজ এ সার্টেইন নস্টালজিক। যে নস্টালজিয়াটা হয়তো, হয়তো না ডেফিনিটলি আপনারা মিস করছেন। এইটার জন্যেই কিন্তু গানগুলো ভালো লাগছে। 
 
ক্যাল্গেরীতে তো তিন ঘন্টা হয়েছিল কিন্তু এইখানে কয় ঘন্টা হবে জানি না।  
 
কিছু মানুষকে আমাদের থাঙ্কস জানানো প্রয়োজন।  ব্যক্তিগত ভাবে এখানে তো আমি হেটে হেটে আসিনি।  প্লেনে করে এসেছি।  বিমান বাংলাদেশ স্পনসর করেছে।  থ্যাংক ইউ বিমান বাংলাদেশ।  ফান পার্ট হচ্ছে যে আমি বিমান বাংলাদেশে অনেকবার চড়েছি কিন্তু বিমান বাংলাদেশে করে এতো লম্বা জার্নি কখনো করিনি।  তো যেকোনো কারণে একটু ডিলে হচ্ছিলো তো আমি ক্যাপ্টেনকে বলি যে, ক্যাপ্টেন, আপনিই তো কিং অফ দা এয়ারক্রাফট, দেখেন কিছু করা যায় কিনা।  ক্যাপ্টেন বলে যে দেখছি।  কিছুক্ষন পরে এয়ারহোস্টেজ এসে বলছে , যে ক্যাপ্টেন আপনাকে ডাকছে।  আপনি কি একটু ককপিটে যাবেন ? 

আমি উঠে গেলাম।  দরজা খুলে ভেতরে যেতেই ক্যাপ্টেন বেশ উৎফুল্ল হয়ে বলে,  ছোট বেলা থেকেই আপনার গান শুনে যাচ্ছি, সিনেমা দেখে যাচ্ছি।  দিস ইজ মাই অফিস।  সিট্ ডাউন।  কি লাগবে বলুন।  তবে আপনি যেটা চাইছেন সেটা আমি দিতে পারবো না (সবার হাসি ) কিন্তু এই সক্কাল বেলা আপনাকে এক কাপ গ্রেট কফি সার্ভ করতে পারবো। তারপর অনেক্ষন ধরে কফি খেলাম এবং উপর থেকে দেখলাম কানাডা- এপ্রোচিং ।  ওয়ান্ডারফুল।  এরা বন্ধু হয়ে যায়।  বন্ধু এভাবেই হয়।  এরপর ও আমার নাম্বার নিলো, আমি ওর নাম্বার নিলাম। ক্যাল্গেরী গিয়েও বন্ধু হয়ে গেল, এখানেও বন্ধু হয়েছে।  বন্ধুত্বটা খুব ইম্পরট্যান্ট।  আমার কিন্তু কম বন্ধু কিন্তু যারা সত্যিকারের বন্ধু তারা কিন্তু অনেকদিনের বন্ধু হয়ে যায়।  এখন কম বন্ধু বলতে এই এই একহাজার লোক কি আমার বন্ধু নয়? তারা কি আমার গান শুনছে না? ডেফিনিটলি।  আই কিপ ইন টাচ।  এইযে আপনারা সবাই চুপ করে শুনছেন, এটা একটা গান হয়ে যাচ্ছে।  এমনভাবেই গান হয়ে যায়।  
 
গিটারটা বেজে উঠলো, সাথে গান শুরু করলেন "ছাদের ধারের রেলিংটা, সেই দুস্টু দো দো সিড়িঙটা, আমার শৈশবের দার্জিলিংটা"  এরপর ১৫ মিনিটের ব্রেক নিয়ে আবার শুরু করলেন 
 
"এই কানাডাতে আসার বিষয়ে প্রথম যার সাথে কথা হয় সে হচ্ছে সাউন্ড অফ মিউজিকের শুক্তি পুরো নাম সম্ভবতঃ রাজিয়া সুলতানা। রাজিয়া সুলতানা নামে বম্বের একজন এক্ট্রেস ছিলেন। ফিল্মটার নাম গরম হাওয়া। বিউটিফুল ফিল্ম। যাইহোক, ও বলেছিল যে আপনার গান শুনে তো আমরা বড় হয়েছি, ও এই গানটার কথা বলেছিলো। শুক্তির জন্যে হাততালি হয় যাক। 
ইন্টিমেটটা বলছিলাম না? তাই স্কেলটা একটু নামিয়ে নিয়েছি 
 
আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি 
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি 
আমার আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি 
শুধু তুমি চলে যাবে, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি" 
 
খুব ধীর লয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে গানটা গাইলেন। মনে হলো একটা খুব গভীর অনুভতি থেকে ভীষণ ভালোবেসে গানটা গাইলেন। সাথে যথারীতি অমিত দত্তের অসাধারণ গিটার।
 
যাই হোক ফিরে আসি অঞ্জন দত্তের গল্পের আসরে 
 
"এই গানটা আমাদের লিস্ট এ ছিল না, তো এটা আমি গাইছি কারণ আমাকে রিকুয়েস্ট করেছে একজন যার দৌলতে গিটারটা আমি বাজাচ্ছি। একটু আগে সে গান শোনাচ্ছিল আপনাদের। রাজীব। থ্যাংক ইউ রাজীব। আমার গিটারটা একটু প্রব্লেম করছে। সো হি লেট্ মি প্লে হিজ গিটার। সো থ্যাংক ইউ। রাজীবের জন্যে একটা হাততালি- 
 
this goes out to many of you" 
 
গান ধরলেন
 
"দু’টো মানুষ একসাথে কত পথ চলা 
হাতে হাত রেখে কথা বলা 
কেন সব করে অবহেলা 
কেন শেষ-মেষে এসে বিদায়" 
 
গিটারে তিনজনের দক্ষতা সত্যিই সুন্দর। তবে অমিত দত্তের কথা আলাদা করে বিশেষ ভাবে বলতেই হয়। বিভিন্ন গানের মাঝে মাঝে উনার গিটার সোলো ছিল অসাধারণ। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই মাঝে মাঝে উনি ওনার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন গিটারের মাধ্যমে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো ওনার ইম্প্রোভাইজেশন অনেকদিন দর্শক শ্রোতাদের মনে থাকবে। একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল যা সম্ভবতঃ সব বড় মিউজিশিয়ানদের ক্ষেত্রেই লক্ষণীয়। আর তা হচ্ছে অঞ্জন দত্ত, অমিত দত্ত আর নীল দত্তের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা। অসাধারণ। যেমন অঞ্জন দত্ত একটা ছোট ব্রেক এ গেলেন এবং সেই সময় নীল দত্ত গাইছিলেন। কিন্তু অঞ্জন দত্ত যেহেতু একটু দেরি করছিলেন, তাই বাকি দুজনকে তো গানটাকে টেনে নিয়ে যেতে হবে অঞ্জন দত্তের ফিরে এসে চেয়ারে বসা পর্যন্ত। তো ওই সময়টাতে ইম্প্রোভাইজেশন, গিটার সোলো, ভ্যাম্পিং ছিল অতুলনীয়। দর্শককে বুঝতেই দেয় নি যে তারা ফিলিং ইন করছে।  
 
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে গাইলেন বেলা বোস গানটি 
" চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো, 
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা, 
সম্বন্ধটা এইবার তুমি ভেস্তে দিতে পারো,
মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছোনা, 
হ্যালো, এটাকে 2441139 ,
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে।  
দশ বারো বার রং নম্বর পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি 
দেবো না আর কিছুতেই হারাতে" 
 
গান শেষে আবার কথা বলতে শুরু করলেন।  
 
"টেলিফোনের গান কখনও ফেইল করে না। দেখবেন - 
" I just called to say I love you” ,  
“Hello, my friend, hello” 
 
হ্যালো হ্যালো গানগুলো সবসময় হিট হয় ।  
 
তা যাই হোক, আমার মনে হয়েছে এই বেলা বোস গানটা সামহাউ সেন্টিমেন্টাল। এটা নস্টালজিক, কিন্তু সেন্টিমেন্টাল। আমি পার্সোনালি ফিল যে এই গান যদি আজকে লিখতাম, তাহলে অন্যভাবে লিখতাম। একটা মেয়ে উত্তর দিচ্ছে না। সে সিঁদুর ফিদুর পরতে  রেডি অন্য কারোর সঙ্গে। অথচ লোকটা বেলা বোস'কে দিন, বেলাকে দিন, বেলাকে দিন - বলেই যাচ্ছে। এটা আমি না। আমি যদি আজকে লিখতাম, কি হতো সেটা শুনুন;  
 
হালো হ্যালো হালো তুমি শুনতে পাচ্ছে কি 
নেটওয়ার্ক এখানে খুবই দুর্বল 
অনেকদূর থেকে অনেকক্ষন করছি 
চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি গতকাল
 
হালো হ্যালো হালো তুমি শুনতে পাচ্ছে কি 
নেটওয়ার্ক এখানে খুবই দুর্বল 
অনেক ভেবে অনেকদূর থেকে থেকে ফোনটা করছি
চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি গতকাল
 
চাকরি করে গানটা করা হচ্ছে না যে আর
তাই বেছে নিলাম আমার নিজের গান 
আমি পারবোনা দায়িত্ব নিতে অন্য কিছুর আর
তুমি যতই করো মান অভিমান
 
বিদিশা, I am sorry, I am sorry, sorry, sorry Bidisha  
মেনে নাও তোমার বাবা মার কথাটাই ঠিক
আমি পারবোনা দিতে তোমাকে একটা লাল নীল সংসার, 
বিদিশা, আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত 
 
আমার গানের প্রেমে পরে আমায় ভালোবাসা
রাস্তা ঘাটে মাঠে বেড়িয়ে, 
আজ প্রেমটা হয়ে গেছে তোমার কাছে অনেক বড়ো 
আর গানটা গেছে অনেক পিছিয়ে 
আজ বড় হয়ে গেছে তোমার কাছে গাড়ি বাড়ি
ঘর সাজাবার বাজার আসবাব 
আমি চেয়েছিলাম শুধু তোমার মনের কাছে আসতে 
তুমি চাইলে আমার যাবতীয় সব।  
 
বিদিশা, I am sorry, I am sorry, sorry, sorry Bidisha  
মেনে নাও, তোমার বাবা মার কথাটাই ঠিক 
আমি পারবোনা দিতে তোমাকে একটা লাল নীল সংসার, 
বিদিশা, আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত (২)" 
 
তুমুল করতালির মাধ্যমে এই একেবারে নতুন গানটি শেষ করলেন। এইবার শেষ করার পালা। শেষ গানের কথা বলতেই দর্শক আরো অনেক গানের রিকোয়েস্ট দিতে শুরু করল। কিন্তু ততক্ষনে প্রায় রাত ১০:৪০ বেজে গেছে।  
 
অঞ্জন দত্ত আবারও সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন। ওনার এই বিনয়টা দর্শক শ্রোতাদের আকৃষ্ট করেছে ভীষণভাবে আমি নিশ্চিত। এতো জনপ্রিয় শিল্পী হয়েও কি অবলীলায় আয়োজকসহ কত মানুষের প্রতি ব্যাক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন বারবার। ঘুরে ফিরে কবির সুমনের নাম উচ্চারণ করছেন অনেকবার। বোঝাই যায় কবির সুমন যে উনাকে নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন তা উনি সবসময় মনে রাখেন এবং অকপটে প্রকাশ করেন। এটা উনার বিশালতার পরিচয় যা খুব সচরাচর দেখা যায় না। কথা বলার মাঝে যতবারই দর্শক হাততালি দিয়েছে উনি প্রতিবারই কথা বন্ধ করে দিয়ে, মাথা নিচু করে তা গ্রহণ করছিলেন। মাঝে মাঝে কৃতজ্ঞতায় মাথার টুপি খুলেছে। গান ছাড়াও বিনয় উনাকে করছে অনন্য।
 
শুরু করলেন শেষ গানটা 
“I see trees of green 
Red roses too 
I see them bloom  
For me and you 
And I think to myself  
What a wonderful world 
……। ।  
 
I hear babies cry 
I watch them grow 
They'll learn much more  
Than I'll ever know 
And I think to myself  
What a wonderful world 
Yes, I think to myself  
What a wonderful world” 
 
আমি আস্তে আস্তে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলাম। এখান থেকেও শুনতে পাচ্ছি, গাইছেন “ what a wonderful worlds” 
আমি বললাম 
What a wonderful singer 
What a wonderful human being 
 
পা বাড়ালাম কার পার্কের দিকে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা