শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:৫৮, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত

মাহমুদুজ্জামান সোহান
অনলাইন ভার্সন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত

এপ্রিলের ২০ তারিখ। আকাশটা বেশ মেঘলা, দুপুরের পর হালকা একটু স্নোও পড়েছে। এক আশ্চর্য আবহাওয়া এই টরোন্টোতে।  

টরোন্টো প্যাভিলিয়নে অঞ্জন দত্তের গানের অনুষ্ঠান; সাথে রাজীব চৌধুরীর গান। শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। যেহেতু এই আয়োজকদের অনুষ্ঠান আমি আগেও দেখেছি এবং এদের ঠিক সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার একটা সুনাম রয়েছে তাই আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে, অবশ্যই আগেভাগে বের হতে হবে। কিন্তু রাস্তায় এতো ট্রাফিক বুঝতে পারি নি। জিপিএস দেখাচ্ছে পৌছবো ৬টা ১২তে। ১০০ কিমি লিমিটের ৪০১ হাইওয়েতে ৫০ কিমি স্পিডে গাড়ি চলছে আর গাড়িতে বাজছে "ছাদের ধারের রেলিংটা"। একে একে শুনছি ম্যারিঅ্যান, তুমি না থাকলে। দর্শক-শ্রোতা হিসেবে আমার নিজেরও তো একটা প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে, তাই এক এক করে অঞ্জন দত্তের পুরোনো গানগুলো শুনছিলাম।  
 
ভেতরে ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে, অথচ এই অনুষ্ঠানটাই কিনা আমি অলমোস্ট মিস হতে বসেছিলাম! অঞ্জন দত্ত টরোন্টোতে আসবেন তাতো আমার জানা সেই তিন চার মাস আগেই। কিন্তু টিকেট কিনছি, কিনি করতে করতে হঠাৎ এপ্রিল মাসের ৮ তারিখে Sound of Music এর একটা নোটিস দেখে চমকে উঠলাম। "Tickets sold out”! আমার কল্পনাতেও ছিল না যে টরোন্টোতে বাংলা গানের অনুষ্ঠানের টিকেট সোল্ড আউট হবে, তাও এতো আগে-ভাগে। ভাগ্য ভালো জনৈক ভদ্র মহিলার বিজনেস ট্যুর থাকায় মার্কেটপ্লেসের বদৌলতে টিকেটটা কিনতে পেরেছিলাম। আমার পছন্দের গান রাজীব চৌধুরীর "এক মুঠো দেশ" শেষ না হতেই পৌঁছে গেলাম টরন্টো প্যাভিলিয়নের পার্কিং লটে। 
 
প্যাভিলিয়নে ঢুকতেই অল্প বয়সী একটা মেয়ে হাসিমুখে আমাকে চেক ইন ডেস্ক দেখিয়ে দিলো। ঘড়ির কাটা তখন ৬টা ১৪তে। ডেস্কে এসে টিকেটের বারকোড দেখাতেই ওরা স্ক্যান করে আমার হাতে যখন কাগজের ব্যান্ড পড়াচ্ছে তখন কানে ভেসে আসছে রাজীব চৌধুরী গাইছে "আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই"।  অডিটোরিয়ামে ঢুকতেই একটা প্রাণচাঞ্চল্য অনুভব করলাম। আলো আঁধারি পরিবেশ। দূরে স্টেজে শুধু আলো আর বাকি সব অন্ধকার। ততক্ষনে রাজীব চৌধুরী গাইছেন "সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা" আর পুরো হল ভর্তি দর্শক গলা মেলাচ্ছে।  
 
কোথায় তেমন ফাঁকা সিট্ দেখতে পাচ্ছি না। একজন ভলান্টিয়ার মিষ্টি হেসে আমাকে জানালো একদম কোণায়, পেছনের সারিতে কয়েকটা সিট্ খালি আছে। আমি সেখানেই একটা সিটে গিয়ে বসলাম। এখান থেকে স্টেজটাকে যে খুব ভালোমতো যে দেখা যায় তা নয়, কারণ আমার আসনটা ঠিক স্টেজের কোণা বরাবর পরেছে। তবে বা পাশে, মাঝে - স্টেজের উপরে, আর ডানপাশে তিনটি বড় স্ক্রিন থাকায় তাতে পরিস্কার দেখা যায়।  
 
অডিটোরিয়ামটাতে আসন বিন্যাস দেখে মনে হয় একটা অর্ধবৃত্তের একটু বেশিই হবে, অনেকটা ২৭০ ডিগ্রীর ঠিক মাঝ বরাবর পেটের মধ্যে স্টেজটাকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।  এতে অন্তত তিন পাশ থেকেই দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে। পুরো হলভর্তি দর্শক রাজীব চৌধুরীর সাথে গাইছে কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান " সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা, রং ছিল ফাল্গুনি হওয়াতে, খুব ভালো লাগছিলো চন্দ্রিমা, খুব কাছে তোমাকে পাওয়াতে" - শেষের দুই লাইন তো শিল্পীর গলা ঢেকে গেল দর্শকের গানে! এখানেই শিল্পীর সার্থকতা।  
 
আয়োজকদের কাছ থেকে যতোটুকু জেনেছি দুই বাংলার দর্শক আছে ৫০/৫০। আশেপাশের দর্শকদের কথাবার্তায় আঁচ করতে পারলাম যে আমার ডান পাশে আর সামনের সারির ডান দিকে যারা বসেছেন উনারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। শিল্পীর গানের প্রশংসা করছেন। আর সামনের সারির বায়ে ও তার সামনের দর্শকরা আমাদের বাংলাদেশের। হয়ত পরিবার এবং বন্ধু বান্ধব মিলে একসাথে বসেছেন। ততক্ষনে শিল্পী পরের গানটি ধরেছেন, আমাদের কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের "ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে"। আমাদের গানেও যে তুই তুকারি অনেক আগের থেকেই আছে সেটা তো খেয়াল করিনি! এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। " সেই রাতে রাত ছিল" ওপার বাংলার গান আবার "ও মাঝি নাও ছাইড়া দে" আমাদের এপার বাংলার, কিন্তু পুরো হল ভর্তি দর্শক সবাই গলা ছেড়ে গাইলো সমান তালে। নিজের মৌলিক গান গাইতে গিয়ে রাজীব চৌধুরী বললেন। "এখন যে গানটা গাইবো, বন্ধু, এটা আমার স্কুল কলেজ জীবনের গান, হয়তো অনেকেরও সাথেই মিলে যাবে।"  
 
গিটারের শব্দ বাড়তে থাকলো গান ধরলেন " বন্ধু তোর কথা মনে পরে যায়", আবার এই গানের রেশ রেখেই গাইলেন "পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সেকি ভোলা যায়"।
 
পুরো হল একসাথে গাইছে। এটা এমনি একটা গান যে সবাই কেমন যেন নস্টালজিয়ায় ঢুকে পরে। মনে পড়লো, হৈমন্তী শুক্লা যেবার টরন্টো এলেন, এই গানে কিভাবে সবাই এক হয়ে গেয়েছিল। আমাদের টরোন্টোর বাংলা গানের দর্শকরা আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। সবাই এমনভাবেএকাত্ম হয়ে যায় যে আমি নিশ্চিত শিল্পীরাও গান গেয়ে তৃপ্তি পায়।  "আরো একটা বন্ধুর গান" বলেই শুরু করলেন "তুমি আমার পাশে বন্ধু হে বসিয়া থাকো, একটু বসিয়া থাকো"।  
 
গানের ফাঁকে ফাঁকে একটু একটু কথা, গল্প, রসিকতা দর্শক শ্রোতার সাথে একটা সম্পর্ক তৈরী করে ফেলে। যেমন রাজীব চৌধুরী হাসির ছলে বলছিলেন "এখানে আমাদের মানুষের অনেক টেনশন, মর্টগেজের রেট কমে না, দুই দিন আগে ১৭ সেন্ট তেলের দাম বাড়লো, তাই অঞ্জন দাকে বলেছিলাম আমি গেয়ে একটু টেনশন কমাই, তারপর আপনি আসেন।" 
 
গাইলেন "ওই দূর পাহাড়ের ধারে, দিগন্তেরই কাছে, নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে গাইছে আপন সুরে।   এর পর পরই গাইলেন "আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে, চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে, যেখানে নদী এসে থেমে গেছে"। ।  
 
এই পর্বে উনার ব্যান্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বললেন " আমার বাঁয়ে গিটারে অর্ণব আর ডানে কাহন আর তবলায় সজীব।  অনেক আগে টেলিভিশনে একটা অনুষ্ঠান দেখেছিলাম, সেখানে ছেলে নীলের সঙ্গে একই স্টেজে পারফর্ম করছিলেন। আমার শখ ছিল আমার মেয়েটার সঙ্গে যদি একই স্টেজে পারফর্ম করতে পারতাম। পেছনে পিয়ানোতে আমার মেয়ে জয়িতা। দর্শক করতালি দিয়ে সবাইকে অভিবাদন জানালো।  
 
দর্শক-শ্রোতার তুমুল করতালির মধ্যে মন শুধু মন ছুঁয়েছে দিয়ে রাজীব চৌধুরী যখন শেষ করলেন ঘড়ির কাটা তখন ঠিক ৭:৩০ এ। সাধারণত: দর্শক শ্রোতা যখন অঞ্জন দত্তের মত বড় মাপের কোনো শিল্পীর গান শুনতে আসেন, তখন শুরুর শিল্পীর প্রতি খুব একটা আগ্রহ থাকে না, কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ ব্যাতিক্রম দেখা গেলো। দুই বাংলার দর্শককে সমান তালে মিশে যেতে দেখলাম রাজীব চৌধুরীর গানের সাথে।  
 
কালো ক্যাপ, কালো শার্ট , জিন্স প্যান্ট আর হালকা কালো ফ্রেমের চশমায় অঞ্জন দত্ত যখন কোনো কথা বার্তা ছাড়াই সরাসরি শুরু করলেন "সেই বুড়ো পুরোনো গিটার, দিয়েছে কত কিছু দিয়েছে" গানটা, ঘড়ির কাঁটা ঠিক তখন ৭:৪৫ এ। পুরো অডিটোরিয়াম গলা ফাটিয়ে স্বাগতম জানালো, গাইলো একসাথে। গান শেষে একটু চুপ থেকে আস্তে আস্তে গল্প করার ভঙ্গিমায় কথা বলতে শুরু করলেন, এই বুড়ো পুরোনো গিটারটা কি দিয়েছে তার গল্প।  
 
" শুরুতে গানটা কিন্তু আমার একেবারেই আগ্রহের জায়গা ছিল না। আমার প্রচন্ড ভালোবাসার জায়গা ছিল অভিনয়। কিন্তু অভিনয়ে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেলো। একটা বিশেষ মহল মানে এই যেমন বুদ্ধদেব দাস গুপ্ত , অপর্ণা সেন কাজ দিয়েছে। কিন্তু তারাই বা আমাকে নিয়ে কতবার করবে বলুন? বছরে একটা করে ছবি করি এবং অল্প টাকার ছবি। এবং সেগুলো হলে ভিড় করে সবাই দেখতোও না। আর্ট সিনেমা। কি করে হবে? বয়স বেড়ে যাচ্ছে, ধার বেড়ে যাচ্ছে, বিয়ে করে ফেলেছি। আমার সন্তান হয়ে গেছে। কিছু তো করতে হবে আমাকে। আমি তখন ভাবলাম, আচ্ছা সুমন (কবির সুমন) তো গান করছে গিটার নিয়ে। একা একা কিছু গান লিখেছিলাম, একটা এক্সপেরিমেন্ট করার জন্যে। আমার বায়ে বসা ছেলে, নীল দত্ত। ওর তখন ১২ বছর বয়স। ও তখন আক্ষরিক অর্থে মিউজিক শিখেছে। অনেকগুলো টিচারের কাছে। তার মধ্যে একজন আমার ডানে বসা আছে অমিত দত্ত। তো আমি তখন ছোট্ট করে একটা অনুষ্ঠান করি। আমাদের সিনেমার লোকজন, তারা শুনতে আসে। তারা বলে, খুব ভালো অঞ্জন, গান করো, গান করো। মৃণাল বাবু, অপর্ণা সেন। 
 
এবং সেইখানে একটি ছেলে আসে, এখন সে খুব নাম করা ফিল্ম মেকার, ডিরেক্টর- সুমন মুখোপাধ্যায়। বলে অঞ্জন দা, যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে একটা শো -করবেন? 
 
--কবে?
 
-এই সামনের শনিবার। ৫০০০ টাকা দেবো। 
 
That was 1993। ৫০০০ টাকা নিয়ে আমি আর নীল গিয়ে ২ ঘন্টার শো করি। সেখান থেকে মেডিকেল কলেজ বলছে, আসবেন ? সাত হাজার টাকা দেব। সেখান থেকে কোথায় জলপাইগুড়িতে একটা অনুষ্ঠান, বলে দশ হাজার টাকা দেব। আমি করছি, বাহ্ এটা মন্দ নয়। 
 
সুমন (কবির সুমন) ও বলছে, হ্যা , গান করো করো করো, তুমি ভালো গান লেখো। আমি তো মিউজিকটা কোনোদিন শিখিনি। কিন্তু এই যে যেটা শিখলাম, যেটার জন্যে সময় দিলাম, খরচা করে দু বছর অভিনয় শিখেছি আমি বাদল সরকারের কাছে, যেটার জন্যে খাটলাম আমি সেইটা আমাকে সেই অর্থে যা না দিলো, যেটা মন দিয়ে করিনি, করেছি, ভালোবেসে করেছি সেটা অনেক অনেক বেশি আমায় দিয়েছে। কিন্তু এটা আমি অনেক বছর, বেশ কিছু বছর মানতে পারিনি। অভিমান ছিল আমার। এইজন্য আমার গানে দেখবেন একটা অভিমান আছে। একটা ব্যাংকের কেরানি - অভিমান, একটা মিউজিসিয়ান - অভিমান, অভিমানটা আমার ভেতরে। সেই দিনটা আস্তে আস্তে কমে এলো। আমার ধার শোধ করে দিলো। আমায় অনেক কিছু দিয়েছে, যার জন্যে একটুও খাটিনী। এই গানের বদৌলতে কত পৃথিবীর জায়গা আমি দেখলাম? এখন সাউন্ড অফ মিউজিকের দৌলতে প্রথমবার টরোন্টোতে এলাম। সাদা মাটা মানুষের গান। এমন কিছু বলেনা আমার গান। আমার চার পাশের মানুষদের নিয়ে গান। " 
 
আস্তে আস্তে গিটারের টুং টাং শব্দ বাড়তে থাকলো আর গান ধরলেন  
 
"জ্বলছে নিভছে নিয়নের বিজ্ঞাপন, 
বৃষ্টিতে ভিজে গেছে রাস্তা, ভেজা ভেজা মন,
লাস্ট ট্রাম ধরে ঘরে ফিরবে আবার স্যামসন,
সাথে সঙ্গী শুধুই স্যাক্সফোন। " 
 
পুরো হলভর্তি দর্শক শ্রোতা গলা মেলাচ্ছে মাঝে মাঝেই পুরো গানটা জুড়ে। গান শেষে আবার ফিরে গেলেন গল্পের আসরে 
 
"এরপর এইচ এম ভি এসে বলে, সুমনও খুব করে বলে, অনেকেই বলে রেকর্ড করার। আমি রেকর্ড করি। আর রেকর্ড করার পরে তো আমাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তো ১৯৯৪ এ আমি রেকর্ড করি আর ১৯৯৯ এ আমি প্রথম বাংলাদশে যাই। সেখানে গিয়ে আমি রিয়ালাইজ করি যে আমার ৫০ ভাগ অডিয়েন্স তো বাংলাদেশে। আমার দেশের লোকতো শুনছেই, তারা নিয়ে যাচ্ছে, অনুষ্ঠান করাচ্ছে, they really loved me। কিন্তু তারা আবার বলছে আমরা আপনার ছবি দেখেছি সিনেমা দেখেছি, কিন্তু গানটা, ওটাই। ( অভিনয়টা নয় গানেই মন দাও )। যাই হোক , বাংলাদেশে গিয়ে আস্তে আস্তে I came to terms যে, না, আমার গানটা করতে হবে সিরিয়াসলি। ততোদিনে এলবাম বের করেছি, সিরিয়াসলিই করেছি, কিন্তু আরো সিরিয়াসলি করতে হবে । তখন বাংলাদেশ থেকে একটা এলবাম বেরোলো, আপনারা শুনেছেন কিনা? আমার প্রিয় একটা গান, এই যে ৫০/৫০ অডিয়েন্স আমার দুই প্রান্তে এদেরকে নিয়ে একটা গান" 
 
আস্তে আস্তে গিটারের আওয়াজ বাড়তে থাকলো, অঞ্জন দত্ত গান ধরলেন
 
"বেইলি রোডের ধারে আমি দেখেছি তোমায়, 
রাতের অন্ধকারে আমি দেখেছি তোমায়, 
আমার বৌবাজারে আমি দেখেছি তোমায়, 
দুদিকের কাঁটাতারে আমি দেখেছি তোমায়" 
 
আমি যেই আসনটায় বসে আছি সেটা, একদম শেষের সারির কোনার একটা আসন কিন্তু এখান থেকে এক নজরে পুরো হলটাকে দেখা যায় খুব ভালো মতো।

গানের মাঝে মাঝে দর্শক গলা মিলাচ্ছে আবার হল কাঁপিয়ে করতালি দিচ্ছে। কি নিবিড়ভাবে দর্শক শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে শুনছে আমি সেটাই দেখছি। আমি দেখছি, কে কোন দেশের বা ধর্মের বোঝার উপায় নাই। মনে হচ্ছে আমরা একটা বড় পরিবার, আমাদের লিভিং রুমে বসে সবাই মিলে গান শুনছি, গান গাইছি আর গল্প শুনছি।  
 
"ডলারের হার কমলে, তাদের দর বদলায় 
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায় " 
 
এই লাইনদুটোর পরে হল ভর্তি দর্শকের তুমুল করতালিই প্রমান করে যে আমরা আসলেই মনে প্রাণে একটা অসাম্প্রদায়িক সমাজ চাই।  
 
তিনি আবার ফিরলেন গল্পে- 
 
" এই গান করতে তো অনেক জায়গায় গিয়েছি।  প্রথমে তো একা একা গান করতাম। তারপর একটা ব্যান্ড হলো সময়ের সাথে চলার জন্যে। কিন্তু বয়স যত বেড়েছে, আমার মনে হয়েছে আমার গানগুলো একটা ইন্টিমেট কথা বলছে, সহজ কথা।  আমাকে সুমন একবার বলেছিলো , you know, you have a strange sense of humour and very subtle sadness।  এটা কোনোদিনও তুমি হারিও না অঞ্জন।  এটার জন্যই আমার মনে হয়েছে, একটা ইন্টিমেট জায়গায় এসে ইন্টিমেটভাবে শুধু দুজন ভাল মিউজিশিয়ান, শুধু গিটার নিয়ে আমার গানগুলো করবো।  তো সেটার জন্য আমরা ডিসাইডেড যে আমরা এই তিন দত্ত মিলে করবো।  তো আমরা গান করছি এখানে ওখানে, এদেশ ওদেশ যাচ্ছি কিন্তু যে দেশটা, জায়গাটা দেখার ইচ্ছা ছিল, সেখানে যে আসতে পারবো এই ইন্টিমেট দলটাকে নিয়ে আসতে পারবো সেটা ভাবিনি।  এইজন্য আয়োজকদের অসংখ্যা ধন্যবাদ।
 
গান ধরলেন- 
 
"কানে বাজে এখনো পুরোনো সে পিয়ানোর ঝংকার, 
নিকোটিনে হলদে হয়ে যাওয়া দশটা আঙ্গুল, 
সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে একশো মাইলের গানটা, 
একশবার শুনে একশবার হতো ভুল " 
……………… 
“If you miss this train I ‘m on 
You will know that I have gone 
You can hear the whistle blow  
A hundred miles” 
 
সবাই গলা মেলালো
 
"A hundred miles, A hundred miles,  
A hundred miles, A hundred miles 
You can hear the whistle blow  
A hundred miles” 
 
গান শেষে কেউ একজন দর্শক সারি থেকে চিৎকার করে বললো " বেলা বোস"। হাসির ছলে অঞ্জন দত্ত আবার গল্পে ঢুকে গেলেন - 
 
" দেখুন ইন্টিমেটটা ইন্টিমেটই থাকুক, মনে মনে কথা হচ্ছে, আমি তো জানি এটা আমাকে গাইতে হবে। আপনার কারোর যদি বাড়ি যাবার তারা থাকে কিছুই আমার করার নেই (হাসতে হাসতে ), আরো কিছু গান শুনলে তারপর হয়তো গাইবো। অনেকদিন থেকে এই মহিলাকে বোস বোস বোস করে বসতে বলা হচ্ছে কিন্তু বসছে না। আরো কত মেয়েদের নিয়েই তো গান লিখেছি কিন্তু সবাই এই, বেলা বোস। ( আরো কিছু অনুরোধের প্রেক্ষিতে) দেখুন আমি জানি আমাকে ওই গানগুলো গাইতে হবে, এই যে আপনারা বিভিন্ন অনুরোধ করছেন আমার ভালো লাগছে। আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা আমাকে যদি অনেকদিন ধরে খেয়াল করে থাকেন, আমি কিন্তু কালো চশমা পরি । আজ কিন্তু কালো চশমা পরি নি। D’trio to intimate relate” 
 
দ্রুত লয়ে গিটার বাজতে শুরু করলো, সেই তালে গান ধরলেন 
" কালো সাহেবের মেয়ে ইশকুল পালিয়ে ধরতে তোমার দুটো হাত, 
কত মার্ খেয়েছি মুখ বুজে সয়েছি অন্যায় কত অপবাদ 
ম্যারি অ্যান , ম্যারি ম্যারি অ্যান, ম্যারি অ্যান মারি" 
 
সারা হল হাত মাথা নেড়ে একসাথে গাইলো।  
 
এ পর্যায়ে অঞ্জন দত্ত চেয়ার ছেড়ে উঠে স্টেজের হালকা নীল আলোর পাশে একটু অন্ধকার কোনায় আস্তে আস্তে পায়চারি করতে থাকলেন। এবার গল্প শুরু করলেন ছেলে নীল দত্ত  
 
" আমরা যখন শো শুরু করেছিলাম ৯৩ তে তখন যে বাংলাদেশে একটা রক মুভমেন্ট। বাংলা রক ব্যান্ডস যে ছিল, অতটা আমরা সুযোগ পাইনি শুনতে। ৯৯এ বাংলাদেশে গিয়ে বুঝতে পারি ওখানে বাংলা রক ব্যান্ড মুভমেন্ট অনেক বছর ধরে চলছে। অনেকের সাথে আলাপ হয়, মাকসুদ ভাই ( তুমুল করতালি), ওয়ারফেজ, লাকি আখন্দ ভাই, অনেকের সাথে পরিচয় হয়, একসাথে পারফর্ম করি। এবং আস্তে আস্তে তাদের সাথে যোগাযোগ থাকে। এবং যোগাযোগটা একটা পর্যায়ে একজনের সাথে বেশি মাত্রায় হয়ে যায়। শুধু বাংলাদেশে নয়, তিনি কলকাতায় আসেন পারফর্ম করতে, আমাদের সাথে। আমরাও বাংলাদেশে যাই। একসাথে পারফর্ম করি। খুব ইম্পর্টেন্ট একজন মিউজিশিয়ান। হঠাৎ করে কিছু বছর আগে বাচ্চু ভাইয়ের সাথে দেখা হয় কোলকাতার একটা হোটেলে লিফটের সামনে সন্ধেবেলাI didn’t expect him। আমি একটা কি কাজে গিয়েছিলাম। ওখানে। বাচ্চু  ভাই লিফট থেকে বেরিয়ে আসলেন। চেহারাটা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছে। I was very surprised, shocked। আমি বললাম একি বাচ্চু ভাই। বললো হ্যা এসচিরে , ওই হসপিটালে ডাক্তারকে দেখাতে। That was the last time we met। পরের গানটা বাচ্চু ভাইয়ের জন্য " 
 
টুংটাং গিটার বেজে উঠলো নীল শুরু করলেন, 
 
"যে শহর চাইনি তা, জীবনের সবথেকে সুন্দর। 
যে আদর খাইনি তা, জীবনের সবথেকে প্রবল আদর। 
যে পথে যায়নি তা, খুঁজে মরে অযথা 
সেই পথেই বেঁধেছি যে ঘর। 
ছিলে বন্ধু কি সাত-জন্মের তুমি আমার 
ভালো মন্দ যেখানে একাকার। 
যদি দেখা হয়ে যায়, কোনো অন্য দুনিয়ায় 
তুমি চিন্তে পারবে কি আমায় আবার?" 
 
এক পর্যায়ে শুরু করলেন বাচ্চুর কালজয়ী গান
 
" সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে, 
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলে" 
 
আমি দর্শকদের আবেগ যেন অনুভব করছিলাম, অথবা ওটা আমার নিজেরই। কি ভীষণ আবেগ দিয়ে গাইছে পুরো হল। অনেকের কাছেই বাচ্চু একটা আবেগের জায়গা। নীল সেই আবেগটা বুঝতে পেরেছেন, ছুঁতে পেরেছেন , এবং ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন পুরোপুরি।  
 
ততক্ষনে অঞ্জন দত্ত চেয়ারে এসে বসেছেন, গিটারটা হাতে তুলে নিলেন। " ইটস বিউটিফুল, দার্জিলিংয়ের মতো খানিকটা। আমি তো এসেছি ক্যালগেরিতে প্রথমে। সেখানেও দেখলাম । এই টরোন্টোর ওয়েদারও। আমি যেখানে বড় হয়েছি দার্জিলিংয়ে, সেই রকম। বর্ষাকালে হঠাৎ বরফ পড়লো, গরম কালে বৃষ্টি হল। " 
 
গিটারের শব্দ আস্তে আস্তে বাড়ছে। গান ধরলেন 
 
"একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে,
থাকবেনা সাথে কোনো ছাতা,
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়, 
ভিজে যাবে চটি জামা মাথা। " 
 
মাথা হেলে দুলে, হাতে হাত বাজিয়ে হলভর্তি দর্শক গাইলো একসাথে। আবার হতে না হতেই যখন অমিত দত্ত খুব দ্রুত লয়ে গিটার বাজাচ্ছে ততক্ষনে সবাই বুঝে গেছে যে এবার শুরু হচ্ছে " পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব বলেছে পাড়ার দাদারা, অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই, রঞ্জনা আমি আর আসবো না" সবাই মিলে একসাথে তুমুল অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হলো গানটি।  
 
বললেন " গানগুলো সত্যি এসেন্সিয়ালি ভেরি সিম্পল। যদিও অবভিয়াস্লি একটা সেকেন্ড লেয়ার আছে। রঞ্জনা তো আর ফাজলামী করার জিনিস নয়? ( হাসি চারিদিকে )। দেখুন, আমি কথা বললেই সবাই হাসছে অথচ আমি হাসির কথা বলছি না। এটাই মজার। যাই হোক, আসলে রঞ্জনা একটা এন্টি কমিউনাল সং। সেটা যদি আমি গম্ভীরভাবে বলি তালে তো হলো না। আমি মজা করে বলে দিলাম। এটা আসলে আমার নিজের মানুষদের, ছোটোখাটো শহরের, পাড়ার গল্প সহজভাবে বলা। শহরটা বদলে গেছে, কিন্তু ঐগুলো আমার গানে থেকে গেছে। ইটস লাইক এ স্মল ওল্ড ম্যাপ অফ এ সিটি। যেমন। এসটিডি উঠে গেছে শহর থেকে অনেক আগেই তবুও তো আপনারা বোস বোস করে যাচ্ছেন কারণ আমার গানে সেটা রয়েই গেছে। তারমানে, আমার গানগুলো সিম্পল বাট ইট হ্যাজ এ সার্টেইন নস্টালজিক। যে নস্টালজিয়াটা হয়তো, হয়তো না ডেফিনিটলি আপনারা মিস করছেন। এইটার জন্যেই কিন্তু গানগুলো ভালো লাগছে। 
 
ক্যাল্গেরীতে তো তিন ঘন্টা হয়েছিল কিন্তু এইখানে কয় ঘন্টা হবে জানি না।  
 
কিছু মানুষকে আমাদের থাঙ্কস জানানো প্রয়োজন।  ব্যক্তিগত ভাবে এখানে তো আমি হেটে হেটে আসিনি।  প্লেনে করে এসেছি।  বিমান বাংলাদেশ স্পনসর করেছে।  থ্যাংক ইউ বিমান বাংলাদেশ।  ফান পার্ট হচ্ছে যে আমি বিমান বাংলাদেশে অনেকবার চড়েছি কিন্তু বিমান বাংলাদেশে করে এতো লম্বা জার্নি কখনো করিনি।  তো যেকোনো কারণে একটু ডিলে হচ্ছিলো তো আমি ক্যাপ্টেনকে বলি যে, ক্যাপ্টেন, আপনিই তো কিং অফ দা এয়ারক্রাফট, দেখেন কিছু করা যায় কিনা।  ক্যাপ্টেন বলে যে দেখছি।  কিছুক্ষন পরে এয়ারহোস্টেজ এসে বলছে , যে ক্যাপ্টেন আপনাকে ডাকছে।  আপনি কি একটু ককপিটে যাবেন ? 

আমি উঠে গেলাম।  দরজা খুলে ভেতরে যেতেই ক্যাপ্টেন বেশ উৎফুল্ল হয়ে বলে,  ছোট বেলা থেকেই আপনার গান শুনে যাচ্ছি, সিনেমা দেখে যাচ্ছি।  দিস ইজ মাই অফিস।  সিট্ ডাউন।  কি লাগবে বলুন।  তবে আপনি যেটা চাইছেন সেটা আমি দিতে পারবো না (সবার হাসি ) কিন্তু এই সক্কাল বেলা আপনাকে এক কাপ গ্রেট কফি সার্ভ করতে পারবো। তারপর অনেক্ষন ধরে কফি খেলাম এবং উপর থেকে দেখলাম কানাডা- এপ্রোচিং ।  ওয়ান্ডারফুল।  এরা বন্ধু হয়ে যায়।  বন্ধু এভাবেই হয়।  এরপর ও আমার নাম্বার নিলো, আমি ওর নাম্বার নিলাম। ক্যাল্গেরী গিয়েও বন্ধু হয়ে গেল, এখানেও বন্ধু হয়েছে।  বন্ধুত্বটা খুব ইম্পরট্যান্ট।  আমার কিন্তু কম বন্ধু কিন্তু যারা সত্যিকারের বন্ধু তারা কিন্তু অনেকদিনের বন্ধু হয়ে যায়।  এখন কম বন্ধু বলতে এই এই একহাজার লোক কি আমার বন্ধু নয়? তারা কি আমার গান শুনছে না? ডেফিনিটলি।  আই কিপ ইন টাচ।  এইযে আপনারা সবাই চুপ করে শুনছেন, এটা একটা গান হয়ে যাচ্ছে।  এমনভাবেই গান হয়ে যায়।  
 
গিটারটা বেজে উঠলো, সাথে গান শুরু করলেন "ছাদের ধারের রেলিংটা, সেই দুস্টু দো দো সিড়িঙটা, আমার শৈশবের দার্জিলিংটা"  এরপর ১৫ মিনিটের ব্রেক নিয়ে আবার শুরু করলেন 
 
"এই কানাডাতে আসার বিষয়ে প্রথম যার সাথে কথা হয় সে হচ্ছে সাউন্ড অফ মিউজিকের শুক্তি পুরো নাম সম্ভবতঃ রাজিয়া সুলতানা। রাজিয়া সুলতানা নামে বম্বের একজন এক্ট্রেস ছিলেন। ফিল্মটার নাম গরম হাওয়া। বিউটিফুল ফিল্ম। যাইহোক, ও বলেছিল যে আপনার গান শুনে তো আমরা বড় হয়েছি, ও এই গানটার কথা বলেছিলো। শুক্তির জন্যে হাততালি হয় যাক। 
ইন্টিমেটটা বলছিলাম না? তাই স্কেলটা একটু নামিয়ে নিয়েছি 
 
আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি 
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি 
আমার আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি 
শুধু তুমি চলে যাবে, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি" 
 
খুব ধীর লয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে গানটা গাইলেন। মনে হলো একটা খুব গভীর অনুভতি থেকে ভীষণ ভালোবেসে গানটা গাইলেন। সাথে যথারীতি অমিত দত্তের অসাধারণ গিটার।
 
যাই হোক ফিরে আসি অঞ্জন দত্তের গল্পের আসরে 
 
"এই গানটা আমাদের লিস্ট এ ছিল না, তো এটা আমি গাইছি কারণ আমাকে রিকুয়েস্ট করেছে একজন যার দৌলতে গিটারটা আমি বাজাচ্ছি। একটু আগে সে গান শোনাচ্ছিল আপনাদের। রাজীব। থ্যাংক ইউ রাজীব। আমার গিটারটা একটু প্রব্লেম করছে। সো হি লেট্ মি প্লে হিজ গিটার। সো থ্যাংক ইউ। রাজীবের জন্যে একটা হাততালি- 
 
this goes out to many of you" 
 
গান ধরলেন
 
"দু’টো মানুষ একসাথে কত পথ চলা 
হাতে হাত রেখে কথা বলা 
কেন সব করে অবহেলা 
কেন শেষ-মেষে এসে বিদায়" 
 
গিটারে তিনজনের দক্ষতা সত্যিই সুন্দর। তবে অমিত দত্তের কথা আলাদা করে বিশেষ ভাবে বলতেই হয়। বিভিন্ন গানের মাঝে মাঝে উনার গিটার সোলো ছিল অসাধারণ। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই মাঝে মাঝে উনি ওনার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন গিটারের মাধ্যমে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো ওনার ইম্প্রোভাইজেশন অনেকদিন দর্শক শ্রোতাদের মনে থাকবে। একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল যা সম্ভবতঃ সব বড় মিউজিশিয়ানদের ক্ষেত্রেই লক্ষণীয়। আর তা হচ্ছে অঞ্জন দত্ত, অমিত দত্ত আর নীল দত্তের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা। অসাধারণ। যেমন অঞ্জন দত্ত একটা ছোট ব্রেক এ গেলেন এবং সেই সময় নীল দত্ত গাইছিলেন। কিন্তু অঞ্জন দত্ত যেহেতু একটু দেরি করছিলেন, তাই বাকি দুজনকে তো গানটাকে টেনে নিয়ে যেতে হবে অঞ্জন দত্তের ফিরে এসে চেয়ারে বসা পর্যন্ত। তো ওই সময়টাতে ইম্প্রোভাইজেশন, গিটার সোলো, ভ্যাম্পিং ছিল অতুলনীয়। দর্শককে বুঝতেই দেয় নি যে তারা ফিলিং ইন করছে।  
 
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে গাইলেন বেলা বোস গানটি 
" চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো, 
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা, 
সম্বন্ধটা এইবার তুমি ভেস্তে দিতে পারো,
মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছোনা, 
হ্যালো, এটাকে 2441139 ,
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে।  
দশ বারো বার রং নম্বর পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি 
দেবো না আর কিছুতেই হারাতে" 
 
গান শেষে আবার কথা বলতে শুরু করলেন।  
 
"টেলিফোনের গান কখনও ফেইল করে না। দেখবেন - 
" I just called to say I love you” ,  
“Hello, my friend, hello” 
 
হ্যালো হ্যালো গানগুলো সবসময় হিট হয় ।  
 
তা যাই হোক, আমার মনে হয়েছে এই বেলা বোস গানটা সামহাউ সেন্টিমেন্টাল। এটা নস্টালজিক, কিন্তু সেন্টিমেন্টাল। আমি পার্সোনালি ফিল যে এই গান যদি আজকে লিখতাম, তাহলে অন্যভাবে লিখতাম। একটা মেয়ে উত্তর দিচ্ছে না। সে সিঁদুর ফিদুর পরতে  রেডি অন্য কারোর সঙ্গে। অথচ লোকটা বেলা বোস'কে দিন, বেলাকে দিন, বেলাকে দিন - বলেই যাচ্ছে। এটা আমি না। আমি যদি আজকে লিখতাম, কি হতো সেটা শুনুন;  
 
হালো হ্যালো হালো তুমি শুনতে পাচ্ছে কি 
নেটওয়ার্ক এখানে খুবই দুর্বল 
অনেকদূর থেকে অনেকক্ষন করছি 
চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি গতকাল
 
হালো হ্যালো হালো তুমি শুনতে পাচ্ছে কি 
নেটওয়ার্ক এখানে খুবই দুর্বল 
অনেক ভেবে অনেকদূর থেকে থেকে ফোনটা করছি
চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি গতকাল
 
চাকরি করে গানটা করা হচ্ছে না যে আর
তাই বেছে নিলাম আমার নিজের গান 
আমি পারবোনা দায়িত্ব নিতে অন্য কিছুর আর
তুমি যতই করো মান অভিমান
 
বিদিশা, I am sorry, I am sorry, sorry, sorry Bidisha  
মেনে নাও তোমার বাবা মার কথাটাই ঠিক
আমি পারবোনা দিতে তোমাকে একটা লাল নীল সংসার, 
বিদিশা, আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত 
 
আমার গানের প্রেমে পরে আমায় ভালোবাসা
রাস্তা ঘাটে মাঠে বেড়িয়ে, 
আজ প্রেমটা হয়ে গেছে তোমার কাছে অনেক বড়ো 
আর গানটা গেছে অনেক পিছিয়ে 
আজ বড় হয়ে গেছে তোমার কাছে গাড়ি বাড়ি
ঘর সাজাবার বাজার আসবাব 
আমি চেয়েছিলাম শুধু তোমার মনের কাছে আসতে 
তুমি চাইলে আমার যাবতীয় সব।  
 
বিদিশা, I am sorry, I am sorry, sorry, sorry Bidisha  
মেনে নাও, তোমার বাবা মার কথাটাই ঠিক 
আমি পারবোনা দিতে তোমাকে একটা লাল নীল সংসার, 
বিদিশা, আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত (২)" 
 
তুমুল করতালির মাধ্যমে এই একেবারে নতুন গানটি শেষ করলেন। এইবার শেষ করার পালা। শেষ গানের কথা বলতেই দর্শক আরো অনেক গানের রিকোয়েস্ট দিতে শুরু করল। কিন্তু ততক্ষনে প্রায় রাত ১০:৪০ বেজে গেছে।  
 
অঞ্জন দত্ত আবারও সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন। ওনার এই বিনয়টা দর্শক শ্রোতাদের আকৃষ্ট করেছে ভীষণভাবে আমি নিশ্চিত। এতো জনপ্রিয় শিল্পী হয়েও কি অবলীলায় আয়োজকসহ কত মানুষের প্রতি ব্যাক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন বারবার। ঘুরে ফিরে কবির সুমনের নাম উচ্চারণ করছেন অনেকবার। বোঝাই যায় কবির সুমন যে উনাকে নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন তা উনি সবসময় মনে রাখেন এবং অকপটে প্রকাশ করেন। এটা উনার বিশালতার পরিচয় যা খুব সচরাচর দেখা যায় না। কথা বলার মাঝে যতবারই দর্শক হাততালি দিয়েছে উনি প্রতিবারই কথা বন্ধ করে দিয়ে, মাথা নিচু করে তা গ্রহণ করছিলেন। মাঝে মাঝে কৃতজ্ঞতায় মাথার টুপি খুলেছে। গান ছাড়াও বিনয় উনাকে করছে অনন্য।
 
শুরু করলেন শেষ গানটা 
“I see trees of green 
Red roses too 
I see them bloom  
For me and you 
And I think to myself  
What a wonderful world 
……। ।  
 
I hear babies cry 
I watch them grow 
They'll learn much more  
Than I'll ever know 
And I think to myself  
What a wonderful world 
Yes, I think to myself  
What a wonderful world” 
 
আমি আস্তে আস্তে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলাম। এখান থেকেও শুনতে পাচ্ছি, গাইছেন “ what a wonderful worlds” 
আমি বললাম 
What a wonderful singer 
What a wonderful human being 
 
পা বাড়ালাম কার পার্কের দিকে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেছেন

নগর জীবন

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন