শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:৫৮, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯

দ্য স্টোরি অব থ্যাংকস গিভিং ডে!

রীতা রায় মিঠু
অনলাইন ভার্সন
দ্য স্টোরি অব থ্যাংকস গিভিং ডে!

২০০১ সালে আমরা সবেমাত্র আমেরিকা এসেছি, প্লেন থেকে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া স্টেটেই প্রথম নেমেছি। আমাদের মেজো মেয়ে মিশা যে মিডল স্কুলে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছিল, সেই স্কুলের মিউজিক টিচার ছিলেন মিসেস রজার্স। দশ বছরের মিশা ছিল ঐ স্কুলে একমাত্র বাঙালি (মিশার সাথে পরিচিত হওয়ার আগে ঐ স্কুলের কেউ তখনও বাংলাদেশ নামের দেশটির সাথে পরিচিত ছিল না।) মিশা খুব যে ভাল গান করতে পারতো তা নয়, কিন্তু মিশা খুব মিশুকে ছিল। টিচারদের প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা, ব্যবহারে ছিল বাঙালি নমনীয়তা যা দেখে মিশাকে মিসেস রজার্সের খুব ভাল লাগে। মিশাকে কাছে ডেকে ওর বাবা-মা, ভাই-বোন সম্পর্কে, দেশ সম্পর্কে, দেশে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে নানা গল্প শুনতে চাইতো। বাংলাদেশ দেখতে কেমন, ওখানে সকলেই গান করে কিনা, নাচ করে কিনা, বাংলাদেশে ক্রিসমাস উৎসব হয় কিনা, এমন নানা কথা শুনতে চাইতো। মিশা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাঝে মাঝেই বলতো যে, মিসেস রজার্স আমাদের সাথে পরিচিত হতে চায়।

তখন আমরা সবে দুই মাস হয় আমেরিকা এসেছি, আমেরিকার জলহাওয়ার সাথে পরিচিত হইনি, আমেরিকার জীবন, আমেরিকার সংস্কৃতি, আমেরিকার মানুষ, আমেরিকার উৎসব—কোন কিছু সম্পর্কেই তেমন কোন ধারণা হয়নি। এরমধ্যেই নভেম্বার মাসের চতুর্থ সপ্তাহে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ দিনের ছুটি দেয়া হলো, উপলক্ষ থ্যাংকস গিভিং। আমার স্বামী এবং স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়েও ছুটি পেলো। ওরা ছুটি পেয়েছে ঠিকই তবে ‘থ্যাংকস গিভিং’ উৎসব সম্পর্কে তখনও কিছুই জানে না। থ্যাংকস গিভিং যে নভেম্বার মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার হয়, সেটিও জানতাম না, শুধু এটুকু বুঝেছিলাম যে এটি একটি আনন্দোৎসব। থ্যাংকস গিভিং ডে’র দুপুরে আমাদের বাসার ফোনে একটি কল এলো, মিশা জানালো, মিসেস রজার্স ফোন করেছেন। আমি খুব হতচকিত হয়ে ফোন কানে দিয়ে হেলো বলতে ওপাশ থেকে অসম্ভব মায়াবী কন্ঠের এক নারী বললেন যে উনি থ্যাংকস গিভিং উপলক্ষে মিশার জন্য ‘সিনামোন রোল’ তৈরী করেছেন, আমি যদি অনুমতি দেই তবেই উনি সিনামোন রোল নিয়ে আমাদের বাসার দরজায় গাড়ি থামাবেন। এমন ধরণের ফোন কল আমি এর আগে কারো কাছ থেকেই পাইনি। কাউকে কিছু দিতে হলেও যে অভিভাবকের সম্মতি নিতে হয়, আমেরিকান এই সংস্কৃতির সাথে প্রথম পরিচিত হলাম মিসেস রজার্সের মাধ্যমে। আমি হ্যাঁ বলার তিন মিনিটের মধ্যেই দরজায় টোকা পড়লো, দরজা খুলতেই দেখলাম দারুণ রুপবতী এক নারীকে, হাতে সুদৃশ্য কাগজে মোড়ানো ট্রে, যার মোড়কের ফাঁকা দিয়ে দারুণ সুবাস বেরোচ্ছে। মিসেস রজার্স আমাদের সবাইকে হ্যাপী থ্যাংকস গিভিং ডে’র শুভেচ্ছা জানিয়ে সেদিনের মত বিদায় নিলেন।

এর পরের সপ্তাহে রজার্স দম্পতিকে আমাদের বাসায় ডিনারের নেমন্তন্ন করলাম। উনারা খুব খুশী, যথাদিনে রজার্স দম্পতি এলেন। মিসেস রজার্স অসম্ভব রূপবতী আর মিঃ রজার্সকে দেখামাত্র মনে হলো, একজন শুদ্ধ মানুষকে দেখছি। সেই থেকে রজার্স দম্পতির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেলো। আমরা ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া থেকে মিসিসিপি চলে এসেছি পনের বছর আগে। কিন্তু আঠারো বছর আগে আমেরিকায় আমাদের প্রথম থ্যাংকস গিভিং উৎসবে মিসেস রজার্স নামের অসাধারণ এক নারী ‘সিনামোন রোল’, কুকিজ, ফ্রুট কেক’ পাঠানোর যে রেওয়াজ চালু করেছিলেন, আজও তা অটুট এবং অক্ষুন্ন রয়ে গেছে। প্রতি বছর থ্যাংকস গিভিং সপ্তাহে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া থেকে বিশাল বড় এক প্যাকেট আসে, তার ভেতরে মিসেস রজার্সের স্বহস্তে তৈরী রকমারী সুস্বাদু খাবার।

এখন আমরা সকলেই জানি, থ্যাংকস গিভিং ডে আমেরিকার সবচেয়ে বড় দুটি উৎসবের একটি, অন্যটি ক্রিসমাস। আমরা তো বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, তাই থ্যাংকস গিভিং উৎসবে আমরাও আনন্দ করি, উৎসবের আমেজে থাকি, একে অপরকে ‘হ্যাপী থ্যাংকস গিভিং’ বলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। রজার্স দম্পতীকে সবার আগে ‘হ্যাপী থ্যাংকস গিভিং ডে’ জানাই। সারা উত্তর আমেরিকায় আজ ধুমধামের সাথে পালিত হচ্ছে ‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ উৎসব। দিনটি সরকারী ছুটির দিন। গত কয়েক শতক ধরে নভেম্বার মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় মহা সমারোহে থ্যাংকস গিভিং ডে উদযাপিত হয়, এ বছর ২৮শে নভেম্বার, বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ উৎসব। থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ উৎসবে মূলত পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবসহ সকলে একত্রিত হয়, একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করে, জীবনের প্রতিটি সাফল্য, দেশ ও জাতির প্রতিটি সাফল্যের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করে। 
উৎসব উদযাপনে এদেশে কারো ক্লান্তি আসে না। এক দুই দিনে উৎসবের রেশও কাটতে চায় না। বৃহস্পতিবার থ্যাংকস গিভিং ডে, পরের দিন শুক্রবার ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল’,পরের দুই দিন শনি আর রবি, সব মিলিয়ে চার দিন ছুটি পাওয়া যায়। আমেরিকানরা চারদিনের ছুটি খুব উপভোগ করে।। সাধারণ আমেরিকানদের অনেকেই থ্যাংকস গিভিং উৎসবের ইতিহাস জানে না। উৎসব কবে থেকে শুরু হয়েছে, কেনই বা উৎসবটির নাম থ্যাঙ্কস গিভিং ডে! তাদের কাছে থ্যাঙ্কস গিভিং মানে সবাই একত্র হওয়া, পরস্পর হ্যাপি থ্যাংকস গিভিং সম্ভাষণ জানানো, পরিবারের সকলে একসাথে বসে থ্যাংকস গিভিং ডিনার খাওয়া।

থ্যাংকস গিভিং ডে উৎসবের সূচনাঃ

১৬২০ সালের আগস্ট মাসে ‘মে ফ্লাওয়ার’ নামের এক মালবাহী জাহাজ ১০২ জন যাত্রী নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউথ হ্যাম্পটন থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রীদের সকলেই ছিল ধর্মযাজক শ্রেনীর, যাদেরকে ইংরেজীতে ‘পিলগ্রিম’ বলা হয়। ইংল্যান্ডে বসবাসকালীন পিলগ্রিমগণ স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা করতে পারতো না, তাদেরকে সরকারী-বেসরকারী নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হতে হতো। তাই নির্বিঘ্নে, একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের উপাসনা করার জন্য তারা একটি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বের হয়। তাদের প্রাথমিক গন্তব্য ছিল ভার্জিনিয়া কোস্ট, যেখানে আরও কিছু পিলগ্রিমের বসবাস ছিল। যাত্রা শুরুর দুই তিন মাস পর ‘মে ফ্লাওয়ার’ আমেরিকার মেসাচুসেটস বে তে এসে পৌঁছে। 

এই তিন মাসে যাত্রীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ইংল্যান্ড থেকে যাত্রার শুরুতে তারা জানতো না জায়গামত পৌঁছুতে কতদিন লাগতে পারে। এত দীর্ঘ সময় লাগবে তা ধারণায় ছিলনা। দীর্ঘযাত্রার উপযোগী পোশাক-পরিচ্ছদ, পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য মে ফ্লাওয়ারে মজুত ছিলনা। ফলে যাত্রীদের অনেকেই বৈরী আবহাওয়ায়, অর্ধাহারে, অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়ে, জাহাজেই বেশ কিছু যাত্রীর মৃত্যু হয়। নতুন স্থানে পৌঁছে শীতের তীব্রতায় বাকী সকলেই অসুস্থ ও দূর্বল হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে জাহাজ মেসাচুসেটসেই যাত্রা বিরতি করে। যাত্রীদের সকলেই জাহাজ থেকে তীরে এসে নামে, শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়, তাদের ভার্জিনিয়া কোস্টে পৌঁছানোর পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। নতুন আশা বুকে বেঁধে মেসাচুসেটসেই ওরা কলোনী গড়ে তোলে, যাকে বলা হয়ে থাকে প্লিমথ কলোনী।

শুরু হয় মুক্ত স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, ধর্মচর্চার স্বাধীনতা। শুরুতে তাদের অনেক কষ্টের মুখোমুখি হতে হয়। নতুন দেশ, নতুন আবহাওয়া, শীতের তীব্রতায় প্রতিদিনই দুই একজনের জীবন সংকট দেখা দিতে থাকে। কেউ কেউ মারাও যায়। শীত পেরিয়ে যখন বসন্তের আগমন ঘটে, বেঁচে থাকা মানুষগুলোর মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দেয়। বেঁচে থাকার তাগিদে নতুন উদ্যমে তারা ধীরে ধীরে ঘর-বাড়ি বানাতে শুরু করে, আশেপাশের স্থানীয় ইন্ডিয়ান উপজাতিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে, উপজাতিদের কাছ থেকে পাওয়া সাহায্য নিয়ে চাষ-বাস শুরু করে। এরপর উপজাতিদের সাথে উৎপাদিত দ্রব্য বিনিময় প্রথা চালু হয়। এভাবেই ধীরে ধীরে প্লীমথ কলোনী বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। ১৬২১ সালের নভেম্বার মাসে প্লিমথবাসী প্রথমবারের মত নিজেদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলে। ফসলের মধ্যে ভুট্টার ফলন এত বেশী ভালো হয়েছিল যে তৎকালীন গভর্নর উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড এই উপলক্ষে সমস্ত ইন্ডিয়ান উপজাতি এবং প্লি্মথ কলোনিবাসীদের সৌজন্যে ‘ফিস্টি’ আয়োজন করেন।

ফিস্টির দিনটিকে ঈশ্বরের নামে উৎসর্গ করা হয়েছিল। সকলেই কৃতজ্ঞ চিত্তে ঈশ্বরকে স্মরণ করে, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়, তারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের কৃপায় তারা বেঁচে আছে, প্রভুর দয়ায় তাদের সকলের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, পতিত বন্যভূমিকে সকলে মিলে বাসযোগ্য কলোনি হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছে, ঈশ্বর কৃপা করেছেন বলেই উৎপাদিত ফসলে তাদের গোলা ভরে উঠেছে, ফসলের ফলন এত বেশী হয়েছে যে আগামী শীত কেটে যাবে কোন খাদ্য ঘাটতি ছাড়া। ঈশ্বরের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষে নিজেদের মধ্যে ধন্যবাদ বিনিময় হয়, খাওয়া দাওয়া হয়, সকলে মিলে আনন্দ-ফূর্তিতে কাটিয়ে দেয় একটি দিন। পরস্পর-পরস্পরে ধন্যবাদ বিনিময়ের সেই দিন থেকেই অনুষ্ঠানটি আমেরিকার সর্ব প্রথম ‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। প্লীমথ কলোনিবাসীর দেখাদেখি থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উদযাপনের এই রীতি অন্যান্য কলোনিবাসীদের মাঝে প্রচলিত হতে থাকে। তবে বছরের নির্দিষ্ট দিনে তা পালিত হতো না। কলোনিবাসীদের নিজেদের সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী তারা বছরের একটি দিন থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উদযাপন করতো।

সরকারীভাবে সর্ব প্রথম ‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ উদযাপিত হয়েছিল নিউইয়র্কে, ১৮১৭ সালে। এরপর থেকে প্রতি বছর অন্যান্য স্টেটেও উৎসবটি পালিত হতে থাকে। প্রথমদিকে নিউইয়র্ক এবং অন্যান্য স্টেটে দিনটি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত ছিল। পরবর্তীতে সকল স্টেট থেকে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’কে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করার পক্ষে জোর দাবী উঠতে থাকে।

১৮২৭ সালে বিখ্যাত নার্সারী রাইম ‘মেরি হ্যাড আ লিটল ল্যাম্ব’ রচয়িতা সারাহ যোসেফা প্রথম উদ্যোগ নেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর তিনি পত্র-পত্রিকায় আর্টিক্যাল, এডিটোরিয়েল লিখাসহ এই আবেদনের সপক্ষে প্রচুর চিঠিপত্র গভর্নর, সিনেটর, প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদদের কাছে পাঠিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ১৮৬৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, সারাহ যোসেফের আবেদন খুব গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন এবং ‘সিভিল ওয়ার’ চলাকালীন সময়েই জনগণের উদ্দেশ্যে আবেদনমূলক ঘোষনা দেন, সকলেই যেন পরম করুনাময় ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা জানায়, “হে ঈশ্বর! তোমার স্নেহের পরশ, অপার করুণা তুমি তাদের উপর বর্ষণ করো, যারা গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে নারী স্বামী হারিয়েছে, যে সন্তান পিতৃহারা হয়েছে, যে মা সন্তান হারিয়েছে, যা ক্ষতি সমস্ত জাতির হয়েছে, সমস্ত ক্ষতি যেনো দ্রুত সারিয়ে তোলা যায়। জীবিত সকলের যেন মঙ্গল হয়’। একই বছর প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন নভেম্বার মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ হিসেবে সরকারী ছুটির দিন ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা শুরু হয়। ‘গ্রেট ডিপ্রেশান’ হিসেবে পরিচিত অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে ১৯৩৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট রিটেল সেল বাড়ানোর ঊদ্দেশ্যে এই ছুটি এক সপ্তাহ এগিয়ে আনার ঘোষনা দেন, এবং সেই থেকে শেষ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে নভেম্বার মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ পালিত হয়।

থ্যাংকস গিভিং ডে’ উদযাপন! 

অতি গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনটির দুপুরে পরিবারের সকলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে, দুপুরের খাবার হলেও বলা হয় ‘থ্যাংকস গিভিং ডিনার’। থ্যাংকস গিভিং ডিনারে মূল আকর্ষণীয় আইটেম ‘টার্কি রোস্ট, ক্র্যানবেরী সস, এবং পামকিন পাই’। একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, থ্যাংকস গিভিং উৎসবে কেন সকলেই টার্কি রোস্ট এবং পামকিন পাই খায়! ধারণা করা যায় যেহেতু এই উৎসব শুরু করেছিল ইউরোপ থেকে আগত পিলগ্রিম এবং আমেরিকান ইন্ডিয়ানরা। নভেম্বরে ফসল তোলার মৌসুমে তারা ‘নবান্ন উৎসবের’ মত থ্যাংকস গিভিং উৎসব পালন করতো। উৎসব উপলক্ষে উপাদেয় খাবারের আয়োজন করতো নিশ্চয়ই। খাবার সংগ্রহ করার জন্য বনে বাদাড়ে ঘুরতো, পাখি পশু শিকার করতো। 

এই ঋতুতে বক্নে বাদারে প্রচুর টার্কি দেখা যায়। টার্কি হচ্ছে ময়ূরের মত দেখতে কিন্তু ময়ূর নয়, বনমোরগ কিনা জানিনা, হলে হতেও পারে। টার্কি শিকার করে টার্কির মাংস দিয়ে উৎসব করতো। শীতের শুরুতে জমিতে কুমরোর ফলনও খুব ভাল হয়। শীতের শুরুতেই কুমড়ো পাকে, তাই হয়তো থ্যাংকস গিভিং উৎসবে পাকা কুমড়ো দিয়ে ‘পামকিন পাই’ বানানোর এই রীতি তখনই চালু হয়। যে কোন রীতি একবার শুরু হলে প্রচলিত ধারায় তা চলতে থাকে যুগের পর যুগ, সাথে আরও নতুন রীতি যোগ হতে পারে, কিন্তু আদি রীতি একেবারে হারিয়ে যায়না। হয়তো থ্যাংকস গিভিং ডিনারে বর্তমান যুগে নানারকম খাবারের আয়োজন থাকে, কিন্তু টার্কি রোস্ট এবং সবশেষে পামকিন পাই, আদি ও অকৃত্রিম হিসেবে আজও রয়ে গেছে খাদ্য তালিকায়। থ্যাংকস গিভিং এত বড় উৎসব যে এই উপলক্ষে টিভিতে ফুটবল গেইম, থ্যাঙ্কস গিভিং প্যারেড প্রচারিত হয়ে থাকে। থ্যাঙ্কস গিভিং প্যারেডে পিলগ্রিম (ব্রিটিশ অরিজিন) এবং আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের ডিস্পলে দেখানো হয়ে থাকে। থ্যাংকস গিভিং উৎসবের খাওয়া দাওয়া শেষে মূল আকর্ষণ ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল’!! বিশেষ মূল্য হ্রাসে আকর্ষণীয় জিনিসপত্র বেচা কেনার প্রতিযোগিতা! ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে আমেরিকান জনগণের খুব প্রিয় পণ্যসামগ্রী সীমিত পরিমাণে কিন্তু জলের দরে বিক্রি করার ঘোষণা দেয়া হয়। যেহেতু সীমিত পরিমাণ তাই কার আগে কে পাবে, এই নিয়ে হুড়োহুড়ির প্রতিযোগিতা চলে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের বাণিজ্যিক লাভের অংশটুকু আমেরিকার রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে বলে এই সেলের আবেদন রাষ্ট্রিয় পর্যায়েও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল ভীষণ উত্তেজনাময়, আমাদের দেশের ক্রিকেট ফুটবলের মত জনপ্রিয় ইভেন্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে এই সেল শুরু হয়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সেল চলে, বেলা একটু বাড়ার সাথে তা শেষ হয়ে যায়। ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে আমেরিকার প্রতিটি রিটেল স্টোরে অতি সুলভ মূল্যে আকর্ষণীয় পণ্য বিক্রয় করা হয়। পণ্য সরবরাহ সীমিত থাকে, বিক্রয় সময়ও থাকে নির্দিষ্ট, তাই ক্রেতাদের ভীড় হয় অনিয়ন্ত্রিত। ফলে আগে এলে আগে পাবে প্রতিযোগীতায় ক্রেতাদের ভীড়, হুটোপুটি, একজনের গায়ে ধাক্কা লেগে অন্যজনের হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাওয়া, পড়ে গিয়ে আবার উঠেই সেলের পণ্য ধরতে দৌড় দেয়া, সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য দৃশ্য। প্রায় প্রতি বছর আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে দুই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, দুই একজন যে প্রাণ হারায়নি, তাও নয়, গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনা উঠার ঘটনাও ঘটেছে, তবুও ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের আবেদন এতটুকু কমেনি। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল’ আমেরিকার অর্থনীতির সূচককাঁটা ঘুরিয়ে দেয়। এভাবেই বর্তমান সময়ে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’র ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য অপেক্ষা বাণিজ্যিক দিকটাই বেশী প্রকাশিত হয়ে পড়ে।

যদিও থ্যাংকস গিভিং ডে উৎসব আমেরিকা কানাডায় পালিত হয়। তবে শুধু আমেরিকা বা কানাডাতে দিনটি উদযাপিত না হয়ে পৃথিবীর সকল দেশেই তা পালিত হতে পারে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তো প্রতিনিয়তই দেয়া উচিত এমন সুন্দর এক পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন বলে, ধন্যবাদ দেয়া উচিত, এই সুন্দর পৃথিবীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য আমাদের সৃষ্টি করেছেন বলে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীটাকে নানা ধনসম্পদে ভরিয়ে রেখেছেন বলে। 

আমাদের সকলেরই তো ‘মে ফ্লাওয়ার’ এর যাত্রী পিলগ্রিমদের মতই পরিশ্রম করে ফসল ফলানোর কথা, শত্রু নয় বন্ধু নীতিতে চলার কথা, তা না করে আধুনিক বিশ্বে মানুষ হয়ে উঠছে স্বার্থপর, নিষ্ঠুর, অমানবিক। প্রতিদিন নিষ্ঠুর গোলার আঘাতে হত্যা করে চলেছে অসহায় নারী, পুরুষ, শিশু। আশ্রয়হীন, সম্বলহীন অসহায় মানুষগুলো একটু আশ্রয়ের জন্য, এক মুঠো খাদ্যের জন্য বনবন করে ঘুরছে এ প্রান্তর থেকে ও প্রান্তরে, নিজ দেশ থেকে পাশের দেশে। এমন হওয়ার কথা ছিল না, বিশ্ব যত বেশী আধুনিক হচ্ছে, বিশ্বের মানুষ ততই আদিম যুগের পথে হাঁটছে। 

পৃথিবীতে শান্তি আসুক, শান্তি চাই, সব সুন্দর হয়ে উঠুক, সকল সুন্দরের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’ শুধুমাত্র প্রতীকী দিবস হিসেবে পালিত না হয়ে, আক্ষরিক অর্থেই পারস্পরিক বন্ধুত্ব, ভালো কাজের স্বীকৃতি, পারস্পরিক সহযোগীতা, সহমর্মিতা ও উদারতায় পরিপূর্ণ হোক। মানুষ যুদ্ধ বিগ্রহ ভুলে, হানাহানি, মারামারি বন্ধ করে, প্রতিবেশী, প্রতিবেশী দেশ তথা সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব অথবা সন্ধি করার কথা ভাবুক, তবেই ঈশ্বরও আমাদের জীবনে তাঁর করুণা বর্ষণ করবেন। 

ঈশ্বরের করুণায় সিক্ত হয়ে আমরাও প্রতিদিন অথবা প্রতি মাস অথবা বছরের একটি দিন, ঈশ্বরের জয়গান করতে পারি, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে পারি আমাদের প্রতি অবারিত করুণা বর্ষণের জন্য। আজকের দিনটি হোক ঈশ্বর বন্দনায় নিবেদিত! থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’- দিনটি হোক সকলের, পৃথিবী হয়ে উঠুক বাসযোগ্য!!

লেখক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

২৯ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

৪২ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো : আসিফ
ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো : আসিফ

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নবান্ন উপলক্ষে পীরের আস্তানায় ক্ষীরের উৎসব
নবান্ন উপলক্ষে পীরের আস্তানায় ক্ষীরের উৎসব

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের
৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি
চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি

১৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম
এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান
এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান

২৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

২৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়
শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়

৩১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব
অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা
ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা

৩৪ মিনিট আগে | শোবিজ

জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

৪১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?
ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?

৪৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ
শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

এবারও আঁধার কাটল না শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলে, হতাশ চাষিরা
এবারও আঁধার কাটল না শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলে, হতাশ চাষিরা

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫

৫১ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

নিউইয়র্কের রাস্তায় এড শিরানের অদ্ভুত যাত্রা
নিউইয়র্কের রাস্তায় এড শিরানের অদ্ভুত যাত্রা

৫২ মিনিট আগে | শোবিজ

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব
বাংলাদেশ সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা