মাই নুয়েঙ, তোমার প্রিয় মাতৃভূমির
একটি হাসপাতালে শুয়ে ব্যাংকক পোস্ট-এ পড়লাম
বন্দুকের গুলিতে কবিকে হত্যার খবর-
রক্তের বন্যায় ভেসে যাচ্ছো তুমি
দুই কাঁধে তোমার ছড়ানো চুল, জ্যোর্তিময় চোখ আর
কাব্যময় মুখ থেকে ঠিকরে পড়ছে দ্যুতি!
এবং তোমার দয়িতা অশ্রু বাষ্প হয়ে
শ্যামদেশের আকাশ ঢেকে দিচ্ছে কালো মেঘে!
ড্রাগনের মতোন হিংস্র সামরিক জান্তা, আর
রাজতন্ত্রের সমালোচনা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে
রেডশার্ট মুভমেন্টে তোমার কলম ফুঁসে উঠেছে এবং
ছড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়ার মতোন লাল আগুনের শিখা।
খুনিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই বারবার তুমি
আদালতে দাঁড়িয়েছো; তোমার কবিতা পড়ার
অমিততেজ ভঙ্গি, দেশপ্রেম আর
মানুষকে অকৃত্রিম ভালোবাসার গোলাপ
আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় লোরকার মৃত্যুদৃশ্য,
মোলয়েজ-এর ফাঁসি আর নাজিম হিকমতের কবিতা-
'দুঃসময় থেকে সুসময়ে পৌঁছে দেবে মানুষ মানুষকে'।
থাইদের প্রিয় লালজামা কবি তুমি- রেডশার্টস পোয়েট।
আমি জানি মানুষের আত্দা বেরিয়ে পড়লে
মাটি ও পানির সঙ্গে মিশে যাবে এই তুচ্ছ দেহ।
তবু, তুমি কবি! আমিও কবিতা লিখি বন্ধু।
তাই অশ্রুসজল নয়নে এই সুউচ্চ হাসপাতালের
জানালা খুলে দাঁড়াতেই চতুর্দিক থেকে
আজ ভেসে আসছে তোমার দরাজ কণ্ঠস্বর-
আমি গাই জীবনের জয়গান
জীবন রে তুঁহুঁ মম শ্যামসমান!