এদিকে আসতে না আসতেই শুনেছি আমি
অকস্মাৎ দুঃখের সোনালি গান গাইছে কেউ
এতো দরদ, আবেগঘন গানে তার শরীর থেকে
আছড়ে পড়ছে শত জনমের ছিন্নমূল পলেস্তারা
আহত পাতারা
বুঝি বা ক্ষরিত মুখগুলো তাকে ঘিরে রেখেছিল
দূর নীহারিকা থেকে
হয়তো এভাবেই সে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল বহু স্থানে
তার হৃদয়ের মালঞ্চ থেকে
তার ভীতসন্ত্রস্ত গানগুলো তখন আরো
জায়গা করে নিয়েছিল ডাস্টবিনে
উঁচু তলা ভবনের বন্ধ ফটকে,
আমাদের অর্থময় বিরক্তিতে
শীতে তার কম্পমান দেহে সেই গানগুলো তাকে
উষ্ণতা দিতে দিতে চলে গিয়েছিল
ক্ষণিকের মায়া ছিটানো রহস্য দ্বীপে
আবার দেখা হবে বলে রেখে গিয়েছিল
শাদা পাষাণের কান্না
সে কোথায় তবে!
বিজয়ের ময়দানে এসে আমি তাকে খুঁজি শুধু।