এসেছে হেমন্ত আজ, চোখে তার স্বরলিপি, মায়াময়!
দূরগ্রামে ছায়া-ছায়া রোদ্দুরে কে নাচে? ভোরের
শিশুরা! ‘পাখিসব করে রব’ ধোঁয়া ওঠা মৃদুগন্ধী ঈষৎ
আঁধারে; অকস্মাৎ লতাগুল্মে জড়ালে পা ডেকে ওঠে
মিলনোন্মুখ ডাহুকী, ডানা নেড়ে ডাহুক জানায় তার
প্রিয় সম্ভাষণ! দুয়েকটি বক খুঁজে ফেরে অতি দূর
আকাশের রুপালি চিবুক; মেঘের মিনার ছুঁয়ে কারা
যায়? রূপশালি ধান খেয়ে উড়ে চলা ঝাঁক ঝাঁক
টিয়ে নাকি! নদীর কিনার ঘেঁষে ছুটে চলা নৌকা
যেন জীবনের বহতা প্রতীক! রাশি রাশি পাকা ধান
কৃষিজীবী জীবনের অনন্ত স্মারক! ঝিঁঝিডাকা
নেশাতুর মায়ারাশি বরই ফুলের গন্ধে নাড়িছেঁড়া
কৈশোরের ছবি আঁকে দিনমান! দু’পায়ে ঘুঙুর
বাজে! নৃত্য করে মন! ও হেমন্ত, সাজাও তোমার
দেহতরি... যতদিন এ বাংলা আছে, নেই তার ক্ষয়!
এসেছে হেমন্ত আজ, চোখে তার স্বরলিপি, মায়াময়!