শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

সাগরিকা

আয়েশা বেগম
প্রিন্ট ভার্সন
সাগরিকা

গল্প

সাগরিকা ও সাজ্জাদ একই সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পাস করল। দুজনই এ প্লাস।

সাগরিকা ভাবছে সাজ্জাদকে ফোন করবে। হঠাৎ মোবাইলে শব্দ। সাজ্জাদই ফোন করেছে।

-হ্যালো, সাজ্জাদ। কেমন আছ?

-এই তো। তুমি কেমন?

-হ্যাঁ, আমিও ভালো।

সাজ্জাদ হাসতে হাসতে বলল-

-তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।

-আমাকে বুঝি দেখনি?

-না, তা নয়। তবু একবার দেখতে চাই।

সাগরিকা বলল,

-এবার মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা। জীবনের বড় পরীক্ষা মনে হচ্ছে এটাই।

-হ্যাঁ, বড় পরীক্ষা তো বটেই। কেমন প্রিপারেশন হচ্ছে?

- তোমার যেমন, আমারও তেমনটিই।

দুজনে এক প্রতিষ্ঠানেই তো কোচিং করলাম। বাড়তি আর কী পড়ব? মাথায় কিছুই ঢুকতে চায় না। কী যে হবে শেষ পর্যন্ত!

সাজ্জাদ সাহস দিয়ে বলল,

-আরে না। এত চিন্তা কর না।

-হুঁ, তাই তো, সেই অপেক্ষায় আছি। আচ্ছা অনেক রাত হলো। রাখছি। ভালো থেকো।

সাগরিকা আনমনে কি সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে নাশতা খাওয়ার পর মনে পড়ল। বইমেলা চলছে। সাগরিকা তাড়াতাড়ি সাজ্জাদকে ফোন করল।

-হ্যালো, সাজ্জাদ। বইমেলায় যাবে বলেছিলে।

- হ্যাঁ, বলেছিলাম। বিকেল ৪টার দিকে চলে এসো।

সাগরিকা লাইন কেটে দিল। ভাবল, ফাগুনের বিকেল। তাই বেছে বেছে হলুদ শাড়িটাই পরল। হাতভরে হলুদ রেশমি চুড়ি। কানে ছোট হলুদ দুল। আয়নায় নিজেকে ঘুরেফিরে দেখল।

-কিরে এত সাজগোজ করে কোথায় যাচ্ছিস? মায়ের জিজ্ঞাসা।

-বইমেলায় যাব। সাজ্জাদের সঙ্গে ঘুরব। মা বললেন-

- বেশি রাত করবি না। দিনকাল ভালো না।

-না, একটুও দেরি করব না। সাগরিকা মায়ের গলা জড়িয়ে আদর করল।

বইমেলায় দুজন। কিছু বইয়ের স্টলে ঘোরাফেরা করল। সাগরিকা রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা কিনে দিল সাজ্জাদকে। সাজ্জাদও নজরুলের সঞ্চিতা কিনে দিল সাগরিকাকে। কিছুক্ষণ পর ক্যান্টিনে ঢুকে ফুচকা, কফি খেল। গল্প করল। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৯টা। খাওয়া-দাওয়ার পর সাগরিকা মোবাইল নিয়ে বসল। অনেকক্ষণ এটা ওটা নিয়ে সাজ্জাদের সঙ্গে কথা বলল। হেসেখেলে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল দুজনার। যথাসময়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেল।

সাগরিকা চান্স পেল। সাজ্জাদ পেল না। সাগরিকা সাজ্জাদকে সান্ত্বনা দিল। কী আর করবে। আহ্ছান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলো সাজ্জাদ। ক্লাস শুরু হয়ে গেল দুজনেরই। আগের মতো আর দেখা হয় না। কথা হয় না। দুই দিগন্তে জীবন দুজনের। মোবাইলে কথাবার্তা হলে দুজনেরই মনটা খচ্খচ্ করত। একদিন আগে থেকে কথা বলে দুজনে রমনা পার্কে বেড়াতে আসল। একটা গোলাপ ঝোঁপের আড়ালে বসল। কিছুক্ষণ দুজনই চুপচাপ।

সাজ্জাদ বলল,

-কী ব্যাপার, কথা বলছ না যে।

-কী বলব।

-বারে। কয়দিন দেখা হয়নি বলে সব কথা ফুরিয়ে গেল নাকি?

-না। ফুরিয়ে যাবে কেন? তোমার লেখাপড়া কেমন হচ্ছে?

-ভালো। তোমার?

-ভালো। কিন্তু জানো সাগরিকা, কারও কাজল টানা চোখের কথা মনে পড়লে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। মনে হয় সাগরিকাকে ছাড়া বেঁচে থেকে কী লাভ? সাজ্জাদের কথা শুনে সাগরিকা খিল খিল করে হেসে উঠল। তার দিকে তাকিয়ে সাজ্জাদ অবাক হয়ে গেল। মানুষ এত সুন্দর করে হাসতেও পারে। সাজ্জাদ সাগরিকার দিকে তাকিয়েই রইল।

সাগরিকা এবার লজ্জা পেল।

বলল,

-কী দেখছ আমার দিকে অমন করে?

-দেখছি তোমাকে।

-আমাকে কি আজকেই প্রথম দেখছ?

-না, তুমি বুঝবে না। সাগরিকাকে যে ভালো বেসেছে, সেই একমাত্র আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

-থাক থাক। আর কিছু বলতে হবে না। চলো, রাত হয়ে যাচ্ছে। সাজ্জাদ আবার বলল,

-আচ্ছা সাগরিকা। তুমি কি আমাকে আগের মতোই ভালোবাসো?

-কেন, সন্দেহ হচ্ছে?

-সন্দেহ নয়, ভয়।

সাগরিকা শক্ত করে সাজ্জাদের হাত ধরে বললো এই চলো। আমরা কাজীর অফিসে গিয়ে আজই বিয়ে করে ফেলি। তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

-তারপর? তারপর কী হবে?

-তারপর আর কী? সাগরিকা খিল খিল করে হেসে উঠল। না, এমনি বললাম। তোমার মনের কথা জানতে চেয়েছিলাম।

সাজ্জাদ অবাক হয়ে বলল,

-এতদিনে আমার মনের কথা জানতে চাইলে। এতদিনে আমাকে সন্দেহ করছ?

সাগরিকা বলল,

-রাগ করলে?

সাগরিকা সাজ্জাদের হাত ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলল, চলো- যাওয়া যাক।

-হ্যাঁ, চলো।

ওরা হাত ধরাধরি করে উঠে দাঁড়াল। সাগরিকাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে সাজ্জাদ চলে আসলো হোস্টেলে। সাজ্জাদের বুকটা ধড়ফড় করতে লাগল। মনে হলো কী যেন হাত থেকে ফসকে গেল। হৃদয়টা শূন্য হয়ে গেল। বেশ কিছুদিন পর একদিন ক্লাস শেষ করে সাগরিকা সিঁড়ি দিয়ে নামছিল। লাইব্রেরিতে যাবে।

এমন সময় পেছন থেকে নিজের নামটা শুনল। কে যেন ডাকছে। এই যে সাগরিকা দাঁড়ান, আপনার সঙ্গে কথা আছে। সাগরিকা দাঁড়িয়ে পড়ল। জিজ্ঞেস করল-

-কিছু বলছেন আমাকে?

-জি আপনাকেই বলছি।

-কিন্তু আমি যে লাইব্রেরিতে যাচ্ছিলাম। নোট করব। কাল টিউটোরিয়াল জমা দিতে হবে।

-হ্যাঁ, আমিও তো লাইব্রেরিতে যাব। চলুন, একসঙ্গে যাই।

-তা, চলুন।

লাইব্রেরিতে দুজন একই টেবিলে মুখোমুখি বসল। সাগরিকা বলল,

-কী বলবেন আমাকে?

-না, মানে। আপনার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করল। তাই।

-কথা বলার লোকের তো অভাব নেই।

-না, আপনাকে আমার ভালো লেগেছে তাই। আমার নাম সবুর।

-ও, আচ্ছা।

সাগরিকা আর কোনো কথা বলল না। নোট করায় মন দিল। সবুরও নোট করল। সাগরিকা বলল,

আজ চলি।

-এখনই যাবেন? চলুন ক্যান্টিনে যাই। এক কাপ কফি খেতে খেতে আলাপ করা যাবে।

সাগরিকা বলল, হ্যাঁ, চলুন।

ক্যান্টিনে সবুর জিজ্ঞাসা করল।

-আপনার কে কে আছেন?

-আমার মা আছেন। বাবা নেই, ভাইবোন নেই। মা স্কুল টিচার।

-কোথায় থাকেন?

-কলাবাগানে একটা ভাড়া বাসায়।

সবুর বলল,

- আমার কথা তো কিছু জিজ্ঞেস করলেন না।

সাগরিকা বলল,

-এত তাড়া কীসের? একদিন সবই জেনে যাব হয়তো।

সবুর বলল,

-আমি সেগুনবাগিচায় থাকি। বাবা আর ছোটবোন থাকে। মা নেই। ছোটবোন এইচএসসি পড়ে। বাবা রিটায়ার করেছেন। লেখাপড়ার সুবিধার কথা ভেবে আমি হোস্টেলেই থাকি।

-ও, আচ্ছা। ভালোই তো। আজ উঠি। লাজুক চোখে সাগরিকা সবুরের দিকে তাকাল। সবুরের চোখে বিস্ময়। সামনা সামনি এমন করে কখনো কেউ তাকায়নি। একটু পরে বলল, আচ্ছা চলুন, ওঠা যাক।

সাগরিকা বাসায় ফিরে সোজাসুজি নিজের ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল। ভাবল, কাকে সে পছন্দ করবে। সবুর নাকি সাজ্জাদ? সাগরিকার মাথা ধরে গেল। উঠে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে আবার শুয়ে পড়ল। দশ-বিশ মিনিট পর মা চা-নাশতা নিয়ে ঘরে ঢুকলেন।

চা-নাশতার পর সাগরিকা পড়ার টেবিলে বসল। কিন্তু পড়তে বসে বারবার অন্যমনস্ক হতে থাকল। সবুরের চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পাশাপাশি সাজ্জাদের চেহারাও। সাগরিকা ভেবে অস্থির হয়ে গেল। মনে মনে বলল, সবুর তুমি আমার সামনে আর এসো না। সাজ্জাদকে আমি স্কুল থেকেই ভালোবাসি। আমার কৈশোর-যৌবনের সাথী। আমি সাজ্জাদকেই ভালোবাসি।

সকালে মায়ের সঙ্গে নাশতা খেল। মা জিজ্ঞাসা করলেন,

-কীরে রাতে খাবার খাসনি কেন?

-এমনি, মা। খেতে ইচ্ছে করছিল না।

-কেন রে। হঠাৎ শরীর খারাপ করেনি তো? জ্বর আসেনি তো? সাগরিকা। মার প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে বলল-

-ও সব কিছুই না। তোমাকে এত চিন্তা করতে হবে না। আমি ঠিক আছি, মা।

মা স্কুলে চলে গেলেন। সাগরিকাও কলেজে গেল। কলেজ গেটে ঢুকতে ঢুকতে সাগরিকা এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখছিল। ভাবছিল, সবুরের সঙ্গে আবার দেখা হয়ে না যায়! কিন্তু সাগরিকা যা ভাবল, তাই। সবুর আগে থেকেই গেটের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সাগরিকাকে ডাক দিল।

-সাগরিকা দাঁড়াও। একসঙ্গে যাই। সাগরিকা মুচকি হাসল। আচমকা তুমি সম্বোধনে শিহরিত হলো।

বলল,

-আমি একাই যেতে পারব।

-সঙ্গে গেলে দোষ কী?

-না, তেমন কিছু নয়। তবে চলুন।

-চলুন নয়। চলো।

সবুর আর সাগরিকা লজ্জিত হাসি মুখে নিঃশব্দে ক্লাসে ঢুকল। দুজন পাশাপাশি বসল। দিন যায়। মাস যায়। বছর ঘুরে এলো। সবুরের সঙ্গে ক্লাস করে। সাগরিকার মনে নতুন দোলা লাগল। বসন্তের ফুলের দোলা। আজকাল সাজ্জাদও বেশি খোঁজ নেয় না। লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

একদিন ফোন করল।

সাগরিকা বলল,

-হ্যালো, সাজ্জাদ। কী ব্যাপার খোঁজখবর নেই যে তোমার।

-আমার খোঁজখবর আছে। তুমিই নিখোঁজ হয়ে গেছ। একটা ফোনও করো না। সব খবরই রাখি সাগরিকা। আমার পাখি খাঁচা ভেঙে উড়ে গেছে...। আমি এখন একা থাকতেই ভালোবাসি। হয়তো সারা জীবনই নিঃসঙ্গ থাকতে হবে। সাগরিকার বুকটা শুকিয়ে গেল। মনে একটু জোর এনে বলল, না, সাজ্জাদ ভুলব কেন? আসলে লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তা, কেমন আছ?

-ওই যে বললাম, একাই থাকতে হবে।

-কী যে বলো না, তার ঠিক নেই।

-চলো একদিন কোথাও বেড়াতে যাই। কালই আসো। আমাদের স্মৃতি জাদুঘর রমনায়।

-সাজ্জাদ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল- দেখি।

সাগরিকার বুকটা ধড়ফড় করতে লাগল। এক জীবনে দুই পাশে দুজন। হিসাব মিলাতে পারছে না। সে এখন কী করবে। দুজনের মন রক্ষা করবে কেমন করে?

দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়েই সাগরিকা আসল রমনা পার্কে। সাজ্জাদও আসল। সাগরিকা নীল শাড়ি পরেছে। হাতভরে নীল রেশমি চুড়ি। খোঁপার পাশে নীল রঙের ফুল। কত দিন এই রূপটা সাজ্জাদ দেখেনি। আমার সাগরিকা, আমি আর ভাবতে পারছি না। মরে গেলেও এ রূপ ভুলে থাকা যাবে না। দুজন পাশাপাশি বসল। কিন্তু দুজনই চুপচাপ অনেকক্ষণ। এক সময় সাজ্জাদ আর চুপ থাকতে পারল না। বলল, সাগরিকা কিছু বলছ না যে! একদিন তুমি বলেছিলে, চলো, আমরা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। সেদিন এ কথার গুরুত্ব দিইনি। আজ আমি বলছি, চলো সাগরিকা, আমরা আজই বিয়ে করি। সাজ্জাদের কথা শুনে সাগরিকা চমকে উঠল। বলল, না, এখন কী করে তা সম্ভব? লেখাপড়ার অনেক চাপ। অন্য কথা বলো।

-অন্য কী কথা সাগরিকা। তুমি অনেক বদলে গেছ। আমার সাগরিকাকে চিনতে পারছি না। সাজ্জাদ কিছুক্ষণ পর বলল, সাগরিকা, তোমার খোঁপার পাশে একটি ফুল গুঁজে দিই। সাগরিকা শুকনো গলায় বলল,

-দাও।

-না থাক। যদি কোনো দিন আমার সাগরিকা হয়ে আসো, তবেই সব হবে। আমার জীবনটা ভরে যাবে। আজ থাক, চলো যাই। সাগরিকা কিছু না বলে বাধ্য মেয়ের মতো উঠে দাঁড়াল। কিন্তু সাজ্জাদের হাত ধরল না। কেমন যেন সব এলোমেলো লাগছে। সাজ্জাদ বলল, চলো। তোমাকে পৌঁছে দিই। সাগরিকা ছোট্ট করে বলল, চলো। এরপর অনেক দিনরাত, জোয়ার-ভাটায় পাঁচ বছর কেটে গেল। ইন্টার্নশিপও শেষ হলো। সবুর একদিন সাগরিকাকে বলল, চলো, আমরা বিয়ে করে ফেলি।

সবুরের কথা শুনে সাগরিকা চমকে ওর মুখের দিকে তাকাল। সাগরিকা ভাবল এমন করে এ কথাটা একদিন সাগরিকা সাজ্জাদকে বলেছিল। একদিন সাগরিকাকে বলেছিল সাজ্জাদও। একটু চুপ থাকার পর সাগরিকা বলল, না, এখন নয়, পরে হবেক্ষণ। শুধু ডাক্তারি পাস করলেই হলো। এফসিপিএস করব। তারপর ডক্টরেট করতে যাব লন্ডনে। তোমার ইচ্ছে করে না?

সবুর উদাস চোখে সাগরিকার দিকে তাকাল। সাগরিকাও সবুরের দিকে। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর সাগরিকা হেসে ফেলল, সবুরও। বলল,

-ঠিক আছে। তুমি যা বলবে, যেদিন বলবে তাই হবে।

সাগরিকা বলল, তুমি তোমার বাবাকে নিয়ে একদিন আমাদের বাসায় এসো। মায়ের সঙ্গে পরিচয় হবে।

-হুঁ, ঠিকই বলেছ। একদিন বাবাকে নিয়ে তোমাদের বাসায় যাব।

সাজ্জাদও ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিদেশ গিয়ে এমএস করার চিন্তা করল।

এদিকে সাগরিকার সঙ্গে অনেক দিন দেখা হয় না, কথা হয় না। হঠাৎ সাগরিকাকে ফোন করল সাজ্জাদ। সাগরিকা ফোনে চোখ রাখল।

-হ্যালো, সাজ্জাদ কেমন আছ?

-তুমি বুঝতে পার না?

সাগরিকা চুপ করে রইল। সহসা কোনো কথা বলতে পারল না।

-সব খবর রাখি, সাগরিকা। এখন সাজ্জাদ নয়, সবুর তোমার হৃদয়জুড়ে। তাই না?

-না তা কেন? এত দিন পড়াশোনার চাপে সেভাবে ফোন করা হয়ে ওঠেনি।

-বেশ, তুমি তোমার লেখাপড়া নিয়ে থাক, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে না। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে আমাকে। বলতে বলতে সাজ্জাদের কণ্ঠ বুজে এলো। ওপাশ থেকে চোখে জল নিয়ে সাগরিকাও বলল, আচ্ছা রাখি সাজ্জাদ। অন্যদিন কথা হবে।

লাইনটা কেটে গেল। সাগরিকার আত্মাটা ধক করে উঠল। সাজ্জাদের সঙ্গে সে প্রতারণা করেছে। কিন্তু সবুর। সবুরকে তো সাগরিকা মনের আড়াল করতে পারবে না। ছয়-সাতটা বছর সবুর সঙ্গ দিয়েছে। একসঙ্গে ক্লাস করা, লাইব্রেরি, বেড়াতে যাওয়া সব কিছুই তাকে যেন ঘিরে রয়েছে। সাগরিকা যেন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গেল। সাগরিকা শেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। সবুরকেই বিয়ে করবে। সে আরও ভেবে দেখল, জীবনে সব কিছু পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যাবে না। অনেক কিছু পাওয়ার বাকি থেকে যায়। অনেক বাধা বিপদ পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।

আরও কিছুদিন পরের কথা। সবুর ও সাগরিকা এফসিপিএস করে ফিরেছে। একদিন শুভক্ষণে ধুমধাম করে ওদের বিয়েটাও হয়ে গেল। দুটি প্রাণ, দুটি মন এক হয়ে গেল।

সাজ্জাদের বন্ধু রাশেদ সাগরিকার সব খবরাখবর দেয় সাজ্জাদকে। জানতে পারল সবুরের সঙ্গে সাগরিকার বিয়ের খবর। মুহূর্তে হৃদয়টা শূন্য হয়ে গেল। সে অনুভব করল ভালোবাসার প্রজাপতিটা কোথায় যেন উড়ে গেল।

এদিকে সাগরিকা ও সবুরের লন্ডনে যাওয়ার দিন ঘনিয়ে এলো। সাজ্জাদ রাশেদের কাছে খবর পেল দুই দিন পর সাগরিকা লন্ডন চলে যাবে। দুপুর ৩টায় ওদের ফ্লাইট। সাজ্জাদ পাগলের মতো হয়ে গেল। রাশেদকে রাজি করিয়ে দুজন বিমানবন্দরে গেল। ওরা একটু আড়াল নিয়ে বিমানবন্দরের গেটে অপেক্ষা করতে লাগল। দেখল কিছুক্ষণ পর একটা সাদা গাড়ি থেকে সাগরিকা আর সবুর নামল। সঙ্গে সবুরের বাবা ও সাগরিকার মা। আড়াল থেকে সাজ্জাদ দুচোখ ভরে সাগরিকাকে দেখতে লাগল। সাগরিকার পরনে লাল শাড়ি, খোঁপার পাশে সাদা গোলাপ। হাতে সাদা রেশমি চুড়ি। টানা টানা চোখে কাজল। সব মিলিয়ে এক সমুদ্র সুন্দরী সাগরিকা। একটু পরই ওরা বিমানবন্দরের প্রবেশপত্র অতিক্রম করল। সবুর আর সাগরিকা তাদের মা-বাবাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাল। সাগরিকা ও সবুর চোখের আড়াল হয়ে গেল। মুহূর্তে সাজ্জাদের মনটাও শূন্য হয়ে গেল। এই শূন্যতার ভার বইতে পারল না তার দুর্বল হৃৎপিণ্ড। জ্ঞান হারিয়ে শেকড় উপড়ানো গাছের মতো লুটিয়ে পড়ল। মাথা ফেটে রক্তে ভেসে গেল দুধশাদা টাইলসের মেঝে। সাগরিকাকে বহন করা উড়োজাহাজের সঙ্গে উড়ে গেল সাজ্জাদের প্রাণ পাখিটাও। ওর সেই মূর্ছা আর ভাঙল না...

এই বিভাগের আরও খবর
সাহিত্য বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
মৃত্যুর নামতা
মৃত্যুর নামতা
বাংলাচাষী
বাংলাচাষী
মুগ্ধতার মৃদু সুরস্মৃতি
মুগ্ধতার মৃদু সুরস্মৃতি
মল্লার
মল্লার
অনন্য শামসুর রাহমান
অনন্য শামসুর রাহমান
সাহিত্য বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সবুজ খামের কবিতা
সবুজ খামের কবিতা
সম্ভাবনা
সম্ভাবনা
মিল অমিল
মিল অমিল
অপেক্ষা
অপেক্ষা
এই বর্ষায়
এই বর্ষায়
সর্বশেষ খবর
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, ঢাকা বেকারিকে জরিমানা
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, ঢাকা বেকারিকে জরিমানা

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ আগস্ট)

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের ‘অনুরোধে’ মেক্সিকো সীমান্তপ্রাচীরে কালো রং করা হবে
ট্রাম্পের ‘অনুরোধে’ মেক্সিকো সীমান্তপ্রাচীরে কালো রং করা হবে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছেন জেসি
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছেন জেসি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
কক্সবাজারে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইনি জটিলতায় ওয়াসিম আকরাম
আইনি জটিলতায় ওয়াসিম আকরাম

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা প্রতিহত করবে’
‘নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা প্রতিহত করবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ৩ আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ৩ আসামি গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টানা ৫ দিন অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
টানা ৫ দিন অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়বে পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়বে পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি; অপসারণ বিল নিয়ে রাহুলের ক্ষোভ
আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি; অপসারণ বিল নিয়ে রাহুলের ক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে ১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় নিখোঁজ শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
বগুড়ায় নিখোঁজ শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীর দুই উপজেলায় ডাকাতি
নোয়াখালীর দুই উপজেলায় ডাকাতি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংকট কাটাতে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ দিচ্ছে ইডিসিএল
সংকট কাটাতে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ দিচ্ছে ইডিসিএল

৪ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুমিল্লায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক সেমিনার
কুমিল্লায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক সেমিনার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জরিমানা
পিরোজপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জরিমানা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাগলকে কুপিয়ে হত্যা, যুবক কারাগারে
বগুড়ায় পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাগলকে কুপিয়ে হত্যা, যুবক কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নবনিযুক্ত উপপরিচালকের পদায়ন স্থগিতের দাবি
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নবনিযুক্ত উপপরিচালকের পদায়ন স্থগিতের দাবি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাদাপাথর লুটপাটে ১৩৭ জন জড়িত: তদন্ত প্রতিবেদন
সাদাপাথর লুটপাটে ১৩৭ জন জড়িত: তদন্ত প্রতিবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

পাকিস্তানের হুমকির পর দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত
পাকিস্তানের হুমকির পর দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউরোসায়েন্সেসে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না
নিউরোসায়েন্সেসে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা সিটি দখলে আরও ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করবে ইসরায়েল
গাজা সিটি দখলে আরও ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করবে ইসরায়েল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি
‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আহত-নিহত পরিবারের পাশে তারেক রহমান
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আহত-নিহত পরিবারের পাশে তারেক রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষ এখন পছন্দ মতো সরকার গঠন করতে চায় : টুকু
মানুষ এখন পছন্দ মতো সরকার গঠন করতে চায় : টুকু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪
বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্নীতির অভিযোগে চিতলমারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস
দুর্নীতির অভিযোগে চিতলমারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল
জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল : ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম-এজিএস মায়েদ
ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল : ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম-এজিএস মায়েদ

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২০৩৩ সালের মধ্যে ভোলা ও চাঁদপুরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সেতু
২০৩৩ সালের মধ্যে ভোলা ও চাঁদপুরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সেতু

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জনশুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে চড়, যুবক আটক
জনশুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে চড়, যুবক আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল
নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭
নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের ভাবনা
ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের ভাবনা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান
ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির
ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা
আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা

১৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দিল্লিতে প্রতি সপ্তাহে উচ্চপদস্থ ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন কামাল, দাবি রিপোর্টে
দিল্লিতে প্রতি সপ্তাহে উচ্চপদস্থ ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন কামাল, দাবি রিপোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হুমকির পর দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত
পাকিস্তানের হুমকির পর দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেফতার
হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু
তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ
৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল–অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের উত্তেজনা, মুখোমুখি নেতানিয়াহু–আলবানিজ
ইসরায়েল–অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের উত্তেজনা, মুখোমুখি নেতানিয়াহু–আলবানিজ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ
আজ রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তর কোরিয়ায় অস্ত্র পাঠানোয় চীনা নাগরিককে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিল যুক্তরাষ্ট্র
উত্তর কোরিয়ায় অস্ত্র পাঠানোয় চীনা নাগরিককে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প–ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকেও ইউক্রেনের সমাধান মিলল না
ট্রাম্প–ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকেও ইউক্রেনের সমাধান মিলল না

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জান্নাতে যেসব জিনিস থাকবে না
জান্নাতে যেসব জিনিস থাকবে না

১৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত, ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত, ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরের তালা ভেঙে ফুটবলার সাগরিকার সোয়া দুই লাখ টাকা ‘চুরি’
ঘরের তালা ভেঙে ফুটবলার সাগরিকার সোয়া দুই লাখ টাকা ‘চুরি’

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রীর গোপন ছবি তুলে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ছাত্রীর গোপন ছবি তুলে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের নতুন মিসাইল মোতায়েন, আগ্রাসন হলেই তাৎক্ষণিক আক্রমণ
ইরানের নতুন মিসাইল মোতায়েন, আগ্রাসন হলেই তাৎক্ষণিক আক্রমণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গভীর খাদে ব্যাংক খাত
গভীর খাদে ব্যাংক খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসুতে হবে কঠিন লড়াই মনোনয়নপত্র জমা শেষ
ডাকসুতে হবে কঠিন লড়াই মনোনয়নপত্র জমা শেষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সবকিছু সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে
সবকিছু সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আশুগঞ্জ আতঙ্ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে
আশুগঞ্জ আতঙ্ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে

পেছনের পৃষ্ঠা

ওপরে সিঙ্গাপুর নিচে আব্দুল্লাহপুর
ওপরে সিঙ্গাপুর নিচে আব্দুল্লাহপুর

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিএনপির চার, এনসিপি ও জামায়াতের একজন করে
বিএনপির চার, এনসিপি ও জামায়াতের একজন করে

নগর জীবন

নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাম্পের টার্গেট ত্রিপক্ষীয় বৈঠক
ট্রাম্পের টার্গেট ত্রিপক্ষীয় বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া লুটেরা
বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

চার দশক পর প্রাণ পেল বড়াল নদ
চার দশক পর প্রাণ পেল বড়াল নদ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে চারজন
বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে চারজন

নগর জীবন

দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টি হাতির মৃত্যু
দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টি হাতির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

দীর্ঘ হচ্ছে টিসিবির ট্রাকে ক্রেতার লাইন
দীর্ঘ হচ্ছে টিসিবির ট্রাকে ক্রেতার লাইন

পেছনের পৃষ্ঠা

উখিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জে ১৫ শিক্ষক আহত, আটক ২৮
উখিয়ায় পুলিশের লাঠিচার্জে ১৫ শিক্ষক আহত, আটক ২৮

খবর

তাক লাগানো জুজুবি বাগান
তাক লাগানো জুজুবি বাগান

পেছনের পৃষ্ঠা

তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু
তিস্তার বুকে চালু স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এক মাসের বেশি জেলে থাকলে বরখাস্ত
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এক মাসের বেশি জেলে থাকলে বরখাস্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা
ইসরায়েল-ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা

পূর্ব-পশ্চিম

স্মৃতিকাতর হাবিব...
স্মৃতিকাতর হাবিব...

শোবিজ

ছাত্র হত্যার আসামি এখন ইউএনও
ছাত্র হত্যার আসামি এখন ইউএনও

পেছনের পৃষ্ঠা

গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করতে চাপ দেয় ডিবি
গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করতে চাপ দেয় ডিবি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

চিকিৎসকের চেম্বারে অপেক্ষারত মায়ের কোলেই নবজাতকের মৃত্যু
চিকিৎসকের চেম্বারে অপেক্ষারত মায়ের কোলেই নবজাতকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি শোরুমে চালক নিহত
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি শোরুমে চালক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হলে মিলবে না গ্রিনকার্ড
যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হলে মিলবে না গ্রিনকার্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ এখন পছন্দমতো সরকার গঠন করতে চায়
মানুষ এখন পছন্দমতো সরকার গঠন করতে চায়

নগর জীবন

এনসিপির ১৫ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ
এনসিপির ১৫ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ নিয়ে পর্যবেক্ষণ আছে
জুলাই সনদ নিয়ে পর্যবেক্ষণ আছে

নগর জীবন