শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

চিকিৎসায় ‘এইচআইভি’ মুক্ত দ্বিতীয় রোগী

চিকিৎসায় ‘এইচআইভি’ মুক্ত দ্বিতীয় রোগী

যুক্তরাজ্যের এক এইচআইভি (এইডস) আক্রান্ত রোগীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর তার শরীর থেকে পুরোপুরি এইচআইভি ভাইরাস দূর করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এমন দাবি করেছেন। ওই রোগীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে আসে ওই ব্যক্তিকে অভিহিত করা হয় ‘লন্ডন রোগী’ হিসেবে। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তিনি একজন পুরুষ যিনি ২০০৩ সালে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১২ সালে তার ক্যান্সারও ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে গত ১৮ মাস ধরে এইচআইভির চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এখন তিনি আর এইচআইভি সংক্রান্ত ওষুধ নিচ্ছেন না। ক্যান্সারের চিকিৎসায় তার কেমোথেরাপি চলছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেননি। নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। একপর্যায়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ক্যান্সার ও এইডসের নিরাময়ের আশায় এক সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে অস্থিমজ্জা নিয়ে তা ওই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করে। এতেই সফলতা পাওয়া যায়। বিরল এই ঘটনার পর গবেষকরা জানিয়েছেন, রোগী এইডস থেকে শতভাগ মুক্তি পেয়েছেন এমনটি বলার সময় এখনো আসেনি। এইডসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এটি আগামীতে ওষুধ আবিষ্কারের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর আগে ১০ বছর আগে জার্মানির বার্লিনে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অপর এক রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি দূর করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু প্রথম রোগী চিকিৎসার চেয়ে এবারের চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ ও দুঃসাহসী ছিল। এইচআইভি ভাইরাস তাড়াতে দুটি প্রতিস্থাপন করতে হয় এবং ক্যান্সার থাকায় পুরো শরীরে রেডিওথেরাপিও দেওয়া হয়। একজন গবেষক বলেন, ‘একই পদ্ধতি ব্যবহার করে যেহেতু পরপর দুজন রোগীর ক্ষেত্রে সাফল্য মিলেছে। তাহলে একে আমরা চিকিৎসা পদ্ধতি আকারে ধরে নিতে পারি।’

সর্বশেষ খবর