শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

অগণন গণমাধ্যম

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
অগণন গণমাধ্যম

প্রচারে কর্ম নয়, কর্মেই প্রচার-এটা আমরা জানি তবে অনেকেই মানি না। কারণ শুভ কাজেই, শুভ ফল। প্রচার সার কর্ম অসাধুর ধর্ম। এসব কাজে জাঁকজমক থাকে, অনেক চমক থাকে, ফুর্তির ঠমক থাকে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কথা বমনের গমক থাকে, আবার অনেকের ধমকও থাকে। তবে যারা খাঁটি মানুষ তারা প্রচার প্রসারের জন্য নয়, আন্তরিক দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন মানুষের জন্য। যারা স্বার্থ নয়, ক্ষমতা নয়, প্রচার কাঙাল হয়ে টিভি প্রদর্শনীতেও নয়, ফেসবুকের মাধ্যমে আত্মপ্রচারের ঢোল পিটিয়ে নয়, যোগসাজশের তথাকথিত ফ্যান দিয়ে প্রশংসার বাণী বানিয়ে নানান ধরনের সুপারিশের আয়োজন করে নয়, অর্থ-বিত্ত-প্রাচুর্যের জন্য নয়, লোক দেখানো প্রতারণার জন্য নয়, এমন কি ভোট প্রত্যাশী সাময়িক দরদি হয়েও নয়, সত্যিকারের মানুষ দরদি মানুষই হচ্ছেন খাঁটি মানুষ। যার সংখ্যা হাতেগোনা। চেহারা দেখে বোঝা যায় না কে সোজা, কে সরল। কে কঠিন, কে গরল। এক একজন মানুষ এক একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। কারও উদ্দেশ্য সৎ উপার্জিত আয়ে সংসার চালানো, ছেলেমেয়েকে মানুষ করা। কারও উদ্দেশ্য সংসারের পাশাপাশি গাড়ি-বাড়ি করা। কারও বা দেশ-বিদেশে বাড়ি আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করা, যার সীমা শত কোটি ছাড়িয়ে, হাজার কোটি পেরিয়ে, কয়েক হাজার কোটিতে। অসৎ উপায়ে অর্জিত, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত। আর যারা এসব করে, স্বভাবতই তারা দুর্নীতিবাজ।

সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রে রাজাকে বলতে শুনেছি, ‘যত বেশি জানে-তত কম মানে’ অর্থাৎ মানুষ জ্ঞানী হয়ে উঠলে অনেকেরই অসুবিধা। কারণ বেশি জেনে জনতা জেগে গেলে প্রভাবশালী অরাজকদের মুখোশ উন্মোচন করে ফেলতে পারে। তবুও জানার শেষ নেই, জানার কোনো বিকল্প নেই। আর এই জানানোর দায়িত্বটিই পালন করে মিডিয়া বা গণমাধ্যম। নেটের কারণে যা এখন নানানভাবে সম্প্রসারিত। বলা যায় অগণন গণমাধ্যম। অর্থ-বিত্ত-প্রতিপত্তির সুযোগ ও সম্পর্কের কারণে, ক্রমে ক্রমে-বিক্রমে-পরাক্রমে, নানান বাধা অতিক্রম করে দোর্দ- প্রতাপে যারা অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, অসৎ আয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তাদের কথা অনেক মিডিয়াই জানায় না। রাজনীতি, পরিচিতি, সমাজনীতি, সুস্থিতি, অস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এমনকি মানুষের ভয়-ভীতিও এখন ব্যবসার উপকরণ। এসবই মিডিয়ায় আসে রং মাখিয়ে নিজস্ব ঢংয়ে। যার ফলে ধরা পড়া আর না পড়াতে দুর্নীতির গতি ও নীতির দুর্গতি অতিশয় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সব ক্ষেত্রেই। এসব দুর্নীতির কটিই বা আমাদের মিডিয়াতে আসে? কেউ কেউ অগণন এই গণমাধ্যমকে গণভাবে গণব্যবহারের মাধ্যমে নিজ স্বার্থকে গণস্বার্থ বানিয়ে গণহারে আত্মপ্রচার চালিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে ভয়ংকর আত্মগীতি। তাতে অনেকে সুফলও পাচ্ছে। জুটছে নানান পুরস্কার। যা পরিষ্কার ভাবমূর্তির ‘পুরস্কার’ শব্দটিকে অপরিষ্কার করছে। আমি আগেও বলেছি পৃথিবীর বড় বড় মিডিয়াগুলোর মালিকদের আমরা না চিনলেও বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর মালিকদের সবাই চিনি। শুধু মালিকই নয়, এই গণমাধ্যমের কল্যাণে অনেকের আত্মীয়-পরিজনকেও চেনা যায়। রেডিও, টেলিভিশন ছাড়াও অনলাইনের কল্যাণে দেশে এখন প্রচুর প্রচারমাধ্যম। অনলাইনে এখন অনেক তাজা খবর জানা যায়- সুনীতির এবং দুর্নীতির। তখন সত্যবাদী এবং নিরপেক্ষতার দাবিদার অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার দিকে তাকালে কষ্ট হয়। কারণ অনেক খবর তারা জেনেও জানায় না। ভান করে না জানার। 

আগে অনেকেই বলতেন, পত্রিকার কলাম লেখক বা চ্যানেলের টকশোর টকারদের দেখলেই বোঝা যায় কে কী লিখবেন আর কে কী বলবেন। আবার টকশোগুলোতে উপস্থাপক আলোচনার জন্য যে বিষয়ই নির্ধারণ করুক, বক্তাকে দেখলেই বোঝা যায়, তিনি নির্ধারিত বিষয়ে কি বলবেন, কোনদিকে যাবেন। আর রাজনীতির আলাপ হলে তো কথাই নেই। যে যার পক্ষ নিয়ে ভাঙা রেকর্ড বাজাতেই থাকে। বলা বাহুল্য এরা সবাই নাকি সত্য বলে। তাদের এসব তথ্যে কি সত্য, আর কি অসত্য তা দর্শকরা বোঝেন। কারণ তারা সবকিছুরই সাক্ষী। সুতরাং এ নিয়ে বলে লাভ নেই। লেখার বেলায়ও ঠিক তাই। গণমাধ্যমে এসব লেখা ও বলার ক্ষেত্রেও চাটুকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র বদলাতে অভ্যস্ত। শুধু বক্তা বা লেখকের চরিত্রই নয়, এখন নাকি চ্যানেলের নাম শুনলেই বোঝা যায় কোন চ্যানেল কী বলবে। তাই দ্রুতগতিতে দর্শকরাও বিশ্বাস হারাচ্ছে। রিমোট টিপে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। চ্যানেলগুলোতে দর্শকদের প্রত্যাশিত প্রত্যাশার প্রাপ্তি কতটুকু তা আমরা খতিয়ে দেখি না। অর্থাৎ দর্শকরা কি চান আর কি পান সেটা বুঝি না। আর বোঝার চেষ্টাও করি না। ফলে নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাটে চলছে চ্যানেলের অনুষ্ঠানমালা। যা অনেক সময় শরীরে জ¦ালা ধরিয়ে দেয়। মানের প্রশ্ন তুললেও কিছু কিছু চ্যানেলে কোন মানদন্ডে মানহীন অনুষ্ঠান চলে তাও অনুমান করা কঠিন। কিছুদিন তো নানান নামের প্রতিযোগিতার প্রতিযোগিতা চলেছে চ্যানেলে চ্যানেলে। দেখে মনে হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভায় ভরপুর হয়ে যাবে পুরো মিডিয়া। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। এতগুলো চ্যানেলের সিরিজ প্রতিযোগিতায় দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া কাক্সিক্ষত মানের কোনো শিল্পী পাওয়া যায়নি। আলোচনা অনুষ্ঠানের কথা না হয় বাদই দিলাম। গান-বাজনার কথাই বা কী বলব। এক সময় নাচ-গান ছিল টেলিভিশনের প্রাণ। কিন্তু পরবর্তীতে গান যখন মধ্য রাতে চ্যানেলগুলোর প্রধান সংগীতানুষ্ঠান হয়ে উঠল, সরাসরির ছড়াছড়ি শুরু হয়ে গেল এবং ভোর রাত পর্যন্ত একই শিল্পী বা একই ব্যান্ড গান গাইতে শুরু করল- তখন থেকেই কমতে শুরু করল গানের মান ও গানের প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ। মধ্য রাতে কিছু শিল্পীর বেসুরো গান, এঁহ হয়ে দর্শকদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াল। ফলে গানের প্রতি যে মমত্ববোধ ও ভালোলাগা সেটাও কমতে শুরু করল। অনেকেরই ধারণা ছিল নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ের কাছে বোধহয় এসব গান খুবই জনপ্রিয়তা পাবে। চ্যানেল হিট হবে। কিন্তু তা কি হয়েছে? আসলে আজকালকার ছেলেমেয়েরা এখন হিন্দি গানও কম শোনে। এসব গান এখন গায়ে হলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থান করে নিয়েছে। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন শোনে বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান কে পপ এর গান। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ঘরানার মিউজিক। ব্যাংটান বয়েজ বা বিটিএস, এক্সো, বিগব্যাং, গার্লস জেনারেশন, সেভেনটিন, ওয়ানা ওয়ান ইত্যাদি হচ্ছে কে-পপের জনপ্রিয় ব্যান্ড। শুধু বাংলাদেশেই নয়, দুনিয়াজোড়া জনপ্রিয় এই কে-পপ। ভক্তরা শুধু তাদের গানই নয়, এই ব্যান্ড তারকাদের বিভিন্ন ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্রের শোপিস, শার্ট, টি-শার্ট, অ্যালবামসহ নানান জিনিস সংগ্রহ করে থাকে। আমাদের দেশে অবশ্য এখন মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত টানা গানের এসব লাইভ শো কিছুটা কমেছে। এখন শুরু হয়েছে ইউটিউবে ‘গান ভাইরাল প্রতিযোগিতা’। কিন্তু শুধু ভিউ বা ভাইরাল হলেই যে শিল্পী জনপ্রিয় হয় না, কিংবা তাদের গান বেশিদিন টেকে না তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আমরা অনেক ‘ভাইরাল’ গানেই পেয়েছি। বিষয়টি অনেকটা ঝড়ের মতো, ঘূর্ণি দিয়ে এলো আর গেল-থাকল না। টেবিল চাপড়ে গান গেয়েও অনেকে ভাইরাল হয়েছে। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানের এই অবস্থা দেখে এক শ্রেণির শিল্পী এখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে মিউজিক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ছাড়ছেন। প্রচুর ভিউ হচ্ছে। কিন্তু ইউটিউবে গান থাকলেও সব গান অন্তরে থাকছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাইরাল বা কোটি ভিউয়ের গান কেন দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে? কেন দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন করে নিতে পারছে না? এ ব্যাপারে খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তার ফেসবুকে বেশ আক্ষেপের সঙ্গে লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশের তথাকথিত ‘হিট’ গানগুলো নিয়ে একটা বিশ্লেষণমূলক বই লিখি। তাতে ভুল শব্দ, শব্দ ব্যবহারের ভুল, অর্থহীন শব্দ, বাক্যগঠনের ভুল, অসমাপ্ত বাক্য, ক্রিয়ার অপব্যবহার, ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড পারসনে সম্বোধনের গোঁজামিল, বিশেষ্য-বিশেষণের তালগোল পাকিয়ে ফেলা, ছন্দ ও অন্ত্যমিলের ধারণাহীনতা, উপমা-রূপকের ভুল প্রয়োগ, রুচিহীন শব্দ ব্যবহার এবং সম্পূর্ণটা মিলে অর্থহীনতা নিয়ে আলোচনা থাকবে।’ পরিশেষে তিনি লিখেছেন, ‘এত বিশাল পরিমাণ বাজে কিছু ঘাটা হয়তো আমার আয়ুষ্কালে কুলাবে না।’ এ থেকেই বোঝা যায়, গান-বাজনার অবস্থা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু সংগীতই নয়, নাটক-সিনেমার কথাই ধরি না কেন। বলতে গেলে দর্শকরা এখন টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা ছেড়েই দিয়েছেন। অধিকাংশই ইউটিউব নির্ভর। এর দুটো কারণ। এক, কর্মব্যস্ততার কারণে কোনো বেঁধে দেওয়া সময়ে অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকরা ইচ্ছুক নন। দুই, সময় থাকলেও অনেক নাটক সপরিবারে দেখার মতো নয়। কারণ নাটক থেকে এখন পারিবারিক পরিবেশ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোনো নাটকে কোনো সংলাপ বা কোনো দৃশ্য সন্তানের সামনে বাবা-মাকে কিংবা বাবা-মা’র সামনে সন্তানকে বিব্রত করবে কে জানে? তার প্রমাণ ইদানীং টিকটকে একটি চ্যানেলের চলমান ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের অভিনয় শিল্পীর মুখের একটি সংলাপ। যা শুধু অশ্রাব্যই নয় রীতিমতো অশ্লীল। ওই সংলাপটি কিভাবে ওই শিল্পী (!) উচ্চারণ করেছেন বা কারা করিয়েছেন তা কারওই বোধগম্য নয়। তাই রিমোট টিপে দর্শকদের এই অন্যত্র বিচরণ। ওয়েব সিরিজের অবস্থাও ছিল এমনই ভয়াবহ। যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরেও গেছে। সিনেমার অবস্থাও করুণ। সিনেমার সংখ্যা কমতে কমতে এমন পর্যায়ে এসেছে যে, কেউ ১০০ বা ২০০ সিনেমা বানাবার ঘোষণা দিলেও দর্শকদের তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না। তবে অনেকের জন্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে এখন সিনেমায় অভিনয় করতে পারলেই পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ ভাগ। কারণ এখন যে হারে সিনেমা কমতে শুরু করছে তাতে ভবিষ্যতে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পুরস্কার দেওয়ার শিল্পী খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তা ছাড়া এখন অধিকাংশ সিনেমাই দর্শকদের জন্য নয়, বানানো হয় পুরস্কারের জন্য। কে দেখল, কে দেখল না তাতে কিছু যায় আসে না। তবে পুরস্কারের দুয়ার খোলা। সিনেমার বাজেটও থাকে সেরকম। চ্যানেলে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হলেই হলো। তবে ছবি সম্পর্কে প্রচলিত অভিযোগটি এখনো রয়েছে, হলে গিয়ে সপরিবারে ছবি দেখা যায় না। আর ‘হল সংকট’ তো রয়েছেই। রয়েছে অর্থ সংকটও। এর উপর ইদানীং চেপে বসেছে করোনা দুর্যোগ। তাই সব মিলিয়ে বিনোদন জগতের বেহাল অবস্থা। এরপর আবার গত একটি বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক গুণী শিল্পীকে। যাদের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। তাই বিনোদন জগতে শিল্পী শূন্যতা বাড়ছেই।

আমরা একটি কথা জানি হুজুগে বাঙালি। ইদানীং আবার কিছু কিছু মিডিয়া হুজুগে চলে। তাদের বলা হয় হুজুগে মিডিয়া। নতুন কোনো খবর পেলে এক একটি মিডিয়া সেটাকে একেকভাবে দেখায় এবং ছাপায়। ইন্টারনেট আসার কারণে অনলাইনে এখন লেখার সঙ্গে দেখাও যায়। এসব ভিডিও যারা ধারণ করেন অনেক ক্ষেত্রে তারা পেশাদার নয়। তাই বুঝতে পারেন না কোন দৃশ্য প্রচার যোগ্য কিংবা কোনটি অযোগ্য। তাই তাদের মাধ্যমে যখন কারও চিত্রধারণ করা হয় এবং অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তিনি বিব্রত হন। কণ্ঠশিল্পী আকবরের কথাই ধরা যাক। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের সংবাদ প্রচার করেছেন, অডিও-ভিডিও এবং লেখায়। কিছু কিছু ভিডিও বেশ দৃষ্টিকটু ছিল। যেখানে শিল্পী আকবরের খালি গায়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। যদিও এদের কাউকে আকবরকে চিকিৎসা বা আর্থিকভাবে সহায়তা দিতে শোনা যায়নি।

এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রসঙ্গ। যাকে অসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বললে অত্যুক্তি হবে না। বিবিসি করোনা মহামারীর সময়ে কয়েকশ ভুয়া তথ্য নিয়ে তদন্ত করে বলেছে, ‘যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় তার মধ্যে তারকা বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রভাব বেশি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি শক্তি আছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেক তথ্যের সাহায্যে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। এমন বহু খবর আমরা দেখেছিও। ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যম আপনাকে দ্রুত তারকা বানাতে পারে। এই মাধ্যম যেমন আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ করেছে, তেমনি অনেকের কান্নারও কারণ হয়েছে। গুণীজনদের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে মৃত্যু সংবাদ প্রচার করে ভাইরাল হতে চেষ্টা করেছে। এটাকে ‘ভাইরাল’ না বলে ‘ভাইরাল প্রতারণা’ বলাই শ্রেয়। অতিসম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন গুণী মানুষ শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী, এন্ড্রু কিশোর, আবদুল কাদের, সর্বশেষ এ টি এম শামসুজ্জামান এমনি আরও অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর অসুস্থতার সময় কিছু মানুষ নামের অমানুষ তাদের জীবিত অবস্থাতেই ফেসবুকে মৃত্যু সংবাদের গুজব রটিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করেছেন। আর এই মানুষগুলোর পরিবার ও স্বজনরা দেশ-বিদেশে অঝোরে কেঁদেছেন। এসব মিথ্যা তথ্য বা খবর মানুষকে যেমন কষ্ট দেয়, তেমনি মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য, গুজব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যে কোনো পোস্ট বা খবরে লাইক, শেয়ার, কমেন্টের চাহিদা থাকতেই পারে কিন্তু অবশ্যই তা যেন ভুল বা ভুয়া তথ্যনির্ভর না হয়।

সবশেষে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে এই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি, রবিবার থেকে। মিডিয়ার প্রচার কল্যাণে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার দিনটাকে একটা উৎসবে পরিণত করা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ২/১ জন মন্ত্রীর ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয় এবং তা ভাইরালও হয়। কারণ তাদের টিকা গ্রহণের সময় কেন্দ্রে বহু মানুষের সমাগম ঘটেছিল, মানা হয়নি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন। এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। এই টিকা নিয়ে যেন কোনো রিউমার না হয়।’ তবে টিকা নিয়ে কোনো রিউমার না হলেও তার টিকা গ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে বেশ হিউমার হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব না মানায়- প্রশ্ন জেগেছে টিকা দিতে গিয়ে আমরা কি স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করছি না? সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই টিকা দান কর্মসূচিতে প্রায় সব চ্যানেলের গণমাধ্যম কর্মীও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কার আগে কে এই মহামূল্যবান দৃশ্য ধারণ করতে পারে! ধারণ করা ঐসব দৃশ্য দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এ কি করোনা থেকে নিস্তার নাকি করোনা বিস্তার অনুষ্ঠান? এই ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিকে অনেকে করোনা শোডাউন হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

অথচ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টিকা গ্রহণও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দু’জনের চিত্র দেখা গেছে- বাইডেন এবং টিকা প্রদানকারী নার্স। একজন টিকা নিচ্ছেন, একজন দিচ্ছেন। এই একই ছবি সব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জো বাইডেনের মতো আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রাও টিকাদান কার্যক্রম এভাবে এক ক্যামেরায় ধারণ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠাতে পারতেন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সেই দায়িত্বটি দেওয়া যেত। মিডিয়ার পক্ষ থেকেও এই অনুরোধটি করা যেত তাতে এখানে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরাও নিরাপদ বোধ করতেন। আর এটা করা হয়নি বলেই একটি শুভ উদ্যোগের শুরুতেই এই অশুভ আলোচনা।

আসলে আমাদের দেশে আগে সীমিতসংখ্যক পত্রিকা এবং রেডিও-টেলিভিশন ছিল। এখন অগণন গণমাধ্যম। ইন্টারনেটের কারণে এখন হাতে হাতে মোবাইল। আর মোবাইল মানেই প্রতি হাতে একটি করে চ্যানেল রয়েছে। সুতরাং যে যার মতো বলে যাচ্ছেন। যেখানে তথ্যের সত্য অসত্য নির্ধারণের কোনো উপায় নেই। তাই এসব ব্যাপারে প্রয়োজন আরও বেশি দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা-অনলাইনে, অফলাইনে-সব লাইনে।

 লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ মিনিট আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

৩ মিনিট আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

৩৪ মিনিট আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

৪৪ মিনিট আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত
রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা
উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ
মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন
নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা