শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

অগণন গণমাধ্যম

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
অগণন গণমাধ্যম

প্রচারে কর্ম নয়, কর্মেই প্রচার-এটা আমরা জানি তবে অনেকেই মানি না। কারণ শুভ কাজেই, শুভ ফল। প্রচার সার কর্ম অসাধুর ধর্ম। এসব কাজে জাঁকজমক থাকে, অনেক চমক থাকে, ফুর্তির ঠমক থাকে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কথা বমনের গমক থাকে, আবার অনেকের ধমকও থাকে। তবে যারা খাঁটি মানুষ তারা প্রচার প্রসারের জন্য নয়, আন্তরিক দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন মানুষের জন্য। যারা স্বার্থ নয়, ক্ষমতা নয়, প্রচার কাঙাল হয়ে টিভি প্রদর্শনীতেও নয়, ফেসবুকের মাধ্যমে আত্মপ্রচারের ঢোল পিটিয়ে নয়, যোগসাজশের তথাকথিত ফ্যান দিয়ে প্রশংসার বাণী বানিয়ে নানান ধরনের সুপারিশের আয়োজন করে নয়, অর্থ-বিত্ত-প্রাচুর্যের জন্য নয়, লোক দেখানো প্রতারণার জন্য নয়, এমন কি ভোট প্রত্যাশী সাময়িক দরদি হয়েও নয়, সত্যিকারের মানুষ দরদি মানুষই হচ্ছেন খাঁটি মানুষ। যার সংখ্যা হাতেগোনা। চেহারা দেখে বোঝা যায় না কে সোজা, কে সরল। কে কঠিন, কে গরল। এক একজন মানুষ এক একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। কারও উদ্দেশ্য সৎ উপার্জিত আয়ে সংসার চালানো, ছেলেমেয়েকে মানুষ করা। কারও উদ্দেশ্য সংসারের পাশাপাশি গাড়ি-বাড়ি করা। কারও বা দেশ-বিদেশে বাড়ি আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করা, যার সীমা শত কোটি ছাড়িয়ে, হাজার কোটি পেরিয়ে, কয়েক হাজার কোটিতে। অসৎ উপায়ে অর্জিত, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত। আর যারা এসব করে, স্বভাবতই তারা দুর্নীতিবাজ।

সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রে রাজাকে বলতে শুনেছি, ‘যত বেশি জানে-তত কম মানে’ অর্থাৎ মানুষ জ্ঞানী হয়ে উঠলে অনেকেরই অসুবিধা। কারণ বেশি জেনে জনতা জেগে গেলে প্রভাবশালী অরাজকদের মুখোশ উন্মোচন করে ফেলতে পারে। তবুও জানার শেষ নেই, জানার কোনো বিকল্প নেই। আর এই জানানোর দায়িত্বটিই পালন করে মিডিয়া বা গণমাধ্যম। নেটের কারণে যা এখন নানানভাবে সম্প্রসারিত। বলা যায় অগণন গণমাধ্যম। অর্থ-বিত্ত-প্রতিপত্তির সুযোগ ও সম্পর্কের কারণে, ক্রমে ক্রমে-বিক্রমে-পরাক্রমে, নানান বাধা অতিক্রম করে দোর্দ- প্রতাপে যারা অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, অসৎ আয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তাদের কথা অনেক মিডিয়াই জানায় না। রাজনীতি, পরিচিতি, সমাজনীতি, সুস্থিতি, অস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এমনকি মানুষের ভয়-ভীতিও এখন ব্যবসার উপকরণ। এসবই মিডিয়ায় আসে রং মাখিয়ে নিজস্ব ঢংয়ে। যার ফলে ধরা পড়া আর না পড়াতে দুর্নীতির গতি ও নীতির দুর্গতি অতিশয় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সব ক্ষেত্রেই। এসব দুর্নীতির কটিই বা আমাদের মিডিয়াতে আসে? কেউ কেউ অগণন এই গণমাধ্যমকে গণভাবে গণব্যবহারের মাধ্যমে নিজ স্বার্থকে গণস্বার্থ বানিয়ে গণহারে আত্মপ্রচার চালিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে ভয়ংকর আত্মগীতি। তাতে অনেকে সুফলও পাচ্ছে। জুটছে নানান পুরস্কার। যা পরিষ্কার ভাবমূর্তির ‘পুরস্কার’ শব্দটিকে অপরিষ্কার করছে। আমি আগেও বলেছি পৃথিবীর বড় বড় মিডিয়াগুলোর মালিকদের আমরা না চিনলেও বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর মালিকদের সবাই চিনি। শুধু মালিকই নয়, এই গণমাধ্যমের কল্যাণে অনেকের আত্মীয়-পরিজনকেও চেনা যায়। রেডিও, টেলিভিশন ছাড়াও অনলাইনের কল্যাণে দেশে এখন প্রচুর প্রচারমাধ্যম। অনলাইনে এখন অনেক তাজা খবর জানা যায়- সুনীতির এবং দুর্নীতির। তখন সত্যবাদী এবং নিরপেক্ষতার দাবিদার অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার দিকে তাকালে কষ্ট হয়। কারণ অনেক খবর তারা জেনেও জানায় না। ভান করে না জানার। 

আগে অনেকেই বলতেন, পত্রিকার কলাম লেখক বা চ্যানেলের টকশোর টকারদের দেখলেই বোঝা যায় কে কী লিখবেন আর কে কী বলবেন। আবার টকশোগুলোতে উপস্থাপক আলোচনার জন্য যে বিষয়ই নির্ধারণ করুক, বক্তাকে দেখলেই বোঝা যায়, তিনি নির্ধারিত বিষয়ে কি বলবেন, কোনদিকে যাবেন। আর রাজনীতির আলাপ হলে তো কথাই নেই। যে যার পক্ষ নিয়ে ভাঙা রেকর্ড বাজাতেই থাকে। বলা বাহুল্য এরা সবাই নাকি সত্য বলে। তাদের এসব তথ্যে কি সত্য, আর কি অসত্য তা দর্শকরা বোঝেন। কারণ তারা সবকিছুরই সাক্ষী। সুতরাং এ নিয়ে বলে লাভ নেই। লেখার বেলায়ও ঠিক তাই। গণমাধ্যমে এসব লেখা ও বলার ক্ষেত্রেও চাটুকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র বদলাতে অভ্যস্ত। শুধু বক্তা বা লেখকের চরিত্রই নয়, এখন নাকি চ্যানেলের নাম শুনলেই বোঝা যায় কোন চ্যানেল কী বলবে। তাই দ্রুতগতিতে দর্শকরাও বিশ্বাস হারাচ্ছে। রিমোট টিপে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। চ্যানেলগুলোতে দর্শকদের প্রত্যাশিত প্রত্যাশার প্রাপ্তি কতটুকু তা আমরা খতিয়ে দেখি না। অর্থাৎ দর্শকরা কি চান আর কি পান সেটা বুঝি না। আর বোঝার চেষ্টাও করি না। ফলে নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাটে চলছে চ্যানেলের অনুষ্ঠানমালা। যা অনেক সময় শরীরে জ¦ালা ধরিয়ে দেয়। মানের প্রশ্ন তুললেও কিছু কিছু চ্যানেলে কোন মানদন্ডে মানহীন অনুষ্ঠান চলে তাও অনুমান করা কঠিন। কিছুদিন তো নানান নামের প্রতিযোগিতার প্রতিযোগিতা চলেছে চ্যানেলে চ্যানেলে। দেখে মনে হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভায় ভরপুর হয়ে যাবে পুরো মিডিয়া। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। এতগুলো চ্যানেলের সিরিজ প্রতিযোগিতায় দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া কাক্সিক্ষত মানের কোনো শিল্পী পাওয়া যায়নি। আলোচনা অনুষ্ঠানের কথা না হয় বাদই দিলাম। গান-বাজনার কথাই বা কী বলব। এক সময় নাচ-গান ছিল টেলিভিশনের প্রাণ। কিন্তু পরবর্তীতে গান যখন মধ্য রাতে চ্যানেলগুলোর প্রধান সংগীতানুষ্ঠান হয়ে উঠল, সরাসরির ছড়াছড়ি শুরু হয়ে গেল এবং ভোর রাত পর্যন্ত একই শিল্পী বা একই ব্যান্ড গান গাইতে শুরু করল- তখন থেকেই কমতে শুরু করল গানের মান ও গানের প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ। মধ্য রাতে কিছু শিল্পীর বেসুরো গান, এঁহ হয়ে দর্শকদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াল। ফলে গানের প্রতি যে মমত্ববোধ ও ভালোলাগা সেটাও কমতে শুরু করল। অনেকেরই ধারণা ছিল নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ের কাছে বোধহয় এসব গান খুবই জনপ্রিয়তা পাবে। চ্যানেল হিট হবে। কিন্তু তা কি হয়েছে? আসলে আজকালকার ছেলেমেয়েরা এখন হিন্দি গানও কম শোনে। এসব গান এখন গায়ে হলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থান করে নিয়েছে। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন শোনে বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান কে পপ এর গান। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ঘরানার মিউজিক। ব্যাংটান বয়েজ বা বিটিএস, এক্সো, বিগব্যাং, গার্লস জেনারেশন, সেভেনটিন, ওয়ানা ওয়ান ইত্যাদি হচ্ছে কে-পপের জনপ্রিয় ব্যান্ড। শুধু বাংলাদেশেই নয়, দুনিয়াজোড়া জনপ্রিয় এই কে-পপ। ভক্তরা শুধু তাদের গানই নয়, এই ব্যান্ড তারকাদের বিভিন্ন ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্রের শোপিস, শার্ট, টি-শার্ট, অ্যালবামসহ নানান জিনিস সংগ্রহ করে থাকে। আমাদের দেশে অবশ্য এখন মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত টানা গানের এসব লাইভ শো কিছুটা কমেছে। এখন শুরু হয়েছে ইউটিউবে ‘গান ভাইরাল প্রতিযোগিতা’। কিন্তু শুধু ভিউ বা ভাইরাল হলেই যে শিল্পী জনপ্রিয় হয় না, কিংবা তাদের গান বেশিদিন টেকে না তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আমরা অনেক ‘ভাইরাল’ গানেই পেয়েছি। বিষয়টি অনেকটা ঝড়ের মতো, ঘূর্ণি দিয়ে এলো আর গেল-থাকল না। টেবিল চাপড়ে গান গেয়েও অনেকে ভাইরাল হয়েছে। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানের এই অবস্থা দেখে এক শ্রেণির শিল্পী এখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে মিউজিক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ছাড়ছেন। প্রচুর ভিউ হচ্ছে। কিন্তু ইউটিউবে গান থাকলেও সব গান অন্তরে থাকছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাইরাল বা কোটি ভিউয়ের গান কেন দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে? কেন দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন করে নিতে পারছে না? এ ব্যাপারে খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তার ফেসবুকে বেশ আক্ষেপের সঙ্গে লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশের তথাকথিত ‘হিট’ গানগুলো নিয়ে একটা বিশ্লেষণমূলক বই লিখি। তাতে ভুল শব্দ, শব্দ ব্যবহারের ভুল, অর্থহীন শব্দ, বাক্যগঠনের ভুল, অসমাপ্ত বাক্য, ক্রিয়ার অপব্যবহার, ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড পারসনে সম্বোধনের গোঁজামিল, বিশেষ্য-বিশেষণের তালগোল পাকিয়ে ফেলা, ছন্দ ও অন্ত্যমিলের ধারণাহীনতা, উপমা-রূপকের ভুল প্রয়োগ, রুচিহীন শব্দ ব্যবহার এবং সম্পূর্ণটা মিলে অর্থহীনতা নিয়ে আলোচনা থাকবে।’ পরিশেষে তিনি লিখেছেন, ‘এত বিশাল পরিমাণ বাজে কিছু ঘাটা হয়তো আমার আয়ুষ্কালে কুলাবে না।’ এ থেকেই বোঝা যায়, গান-বাজনার অবস্থা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু সংগীতই নয়, নাটক-সিনেমার কথাই ধরি না কেন। বলতে গেলে দর্শকরা এখন টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা ছেড়েই দিয়েছেন। অধিকাংশই ইউটিউব নির্ভর। এর দুটো কারণ। এক, কর্মব্যস্ততার কারণে কোনো বেঁধে দেওয়া সময়ে অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকরা ইচ্ছুক নন। দুই, সময় থাকলেও অনেক নাটক সপরিবারে দেখার মতো নয়। কারণ নাটক থেকে এখন পারিবারিক পরিবেশ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোনো নাটকে কোনো সংলাপ বা কোনো দৃশ্য সন্তানের সামনে বাবা-মাকে কিংবা বাবা-মা’র সামনে সন্তানকে বিব্রত করবে কে জানে? তার প্রমাণ ইদানীং টিকটকে একটি চ্যানেলের চলমান ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের অভিনয় শিল্পীর মুখের একটি সংলাপ। যা শুধু অশ্রাব্যই নয় রীতিমতো অশ্লীল। ওই সংলাপটি কিভাবে ওই শিল্পী (!) উচ্চারণ করেছেন বা কারা করিয়েছেন তা কারওই বোধগম্য নয়। তাই রিমোট টিপে দর্শকদের এই অন্যত্র বিচরণ। ওয়েব সিরিজের অবস্থাও ছিল এমনই ভয়াবহ। যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরেও গেছে। সিনেমার অবস্থাও করুণ। সিনেমার সংখ্যা কমতে কমতে এমন পর্যায়ে এসেছে যে, কেউ ১০০ বা ২০০ সিনেমা বানাবার ঘোষণা দিলেও দর্শকদের তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না। তবে অনেকের জন্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে এখন সিনেমায় অভিনয় করতে পারলেই পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ ভাগ। কারণ এখন যে হারে সিনেমা কমতে শুরু করছে তাতে ভবিষ্যতে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পুরস্কার দেওয়ার শিল্পী খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তা ছাড়া এখন অধিকাংশ সিনেমাই দর্শকদের জন্য নয়, বানানো হয় পুরস্কারের জন্য। কে দেখল, কে দেখল না তাতে কিছু যায় আসে না। তবে পুরস্কারের দুয়ার খোলা। সিনেমার বাজেটও থাকে সেরকম। চ্যানেলে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হলেই হলো। তবে ছবি সম্পর্কে প্রচলিত অভিযোগটি এখনো রয়েছে, হলে গিয়ে সপরিবারে ছবি দেখা যায় না। আর ‘হল সংকট’ তো রয়েছেই। রয়েছে অর্থ সংকটও। এর উপর ইদানীং চেপে বসেছে করোনা দুর্যোগ। তাই সব মিলিয়ে বিনোদন জগতের বেহাল অবস্থা। এরপর আবার গত একটি বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক গুণী শিল্পীকে। যাদের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। তাই বিনোদন জগতে শিল্পী শূন্যতা বাড়ছেই।

আমরা একটি কথা জানি হুজুগে বাঙালি। ইদানীং আবার কিছু কিছু মিডিয়া হুজুগে চলে। তাদের বলা হয় হুজুগে মিডিয়া। নতুন কোনো খবর পেলে এক একটি মিডিয়া সেটাকে একেকভাবে দেখায় এবং ছাপায়। ইন্টারনেট আসার কারণে অনলাইনে এখন লেখার সঙ্গে দেখাও যায়। এসব ভিডিও যারা ধারণ করেন অনেক ক্ষেত্রে তারা পেশাদার নয়। তাই বুঝতে পারেন না কোন দৃশ্য প্রচার যোগ্য কিংবা কোনটি অযোগ্য। তাই তাদের মাধ্যমে যখন কারও চিত্রধারণ করা হয় এবং অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তিনি বিব্রত হন। কণ্ঠশিল্পী আকবরের কথাই ধরা যাক। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের সংবাদ প্রচার করেছেন, অডিও-ভিডিও এবং লেখায়। কিছু কিছু ভিডিও বেশ দৃষ্টিকটু ছিল। যেখানে শিল্পী আকবরের খালি গায়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। যদিও এদের কাউকে আকবরকে চিকিৎসা বা আর্থিকভাবে সহায়তা দিতে শোনা যায়নি।

এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রসঙ্গ। যাকে অসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বললে অত্যুক্তি হবে না। বিবিসি করোনা মহামারীর সময়ে কয়েকশ ভুয়া তথ্য নিয়ে তদন্ত করে বলেছে, ‘যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় তার মধ্যে তারকা বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রভাব বেশি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি শক্তি আছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেক তথ্যের সাহায্যে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। এমন বহু খবর আমরা দেখেছিও। ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যম আপনাকে দ্রুত তারকা বানাতে পারে। এই মাধ্যম যেমন আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ করেছে, তেমনি অনেকের কান্নারও কারণ হয়েছে। গুণীজনদের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে মৃত্যু সংবাদ প্রচার করে ভাইরাল হতে চেষ্টা করেছে। এটাকে ‘ভাইরাল’ না বলে ‘ভাইরাল প্রতারণা’ বলাই শ্রেয়। অতিসম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন গুণী মানুষ শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী, এন্ড্রু কিশোর, আবদুল কাদের, সর্বশেষ এ টি এম শামসুজ্জামান এমনি আরও অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর অসুস্থতার সময় কিছু মানুষ নামের অমানুষ তাদের জীবিত অবস্থাতেই ফেসবুকে মৃত্যু সংবাদের গুজব রটিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করেছেন। আর এই মানুষগুলোর পরিবার ও স্বজনরা দেশ-বিদেশে অঝোরে কেঁদেছেন। এসব মিথ্যা তথ্য বা খবর মানুষকে যেমন কষ্ট দেয়, তেমনি মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য, গুজব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যে কোনো পোস্ট বা খবরে লাইক, শেয়ার, কমেন্টের চাহিদা থাকতেই পারে কিন্তু অবশ্যই তা যেন ভুল বা ভুয়া তথ্যনির্ভর না হয়।

সবশেষে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে এই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি, রবিবার থেকে। মিডিয়ার প্রচার কল্যাণে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার দিনটাকে একটা উৎসবে পরিণত করা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ২/১ জন মন্ত্রীর ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয় এবং তা ভাইরালও হয়। কারণ তাদের টিকা গ্রহণের সময় কেন্দ্রে বহু মানুষের সমাগম ঘটেছিল, মানা হয়নি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন। এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। এই টিকা নিয়ে যেন কোনো রিউমার না হয়।’ তবে টিকা নিয়ে কোনো রিউমার না হলেও তার টিকা গ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে বেশ হিউমার হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব না মানায়- প্রশ্ন জেগেছে টিকা দিতে গিয়ে আমরা কি স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করছি না? সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই টিকা দান কর্মসূচিতে প্রায় সব চ্যানেলের গণমাধ্যম কর্মীও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কার আগে কে এই মহামূল্যবান দৃশ্য ধারণ করতে পারে! ধারণ করা ঐসব দৃশ্য দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এ কি করোনা থেকে নিস্তার নাকি করোনা বিস্তার অনুষ্ঠান? এই ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিকে অনেকে করোনা শোডাউন হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

অথচ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টিকা গ্রহণও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দু’জনের চিত্র দেখা গেছে- বাইডেন এবং টিকা প্রদানকারী নার্স। একজন টিকা নিচ্ছেন, একজন দিচ্ছেন। এই একই ছবি সব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জো বাইডেনের মতো আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রাও টিকাদান কার্যক্রম এভাবে এক ক্যামেরায় ধারণ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠাতে পারতেন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সেই দায়িত্বটি দেওয়া যেত। মিডিয়ার পক্ষ থেকেও এই অনুরোধটি করা যেত তাতে এখানে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরাও নিরাপদ বোধ করতেন। আর এটা করা হয়নি বলেই একটি শুভ উদ্যোগের শুরুতেই এই অশুভ আলোচনা।

আসলে আমাদের দেশে আগে সীমিতসংখ্যক পত্রিকা এবং রেডিও-টেলিভিশন ছিল। এখন অগণন গণমাধ্যম। ইন্টারনেটের কারণে এখন হাতে হাতে মোবাইল। আর মোবাইল মানেই প্রতি হাতে একটি করে চ্যানেল রয়েছে। সুতরাং যে যার মতো বলে যাচ্ছেন। যেখানে তথ্যের সত্য অসত্য নির্ধারণের কোনো উপায় নেই। তাই এসব ব্যাপারে প্রয়োজন আরও বেশি দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা-অনলাইনে, অফলাইনে-সব লাইনে।

 লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

১৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৪১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র
ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন