শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

অগণন গণমাধ্যম

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
অগণন গণমাধ্যম

প্রচারে কর্ম নয়, কর্মেই প্রচার-এটা আমরা জানি তবে অনেকেই মানি না। কারণ শুভ কাজেই, শুভ ফল। প্রচার সার কর্ম অসাধুর ধর্ম। এসব কাজে জাঁকজমক থাকে, অনেক চমক থাকে, ফুর্তির ঠমক থাকে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কথা বমনের গমক থাকে, আবার অনেকের ধমকও থাকে। তবে যারা খাঁটি মানুষ তারা প্রচার প্রসারের জন্য নয়, আন্তরিক দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন মানুষের জন্য। যারা স্বার্থ নয়, ক্ষমতা নয়, প্রচার কাঙাল হয়ে টিভি প্রদর্শনীতেও নয়, ফেসবুকের মাধ্যমে আত্মপ্রচারের ঢোল পিটিয়ে নয়, যোগসাজশের তথাকথিত ফ্যান দিয়ে প্রশংসার বাণী বানিয়ে নানান ধরনের সুপারিশের আয়োজন করে নয়, অর্থ-বিত্ত-প্রাচুর্যের জন্য নয়, লোক দেখানো প্রতারণার জন্য নয়, এমন কি ভোট প্রত্যাশী সাময়িক দরদি হয়েও নয়, সত্যিকারের মানুষ দরদি মানুষই হচ্ছেন খাঁটি মানুষ। যার সংখ্যা হাতেগোনা। চেহারা দেখে বোঝা যায় না কে সোজা, কে সরল। কে কঠিন, কে গরল। এক একজন মানুষ এক একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। কারও উদ্দেশ্য সৎ উপার্জিত আয়ে সংসার চালানো, ছেলেমেয়েকে মানুষ করা। কারও উদ্দেশ্য সংসারের পাশাপাশি গাড়ি-বাড়ি করা। কারও বা দেশ-বিদেশে বাড়ি আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করা, যার সীমা শত কোটি ছাড়িয়ে, হাজার কোটি পেরিয়ে, কয়েক হাজার কোটিতে। অসৎ উপায়ে অর্জিত, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত। আর যারা এসব করে, স্বভাবতই তারা দুর্নীতিবাজ।

সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রে রাজাকে বলতে শুনেছি, ‘যত বেশি জানে-তত কম মানে’ অর্থাৎ মানুষ জ্ঞানী হয়ে উঠলে অনেকেরই অসুবিধা। কারণ বেশি জেনে জনতা জেগে গেলে প্রভাবশালী অরাজকদের মুখোশ উন্মোচন করে ফেলতে পারে। তবুও জানার শেষ নেই, জানার কোনো বিকল্প নেই। আর এই জানানোর দায়িত্বটিই পালন করে মিডিয়া বা গণমাধ্যম। নেটের কারণে যা এখন নানানভাবে সম্প্রসারিত। বলা যায় অগণন গণমাধ্যম। অর্থ-বিত্ত-প্রতিপত্তির সুযোগ ও সম্পর্কের কারণে, ক্রমে ক্রমে-বিক্রমে-পরাক্রমে, নানান বাধা অতিক্রম করে দোর্দ- প্রতাপে যারা অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, অসৎ আয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তাদের কথা অনেক মিডিয়াই জানায় না। রাজনীতি, পরিচিতি, সমাজনীতি, সুস্থিতি, অস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এমনকি মানুষের ভয়-ভীতিও এখন ব্যবসার উপকরণ। এসবই মিডিয়ায় আসে রং মাখিয়ে নিজস্ব ঢংয়ে। যার ফলে ধরা পড়া আর না পড়াতে দুর্নীতির গতি ও নীতির দুর্গতি অতিশয় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সব ক্ষেত্রেই। এসব দুর্নীতির কটিই বা আমাদের মিডিয়াতে আসে? কেউ কেউ অগণন এই গণমাধ্যমকে গণভাবে গণব্যবহারের মাধ্যমে নিজ স্বার্থকে গণস্বার্থ বানিয়ে গণহারে আত্মপ্রচার চালিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে ভয়ংকর আত্মগীতি। তাতে অনেকে সুফলও পাচ্ছে। জুটছে নানান পুরস্কার। যা পরিষ্কার ভাবমূর্তির ‘পুরস্কার’ শব্দটিকে অপরিষ্কার করছে। আমি আগেও বলেছি পৃথিবীর বড় বড় মিডিয়াগুলোর মালিকদের আমরা না চিনলেও বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর মালিকদের সবাই চিনি। শুধু মালিকই নয়, এই গণমাধ্যমের কল্যাণে অনেকের আত্মীয়-পরিজনকেও চেনা যায়। রেডিও, টেলিভিশন ছাড়াও অনলাইনের কল্যাণে দেশে এখন প্রচুর প্রচারমাধ্যম। অনলাইনে এখন অনেক তাজা খবর জানা যায়- সুনীতির এবং দুর্নীতির। তখন সত্যবাদী এবং নিরপেক্ষতার দাবিদার অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার দিকে তাকালে কষ্ট হয়। কারণ অনেক খবর তারা জেনেও জানায় না। ভান করে না জানার। 

আগে অনেকেই বলতেন, পত্রিকার কলাম লেখক বা চ্যানেলের টকশোর টকারদের দেখলেই বোঝা যায় কে কী লিখবেন আর কে কী বলবেন। আবার টকশোগুলোতে উপস্থাপক আলোচনার জন্য যে বিষয়ই নির্ধারণ করুক, বক্তাকে দেখলেই বোঝা যায়, তিনি নির্ধারিত বিষয়ে কি বলবেন, কোনদিকে যাবেন। আর রাজনীতির আলাপ হলে তো কথাই নেই। যে যার পক্ষ নিয়ে ভাঙা রেকর্ড বাজাতেই থাকে। বলা বাহুল্য এরা সবাই নাকি সত্য বলে। তাদের এসব তথ্যে কি সত্য, আর কি অসত্য তা দর্শকরা বোঝেন। কারণ তারা সবকিছুরই সাক্ষী। সুতরাং এ নিয়ে বলে লাভ নেই। লেখার বেলায়ও ঠিক তাই। গণমাধ্যমে এসব লেখা ও বলার ক্ষেত্রেও চাটুকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র বদলাতে অভ্যস্ত। শুধু বক্তা বা লেখকের চরিত্রই নয়, এখন নাকি চ্যানেলের নাম শুনলেই বোঝা যায় কোন চ্যানেল কী বলবে। তাই দ্রুতগতিতে দর্শকরাও বিশ্বাস হারাচ্ছে। রিমোট টিপে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। চ্যানেলগুলোতে দর্শকদের প্রত্যাশিত প্রত্যাশার প্রাপ্তি কতটুকু তা আমরা খতিয়ে দেখি না। অর্থাৎ দর্শকরা কি চান আর কি পান সেটা বুঝি না। আর বোঝার চেষ্টাও করি না। ফলে নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাটে চলছে চ্যানেলের অনুষ্ঠানমালা। যা অনেক সময় শরীরে জ¦ালা ধরিয়ে দেয়। মানের প্রশ্ন তুললেও কিছু কিছু চ্যানেলে কোন মানদন্ডে মানহীন অনুষ্ঠান চলে তাও অনুমান করা কঠিন। কিছুদিন তো নানান নামের প্রতিযোগিতার প্রতিযোগিতা চলেছে চ্যানেলে চ্যানেলে। দেখে মনে হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভায় ভরপুর হয়ে যাবে পুরো মিডিয়া। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। এতগুলো চ্যানেলের সিরিজ প্রতিযোগিতায় দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া কাক্সিক্ষত মানের কোনো শিল্পী পাওয়া যায়নি। আলোচনা অনুষ্ঠানের কথা না হয় বাদই দিলাম। গান-বাজনার কথাই বা কী বলব। এক সময় নাচ-গান ছিল টেলিভিশনের প্রাণ। কিন্তু পরবর্তীতে গান যখন মধ্য রাতে চ্যানেলগুলোর প্রধান সংগীতানুষ্ঠান হয়ে উঠল, সরাসরির ছড়াছড়ি শুরু হয়ে গেল এবং ভোর রাত পর্যন্ত একই শিল্পী বা একই ব্যান্ড গান গাইতে শুরু করল- তখন থেকেই কমতে শুরু করল গানের মান ও গানের প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ। মধ্য রাতে কিছু শিল্পীর বেসুরো গান, এঁহ হয়ে দর্শকদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াল। ফলে গানের প্রতি যে মমত্ববোধ ও ভালোলাগা সেটাও কমতে শুরু করল। অনেকেরই ধারণা ছিল নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ের কাছে বোধহয় এসব গান খুবই জনপ্রিয়তা পাবে। চ্যানেল হিট হবে। কিন্তু তা কি হয়েছে? আসলে আজকালকার ছেলেমেয়েরা এখন হিন্দি গানও কম শোনে। এসব গান এখন গায়ে হলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থান করে নিয়েছে। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন শোনে বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান কে পপ এর গান। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ঘরানার মিউজিক। ব্যাংটান বয়েজ বা বিটিএস, এক্সো, বিগব্যাং, গার্লস জেনারেশন, সেভেনটিন, ওয়ানা ওয়ান ইত্যাদি হচ্ছে কে-পপের জনপ্রিয় ব্যান্ড। শুধু বাংলাদেশেই নয়, দুনিয়াজোড়া জনপ্রিয় এই কে-পপ। ভক্তরা শুধু তাদের গানই নয়, এই ব্যান্ড তারকাদের বিভিন্ন ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্রের শোপিস, শার্ট, টি-শার্ট, অ্যালবামসহ নানান জিনিস সংগ্রহ করে থাকে। আমাদের দেশে অবশ্য এখন মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত টানা গানের এসব লাইভ শো কিছুটা কমেছে। এখন শুরু হয়েছে ইউটিউবে ‘গান ভাইরাল প্রতিযোগিতা’। কিন্তু শুধু ভিউ বা ভাইরাল হলেই যে শিল্পী জনপ্রিয় হয় না, কিংবা তাদের গান বেশিদিন টেকে না তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আমরা অনেক ‘ভাইরাল’ গানেই পেয়েছি। বিষয়টি অনেকটা ঝড়ের মতো, ঘূর্ণি দিয়ে এলো আর গেল-থাকল না। টেবিল চাপড়ে গান গেয়েও অনেকে ভাইরাল হয়েছে। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানের এই অবস্থা দেখে এক শ্রেণির শিল্পী এখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে মিউজিক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ছাড়ছেন। প্রচুর ভিউ হচ্ছে। কিন্তু ইউটিউবে গান থাকলেও সব গান অন্তরে থাকছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাইরাল বা কোটি ভিউয়ের গান কেন দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে? কেন দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন করে নিতে পারছে না? এ ব্যাপারে খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তার ফেসবুকে বেশ আক্ষেপের সঙ্গে লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশের তথাকথিত ‘হিট’ গানগুলো নিয়ে একটা বিশ্লেষণমূলক বই লিখি। তাতে ভুল শব্দ, শব্দ ব্যবহারের ভুল, অর্থহীন শব্দ, বাক্যগঠনের ভুল, অসমাপ্ত বাক্য, ক্রিয়ার অপব্যবহার, ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড পারসনে সম্বোধনের গোঁজামিল, বিশেষ্য-বিশেষণের তালগোল পাকিয়ে ফেলা, ছন্দ ও অন্ত্যমিলের ধারণাহীনতা, উপমা-রূপকের ভুল প্রয়োগ, রুচিহীন শব্দ ব্যবহার এবং সম্পূর্ণটা মিলে অর্থহীনতা নিয়ে আলোচনা থাকবে।’ পরিশেষে তিনি লিখেছেন, ‘এত বিশাল পরিমাণ বাজে কিছু ঘাটা হয়তো আমার আয়ুষ্কালে কুলাবে না।’ এ থেকেই বোঝা যায়, গান-বাজনার অবস্থা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু সংগীতই নয়, নাটক-সিনেমার কথাই ধরি না কেন। বলতে গেলে দর্শকরা এখন টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা ছেড়েই দিয়েছেন। অধিকাংশই ইউটিউব নির্ভর। এর দুটো কারণ। এক, কর্মব্যস্ততার কারণে কোনো বেঁধে দেওয়া সময়ে অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকরা ইচ্ছুক নন। দুই, সময় থাকলেও অনেক নাটক সপরিবারে দেখার মতো নয়। কারণ নাটক থেকে এখন পারিবারিক পরিবেশ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোনো নাটকে কোনো সংলাপ বা কোনো দৃশ্য সন্তানের সামনে বাবা-মাকে কিংবা বাবা-মা’র সামনে সন্তানকে বিব্রত করবে কে জানে? তার প্রমাণ ইদানীং টিকটকে একটি চ্যানেলের চলমান ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের অভিনয় শিল্পীর মুখের একটি সংলাপ। যা শুধু অশ্রাব্যই নয় রীতিমতো অশ্লীল। ওই সংলাপটি কিভাবে ওই শিল্পী (!) উচ্চারণ করেছেন বা কারা করিয়েছেন তা কারওই বোধগম্য নয়। তাই রিমোট টিপে দর্শকদের এই অন্যত্র বিচরণ। ওয়েব সিরিজের অবস্থাও ছিল এমনই ভয়াবহ। যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরেও গেছে। সিনেমার অবস্থাও করুণ। সিনেমার সংখ্যা কমতে কমতে এমন পর্যায়ে এসেছে যে, কেউ ১০০ বা ২০০ সিনেমা বানাবার ঘোষণা দিলেও দর্শকদের তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না। তবে অনেকের জন্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে এখন সিনেমায় অভিনয় করতে পারলেই পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ ভাগ। কারণ এখন যে হারে সিনেমা কমতে শুরু করছে তাতে ভবিষ্যতে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পুরস্কার দেওয়ার শিল্পী খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তা ছাড়া এখন অধিকাংশ সিনেমাই দর্শকদের জন্য নয়, বানানো হয় পুরস্কারের জন্য। কে দেখল, কে দেখল না তাতে কিছু যায় আসে না। তবে পুরস্কারের দুয়ার খোলা। সিনেমার বাজেটও থাকে সেরকম। চ্যানেলে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হলেই হলো। তবে ছবি সম্পর্কে প্রচলিত অভিযোগটি এখনো রয়েছে, হলে গিয়ে সপরিবারে ছবি দেখা যায় না। আর ‘হল সংকট’ তো রয়েছেই। রয়েছে অর্থ সংকটও। এর উপর ইদানীং চেপে বসেছে করোনা দুর্যোগ। তাই সব মিলিয়ে বিনোদন জগতের বেহাল অবস্থা। এরপর আবার গত একটি বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক গুণী শিল্পীকে। যাদের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। তাই বিনোদন জগতে শিল্পী শূন্যতা বাড়ছেই।

আমরা একটি কথা জানি হুজুগে বাঙালি। ইদানীং আবার কিছু কিছু মিডিয়া হুজুগে চলে। তাদের বলা হয় হুজুগে মিডিয়া। নতুন কোনো খবর পেলে এক একটি মিডিয়া সেটাকে একেকভাবে দেখায় এবং ছাপায়। ইন্টারনেট আসার কারণে অনলাইনে এখন লেখার সঙ্গে দেখাও যায়। এসব ভিডিও যারা ধারণ করেন অনেক ক্ষেত্রে তারা পেশাদার নয়। তাই বুঝতে পারেন না কোন দৃশ্য প্রচার যোগ্য কিংবা কোনটি অযোগ্য। তাই তাদের মাধ্যমে যখন কারও চিত্রধারণ করা হয় এবং অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তিনি বিব্রত হন। কণ্ঠশিল্পী আকবরের কথাই ধরা যাক। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের সংবাদ প্রচার করেছেন, অডিও-ভিডিও এবং লেখায়। কিছু কিছু ভিডিও বেশ দৃষ্টিকটু ছিল। যেখানে শিল্পী আকবরের খালি গায়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। যদিও এদের কাউকে আকবরকে চিকিৎসা বা আর্থিকভাবে সহায়তা দিতে শোনা যায়নি।

এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রসঙ্গ। যাকে অসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বললে অত্যুক্তি হবে না। বিবিসি করোনা মহামারীর সময়ে কয়েকশ ভুয়া তথ্য নিয়ে তদন্ত করে বলেছে, ‘যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় তার মধ্যে তারকা বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রভাব বেশি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি শক্তি আছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেক তথ্যের সাহায্যে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। এমন বহু খবর আমরা দেখেছিও। ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যম আপনাকে দ্রুত তারকা বানাতে পারে। এই মাধ্যম যেমন আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ করেছে, তেমনি অনেকের কান্নারও কারণ হয়েছে। গুণীজনদের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে মৃত্যু সংবাদ প্রচার করে ভাইরাল হতে চেষ্টা করেছে। এটাকে ‘ভাইরাল’ না বলে ‘ভাইরাল প্রতারণা’ বলাই শ্রেয়। অতিসম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন গুণী মানুষ শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী, এন্ড্রু কিশোর, আবদুল কাদের, সর্বশেষ এ টি এম শামসুজ্জামান এমনি আরও অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর অসুস্থতার সময় কিছু মানুষ নামের অমানুষ তাদের জীবিত অবস্থাতেই ফেসবুকে মৃত্যু সংবাদের গুজব রটিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করেছেন। আর এই মানুষগুলোর পরিবার ও স্বজনরা দেশ-বিদেশে অঝোরে কেঁদেছেন। এসব মিথ্যা তথ্য বা খবর মানুষকে যেমন কষ্ট দেয়, তেমনি মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য, গুজব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যে কোনো পোস্ট বা খবরে লাইক, শেয়ার, কমেন্টের চাহিদা থাকতেই পারে কিন্তু অবশ্যই তা যেন ভুল বা ভুয়া তথ্যনির্ভর না হয়।

সবশেষে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে এই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি, রবিবার থেকে। মিডিয়ার প্রচার কল্যাণে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার দিনটাকে একটা উৎসবে পরিণত করা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ২/১ জন মন্ত্রীর ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয় এবং তা ভাইরালও হয়। কারণ তাদের টিকা গ্রহণের সময় কেন্দ্রে বহু মানুষের সমাগম ঘটেছিল, মানা হয়নি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন। এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। এই টিকা নিয়ে যেন কোনো রিউমার না হয়।’ তবে টিকা নিয়ে কোনো রিউমার না হলেও তার টিকা গ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে বেশ হিউমার হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব না মানায়- প্রশ্ন জেগেছে টিকা দিতে গিয়ে আমরা কি স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করছি না? সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই টিকা দান কর্মসূচিতে প্রায় সব চ্যানেলের গণমাধ্যম কর্মীও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কার আগে কে এই মহামূল্যবান দৃশ্য ধারণ করতে পারে! ধারণ করা ঐসব দৃশ্য দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এ কি করোনা থেকে নিস্তার নাকি করোনা বিস্তার অনুষ্ঠান? এই ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিকে অনেকে করোনা শোডাউন হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

অথচ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টিকা গ্রহণও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দু’জনের চিত্র দেখা গেছে- বাইডেন এবং টিকা প্রদানকারী নার্স। একজন টিকা নিচ্ছেন, একজন দিচ্ছেন। এই একই ছবি সব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জো বাইডেনের মতো আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রাও টিকাদান কার্যক্রম এভাবে এক ক্যামেরায় ধারণ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠাতে পারতেন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সেই দায়িত্বটি দেওয়া যেত। মিডিয়ার পক্ষ থেকেও এই অনুরোধটি করা যেত তাতে এখানে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরাও নিরাপদ বোধ করতেন। আর এটা করা হয়নি বলেই একটি শুভ উদ্যোগের শুরুতেই এই অশুভ আলোচনা।

আসলে আমাদের দেশে আগে সীমিতসংখ্যক পত্রিকা এবং রেডিও-টেলিভিশন ছিল। এখন অগণন গণমাধ্যম। ইন্টারনেটের কারণে এখন হাতে হাতে মোবাইল। আর মোবাইল মানেই প্রতি হাতে একটি করে চ্যানেল রয়েছে। সুতরাং যে যার মতো বলে যাচ্ছেন। যেখানে তথ্যের সত্য অসত্য নির্ধারণের কোনো উপায় নেই। তাই এসব ব্যাপারে প্রয়োজন আরও বেশি দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা-অনলাইনে, অফলাইনে-সব লাইনে।

 লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

৫৬ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

বরিশালের উজিরপুরে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
বরিশালের উজিরপুরে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত
সিরাজগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের
জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

২০ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

২৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা
পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকসু'র চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ছবিসহ প্রকাশ
জকসু'র চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ছবিসহ প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু
জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা
লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল
ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা
সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?
গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’
‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়

সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন
সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন

নগর জীবন

১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ
১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে
প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে

নগর জীবন

আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা
আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা

নগর জীবন

প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

দেশগ্রাম

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম