শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

অগণন গণমাধ্যম

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
অগণন গণমাধ্যম

প্রচারে কর্ম নয়, কর্মেই প্রচার-এটা আমরা জানি তবে অনেকেই মানি না। কারণ শুভ কাজেই, শুভ ফল। প্রচার সার কর্ম অসাধুর ধর্ম। এসব কাজে জাঁকজমক থাকে, অনেক চমক থাকে, ফুর্তির ঠমক থাকে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কথা বমনের গমক থাকে, আবার অনেকের ধমকও থাকে। তবে যারা খাঁটি মানুষ তারা প্রচার প্রসারের জন্য নয়, আন্তরিক দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন মানুষের জন্য। যারা স্বার্থ নয়, ক্ষমতা নয়, প্রচার কাঙাল হয়ে টিভি প্রদর্শনীতেও নয়, ফেসবুকের মাধ্যমে আত্মপ্রচারের ঢোল পিটিয়ে নয়, যোগসাজশের তথাকথিত ফ্যান দিয়ে প্রশংসার বাণী বানিয়ে নানান ধরনের সুপারিশের আয়োজন করে নয়, অর্থ-বিত্ত-প্রাচুর্যের জন্য নয়, লোক দেখানো প্রতারণার জন্য নয়, এমন কি ভোট প্রত্যাশী সাময়িক দরদি হয়েও নয়, সত্যিকারের মানুষ দরদি মানুষই হচ্ছেন খাঁটি মানুষ। যার সংখ্যা হাতেগোনা। চেহারা দেখে বোঝা যায় না কে সোজা, কে সরল। কে কঠিন, কে গরল। এক একজন মানুষ এক একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। কারও উদ্দেশ্য সৎ উপার্জিত আয়ে সংসার চালানো, ছেলেমেয়েকে মানুষ করা। কারও উদ্দেশ্য সংসারের পাশাপাশি গাড়ি-বাড়ি করা। কারও বা দেশ-বিদেশে বাড়ি আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করা, যার সীমা শত কোটি ছাড়িয়ে, হাজার কোটি পেরিয়ে, কয়েক হাজার কোটিতে। অসৎ উপায়ে অর্জিত, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত। আর যারা এসব করে, স্বভাবতই তারা দুর্নীতিবাজ।

সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে চলচ্চিত্রে রাজাকে বলতে শুনেছি, ‘যত বেশি জানে-তত কম মানে’ অর্থাৎ মানুষ জ্ঞানী হয়ে উঠলে অনেকেরই অসুবিধা। কারণ বেশি জেনে জনতা জেগে গেলে প্রভাবশালী অরাজকদের মুখোশ উন্মোচন করে ফেলতে পারে। তবুও জানার শেষ নেই, জানার কোনো বিকল্প নেই। আর এই জানানোর দায়িত্বটিই পালন করে মিডিয়া বা গণমাধ্যম। নেটের কারণে যা এখন নানানভাবে সম্প্রসারিত। বলা যায় অগণন গণমাধ্যম। অর্থ-বিত্ত-প্রতিপত্তির সুযোগ ও সম্পর্কের কারণে, ক্রমে ক্রমে-বিক্রমে-পরাক্রমে, নানান বাধা অতিক্রম করে দোর্দ- প্রতাপে যারা অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, অসৎ আয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তাদের কথা অনেক মিডিয়াই জানায় না। রাজনীতি, পরিচিতি, সমাজনীতি, সুস্থিতি, অস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এমনকি মানুষের ভয়-ভীতিও এখন ব্যবসার উপকরণ। এসবই মিডিয়ায় আসে রং মাখিয়ে নিজস্ব ঢংয়ে। যার ফলে ধরা পড়া আর না পড়াতে দুর্নীতির গতি ও নীতির দুর্গতি অতিশয় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সব ক্ষেত্রেই। এসব দুর্নীতির কটিই বা আমাদের মিডিয়াতে আসে? কেউ কেউ অগণন এই গণমাধ্যমকে গণভাবে গণব্যবহারের মাধ্যমে নিজ স্বার্থকে গণস্বার্থ বানিয়ে গণহারে আত্মপ্রচার চালিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে ভয়ংকর আত্মগীতি। তাতে অনেকে সুফলও পাচ্ছে। জুটছে নানান পুরস্কার। যা পরিষ্কার ভাবমূর্তির ‘পুরস্কার’ শব্দটিকে অপরিষ্কার করছে। আমি আগেও বলেছি পৃথিবীর বড় বড় মিডিয়াগুলোর মালিকদের আমরা না চিনলেও বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর মালিকদের সবাই চিনি। শুধু মালিকই নয়, এই গণমাধ্যমের কল্যাণে অনেকের আত্মীয়-পরিজনকেও চেনা যায়। রেডিও, টেলিভিশন ছাড়াও অনলাইনের কল্যাণে দেশে এখন প্রচুর প্রচারমাধ্যম। অনলাইনে এখন অনেক তাজা খবর জানা যায়- সুনীতির এবং দুর্নীতির। তখন সত্যবাদী এবং নিরপেক্ষতার দাবিদার অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার দিকে তাকালে কষ্ট হয়। কারণ অনেক খবর তারা জেনেও জানায় না। ভান করে না জানার। 

আগে অনেকেই বলতেন, পত্রিকার কলাম লেখক বা চ্যানেলের টকশোর টকারদের দেখলেই বোঝা যায় কে কী লিখবেন আর কে কী বলবেন। আবার টকশোগুলোতে উপস্থাপক আলোচনার জন্য যে বিষয়ই নির্ধারণ করুক, বক্তাকে দেখলেই বোঝা যায়, তিনি নির্ধারিত বিষয়ে কি বলবেন, কোনদিকে যাবেন। আর রাজনীতির আলাপ হলে তো কথাই নেই। যে যার পক্ষ নিয়ে ভাঙা রেকর্ড বাজাতেই থাকে। বলা বাহুল্য এরা সবাই নাকি সত্য বলে। তাদের এসব তথ্যে কি সত্য, আর কি অসত্য তা দর্শকরা বোঝেন। কারণ তারা সবকিছুরই সাক্ষী। সুতরাং এ নিয়ে বলে লাভ নেই। লেখার বেলায়ও ঠিক তাই। গণমাধ্যমে এসব লেখা ও বলার ক্ষেত্রেও চাটুকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র বদলাতে অভ্যস্ত। শুধু বক্তা বা লেখকের চরিত্রই নয়, এখন নাকি চ্যানেলের নাম শুনলেই বোঝা যায় কোন চ্যানেল কী বলবে। তাই দ্রুতগতিতে দর্শকরাও বিশ্বাস হারাচ্ছে। রিমোট টিপে চলে যাচ্ছে অন্যত্র। চ্যানেলগুলোতে দর্শকদের প্রত্যাশিত প্রত্যাশার প্রাপ্তি কতটুকু তা আমরা খতিয়ে দেখি না। অর্থাৎ দর্শকরা কি চান আর কি পান সেটা বুঝি না। আর বোঝার চেষ্টাও করি না। ফলে নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাটে চলছে চ্যানেলের অনুষ্ঠানমালা। যা অনেক সময় শরীরে জ¦ালা ধরিয়ে দেয়। মানের প্রশ্ন তুললেও কিছু কিছু চ্যানেলে কোন মানদন্ডে মানহীন অনুষ্ঠান চলে তাও অনুমান করা কঠিন। কিছুদিন তো নানান নামের প্রতিযোগিতার প্রতিযোগিতা চলেছে চ্যানেলে চ্যানেলে। দেখে মনে হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভায় ভরপুর হয়ে যাবে পুরো মিডিয়া। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। এতগুলো চ্যানেলের সিরিজ প্রতিযোগিতায় দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া কাক্সিক্ষত মানের কোনো শিল্পী পাওয়া যায়নি। আলোচনা অনুষ্ঠানের কথা না হয় বাদই দিলাম। গান-বাজনার কথাই বা কী বলব। এক সময় নাচ-গান ছিল টেলিভিশনের প্রাণ। কিন্তু পরবর্তীতে গান যখন মধ্য রাতে চ্যানেলগুলোর প্রধান সংগীতানুষ্ঠান হয়ে উঠল, সরাসরির ছড়াছড়ি শুরু হয়ে গেল এবং ভোর রাত পর্যন্ত একই শিল্পী বা একই ব্যান্ড গান গাইতে শুরু করল- তখন থেকেই কমতে শুরু করল গানের মান ও গানের প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ। মধ্য রাতে কিছু শিল্পীর বেসুরো গান, এঁহ হয়ে দর্শকদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াল। ফলে গানের প্রতি যে মমত্ববোধ ও ভালোলাগা সেটাও কমতে শুরু করল। অনেকেরই ধারণা ছিল নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ের কাছে বোধহয় এসব গান খুবই জনপ্রিয়তা পাবে। চ্যানেল হিট হবে। কিন্তু তা কি হয়েছে? আসলে আজকালকার ছেলেমেয়েরা এখন হিন্দি গানও কম শোনে। এসব গান এখন গায়ে হলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থান করে নিয়েছে। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখন শোনে বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান কে পপ এর গান। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ঘরানার মিউজিক। ব্যাংটান বয়েজ বা বিটিএস, এক্সো, বিগব্যাং, গার্লস জেনারেশন, সেভেনটিন, ওয়ানা ওয়ান ইত্যাদি হচ্ছে কে-পপের জনপ্রিয় ব্যান্ড। শুধু বাংলাদেশেই নয়, দুনিয়াজোড়া জনপ্রিয় এই কে-পপ। ভক্তরা শুধু তাদের গানই নয়, এই ব্যান্ড তারকাদের বিভিন্ন ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্রের শোপিস, শার্ট, টি-শার্ট, অ্যালবামসহ নানান জিনিস সংগ্রহ করে থাকে। আমাদের দেশে অবশ্য এখন মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত টানা গানের এসব লাইভ শো কিছুটা কমেছে। এখন শুরু হয়েছে ইউটিউবে ‘গান ভাইরাল প্রতিযোগিতা’। কিন্তু শুধু ভিউ বা ভাইরাল হলেই যে শিল্পী জনপ্রিয় হয় না, কিংবা তাদের গান বেশিদিন টেকে না তার ভূরি ভূরি প্রমাণ আমরা অনেক ‘ভাইরাল’ গানেই পেয়েছি। বিষয়টি অনেকটা ঝড়ের মতো, ঘূর্ণি দিয়ে এলো আর গেল-থাকল না। টেবিল চাপড়ে গান গেয়েও অনেকে ভাইরাল হয়েছে। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানের এই অবস্থা দেখে এক শ্রেণির শিল্পী এখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে মিউজিক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ছাড়ছেন। প্রচুর ভিউ হচ্ছে। কিন্তু ইউটিউবে গান থাকলেও সব গান অন্তরে থাকছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাইরাল বা কোটি ভিউয়ের গান কেন দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে? কেন দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন করে নিতে পারছে না? এ ব্যাপারে খ্যাতিমান গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান তার ফেসবুকে বেশ আক্ষেপের সঙ্গে লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশের তথাকথিত ‘হিট’ গানগুলো নিয়ে একটা বিশ্লেষণমূলক বই লিখি। তাতে ভুল শব্দ, শব্দ ব্যবহারের ভুল, অর্থহীন শব্দ, বাক্যগঠনের ভুল, অসমাপ্ত বাক্য, ক্রিয়ার অপব্যবহার, ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড পারসনে সম্বোধনের গোঁজামিল, বিশেষ্য-বিশেষণের তালগোল পাকিয়ে ফেলা, ছন্দ ও অন্ত্যমিলের ধারণাহীনতা, উপমা-রূপকের ভুল প্রয়োগ, রুচিহীন শব্দ ব্যবহার এবং সম্পূর্ণটা মিলে অর্থহীনতা নিয়ে আলোচনা থাকবে।’ পরিশেষে তিনি লিখেছেন, ‘এত বিশাল পরিমাণ বাজে কিছু ঘাটা হয়তো আমার আয়ুষ্কালে কুলাবে না।’ এ থেকেই বোঝা যায়, গান-বাজনার অবস্থা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু সংগীতই নয়, নাটক-সিনেমার কথাই ধরি না কেন। বলতে গেলে দর্শকরা এখন টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা ছেড়েই দিয়েছেন। অধিকাংশই ইউটিউব নির্ভর। এর দুটো কারণ। এক, কর্মব্যস্ততার কারণে কোনো বেঁধে দেওয়া সময়ে অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকরা ইচ্ছুক নন। দুই, সময় থাকলেও অনেক নাটক সপরিবারে দেখার মতো নয়। কারণ নাটক থেকে এখন পারিবারিক পরিবেশ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোনো নাটকে কোনো সংলাপ বা কোনো দৃশ্য সন্তানের সামনে বাবা-মাকে কিংবা বাবা-মা’র সামনে সন্তানকে বিব্রত করবে কে জানে? তার প্রমাণ ইদানীং টিকটকে একটি চ্যানেলের চলমান ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের অভিনয় শিল্পীর মুখের একটি সংলাপ। যা শুধু অশ্রাব্যই নয় রীতিমতো অশ্লীল। ওই সংলাপটি কিভাবে ওই শিল্পী (!) উচ্চারণ করেছেন বা কারা করিয়েছেন তা কারওই বোধগম্য নয়। তাই রিমোট টিপে দর্শকদের এই অন্যত্র বিচরণ। ওয়েব সিরিজের অবস্থাও ছিল এমনই ভয়াবহ। যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরেও গেছে। সিনেমার অবস্থাও করুণ। সিনেমার সংখ্যা কমতে কমতে এমন পর্যায়ে এসেছে যে, কেউ ১০০ বা ২০০ সিনেমা বানাবার ঘোষণা দিলেও দর্শকদের তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না। তবে অনেকের জন্য আনন্দের সংবাদ হচ্ছে এখন সিনেমায় অভিনয় করতে পারলেই পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ ভাগ। কারণ এখন যে হারে সিনেমা কমতে শুরু করছে তাতে ভবিষ্যতে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পুরস্কার দেওয়ার শিল্পী খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তা ছাড়া এখন অধিকাংশ সিনেমাই দর্শকদের জন্য নয়, বানানো হয় পুরস্কারের জন্য। কে দেখল, কে দেখল না তাতে কিছু যায় আসে না। তবে পুরস্কারের দুয়ার খোলা। সিনেমার বাজেটও থাকে সেরকম। চ্যানেলে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হলেই হলো। তবে ছবি সম্পর্কে প্রচলিত অভিযোগটি এখনো রয়েছে, হলে গিয়ে সপরিবারে ছবি দেখা যায় না। আর ‘হল সংকট’ তো রয়েছেই। রয়েছে অর্থ সংকটও। এর উপর ইদানীং চেপে বসেছে করোনা দুর্যোগ। তাই সব মিলিয়ে বিনোদন জগতের বেহাল অবস্থা। এরপর আবার গত একটি বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক গুণী শিল্পীকে। যাদের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। তাই বিনোদন জগতে শিল্পী শূন্যতা বাড়ছেই।

আমরা একটি কথা জানি হুজুগে বাঙালি। ইদানীং আবার কিছু কিছু মিডিয়া হুজুগে চলে। তাদের বলা হয় হুজুগে মিডিয়া। নতুন কোনো খবর পেলে এক একটি মিডিয়া সেটাকে একেকভাবে দেখায় এবং ছাপায়। ইন্টারনেট আসার কারণে অনলাইনে এখন লেখার সঙ্গে দেখাও যায়। এসব ভিডিও যারা ধারণ করেন অনেক ক্ষেত্রে তারা পেশাদার নয়। তাই বুঝতে পারেন না কোন দৃশ্য প্রচার যোগ্য কিংবা কোনটি অযোগ্য। তাই তাদের মাধ্যমে যখন কারও চিত্রধারণ করা হয় এবং অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তিনি বিব্রত হন। কণ্ঠশিল্পী আকবরের কথাই ধরা যাক। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের সংবাদ প্রচার করেছেন, অডিও-ভিডিও এবং লেখায়। কিছু কিছু ভিডিও বেশ দৃষ্টিকটু ছিল। যেখানে শিল্পী আকবরের খালি গায়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। যদিও এদের কাউকে আকবরকে চিকিৎসা বা আর্থিকভাবে সহায়তা দিতে শোনা যায়নি।

এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রসঙ্গ। যাকে অসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বললে অত্যুক্তি হবে না। বিবিসি করোনা মহামারীর সময়ে কয়েকশ ভুয়া তথ্য নিয়ে তদন্ত করে বলেছে, ‘যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় তার মধ্যে তারকা বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রভাব বেশি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি শক্তি আছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের আগেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেক তথ্যের সাহায্যে গণমাধ্যমে খবর বের হয়। এমন বহু খবর আমরা দেখেছিও। ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যম আপনাকে দ্রুত তারকা বানাতে পারে। এই মাধ্যম যেমন আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ করেছে, তেমনি অনেকের কান্নারও কারণ হয়েছে। গুণীজনদের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে মৃত্যু সংবাদ প্রচার করে ভাইরাল হতে চেষ্টা করেছে। এটাকে ‘ভাইরাল’ না বলে ‘ভাইরাল প্রতারণা’ বলাই শ্রেয়। অতিসম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন গুণী মানুষ শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলী, এন্ড্রু কিশোর, আবদুল কাদের, সর্বশেষ এ টি এম শামসুজ্জামান এমনি আরও অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর অসুস্থতার সময় কিছু মানুষ নামের অমানুষ তাদের জীবিত অবস্থাতেই ফেসবুকে মৃত্যু সংবাদের গুজব রটিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করেছেন। আর এই মানুষগুলোর পরিবার ও স্বজনরা দেশ-বিদেশে অঝোরে কেঁদেছেন। এসব মিথ্যা তথ্য বা খবর মানুষকে যেমন কষ্ট দেয়, তেমনি মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য, গুজব সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যে কোনো পোস্ট বা খবরে লাইক, শেয়ার, কমেন্টের চাহিদা থাকতেই পারে কিন্তু অবশ্যই তা যেন ভুল বা ভুয়া তথ্যনির্ভর না হয়।

সবশেষে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে এই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি, রবিবার থেকে। মিডিয়ার প্রচার কল্যাণে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার দিনটাকে একটা উৎসবে পরিণত করা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ২/১ জন মন্ত্রীর ভ্যাকসিন নেওয়ার ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয় এবং তা ভাইরালও হয়। কারণ তাদের টিকা গ্রহণের সময় কেন্দ্রে বহু মানুষের সমাগম ঘটেছিল, মানা হয়নি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন। এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। এই টিকা নিয়ে যেন কোনো রিউমার না হয়।’ তবে টিকা নিয়ে কোনো রিউমার না হলেও তার টিকা গ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে বেশ হিউমার হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব না মানায়- প্রশ্ন জেগেছে টিকা দিতে গিয়ে আমরা কি স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করছি না? সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই টিকা দান কর্মসূচিতে প্রায় সব চ্যানেলের গণমাধ্যম কর্মীও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কার আগে কে এই মহামূল্যবান দৃশ্য ধারণ করতে পারে! ধারণ করা ঐসব দৃশ্য দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এ কি করোনা থেকে নিস্তার নাকি করোনা বিস্তার অনুষ্ঠান? এই ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিকে অনেকে করোনা শোডাউন হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

অথচ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টিকা গ্রহণও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দু’জনের চিত্র দেখা গেছে- বাইডেন এবং টিকা প্রদানকারী নার্স। একজন টিকা নিচ্ছেন, একজন দিচ্ছেন। এই একই ছবি সব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জো বাইডেনের মতো আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রাও টিকাদান কার্যক্রম এভাবে এক ক্যামেরায় ধারণ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠাতে পারতেন এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সেই দায়িত্বটি দেওয়া যেত। মিডিয়ার পক্ষ থেকেও এই অনুরোধটি করা যেত তাতে এখানে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরাও নিরাপদ বোধ করতেন। আর এটা করা হয়নি বলেই একটি শুভ উদ্যোগের শুরুতেই এই অশুভ আলোচনা।

আসলে আমাদের দেশে আগে সীমিতসংখ্যক পত্রিকা এবং রেডিও-টেলিভিশন ছিল। এখন অগণন গণমাধ্যম। ইন্টারনেটের কারণে এখন হাতে হাতে মোবাইল। আর মোবাইল মানেই প্রতি হাতে একটি করে চ্যানেল রয়েছে। সুতরাং যে যার মতো বলে যাচ্ছেন। যেখানে তথ্যের সত্য অসত্য নির্ধারণের কোনো উপায় নেই। তাই এসব ব্যাপারে প্রয়োজন আরও বেশি দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা-অনলাইনে, অফলাইনে-সব লাইনে।

 লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৪৪ সেকেন্ড আগে | ভোটের হাওয়া

যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ

৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি
অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১
রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!
দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা