বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানটি টাচ ডাউন করা মাত্র গোটা বাংলাদেশ উল্লাসে ফেটে পড়ে। রেডিও ও টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল সেই দৃশ্য। আমি দূরে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চার মহান নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আবু হেনা মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সঙ্গে নানা বিষয়ে গল্প করছিলাম। এ চারজনকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলাম তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর প্রথম সাক্ষাৎকারটা আমার চাই। সঙ্গে সঙ্গে নজরুল বললেন, আগে সিগারেটের প্যাকেট দাও। পাশ থেকে তাজউদ্দীন সাহেব বললেন, আপনি প্রথম সাক্ষাৎকার পাবেন। এখনো বিমানের দরজা খোলেনি।

লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছানোর আগেই তিনি দিল্লিতে এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছিলেন। পালাম বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিরোধী দলের নেতারা। দিল্লি থেকে সোজা ঢাকায়। কথা ছিল তিনি কলকাতায়ও নামবেন। কিন্তু সময়ের অভাবে নামতে পারেননি। যাই হোক, পাকিস্তান জেলে থাকার সময় তিনি জানতেন না তাঁর দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি ৭ মার্চ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া ঐতিহাসিক বক্তৃতায় বলেছিলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ‘শত্রুর’ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তাঁর ওই বক্তৃতা সম্পর্কে সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন আনন্দবাজার পত্রিকায় লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর পুরো দেশ বদলে যায়। জোরদার হয়ে ওঠে অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই হয়ে ওঠে সরকারি নির্দেশ। মানুষ, প্রশাসনও তা মানতে থাকে। ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর লিখেছেন, ১৯৭১-এর মার্চ মাসের অসহযোগ প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। অসহযোগ আন্দোলনের লক্ষ্য পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামো প্রত্যাখ্যান। শেখ মুজিবুর রহমান একটি সামগ্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই প্রতিরোধকে একটি রাষ্ট্র গঠনে বদলে দেন।

ইউনেস্কো এ ভাষণ যে তাদের তালিকাভুক্ত করল তার পরিপ্রেক্ষিত এই। পাকিস্তানের একটি প্রদেশ বিক্ষুব্ধ। বাঙালিরা যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের ওপর সংখ্যালঘিষ্ঠরা সব চাপিয়ে দিয়েছিল। বাঙালিদের নেতা তাদের এ থেকে মুক্ত করতে চান। সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধান চান। আবার সংখ্যাগরিষ্ঠকে ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও আন্দোলনরত অবস্থায় রাখতে চান। এ বক্তৃতা তারই প্রতিফলন।

১২ তারিখ ফোন করে ওই চার নেতাকে আবার স্মরণ করিয়ে দিলাম আমার সাক্ষাৎকারের কী হবে? উত্তরে তাজউদ্দীন সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করে বললেন, আপনাকে তো কথা দিয়েছি ভারত, বাংলাদেশ বা বিশ্বের কোনো সাংবাদিক আপনার আগে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার পাবে না। ১৩ তারিখ রাত ৯টা নাগাদ আমার হোটেলে ফোন করে কামারুজ্জামান সাহেব বললেন, কাল সকাল ৯টায় তুমি হোটেলের সামনে দাঁড়াবে। কোথায় যাব, কী করব কিছুই বলেননি। তখন আনন্দবাজারের বর্তমান সম্পাদক অরূপ সরকারও হোটেলেই ছিলেন। ঠিক সময়মতো গাড়ি এসে দাঁড়াল। আমাদের নিয়ে গেল ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে। গিয়ে দেখি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দীন সাহেব আগেই পৌঁছে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় বাড়ি? এপারে না ওপারে? আমি বললাম বরিশালে। তিনি আমাদের বললেন, আপনি আসুন দেখাচ্ছি। তিনি আমাদের দেখালেন তাঁর প্রিয় রবীন্দ্র রচনাবলিসহ বেশ কিছু বই পাকসেনারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। তখন তাঁর দুই চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। চোখ মুছে আমাকে বললেন- ‘ওরা আমার ৩০ লক্ষ লোককে মেরে দিয়েছে। আপনারা আমাদের ১ কোটির ওপর মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ কথার ফাঁকে অরূপ বাবু আমাকে ইঙ্গিতে বললেন, বলে দিন দু-তিন দিনের মধ্যে রবীন্দ্র রচনাবলি তিনি পেয়ে যাবেন। উনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, কী করে পাব? আমরা বললাম, সেটা আমরা দেখছি।

কলকাতায় ফোন করে অরূপ বাবু জানিয়ে দিলেন। তখন ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে কোনো বিমান চলাচল শুরু হয়নি। আমি ও অরূপ বাবু বিমানবন্দর থেকে রবীন্দ্র রচনাবলির প্যাকেট নিয়ে সোজা ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে চলে গেলাম। তিনি ওই প্যাকেট দেখেই জড়িয়ে ধরে বললেন, তোমরা আমার বাড়িতে খেয়ে যাবে। তাঁর আনন্দ দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন রবীন্দ্রনাথকেই কাছে পেয়ে গেছেন।

সেদিন খেতে খেতে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আপনি দেশে ফেরার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদ ত্যাগ করে কেন প্রধানমন্ত্রী হলেন। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। তাদের সকলের ভোটেই আমরা নির্বাচিত। তাই সরকারে অংশ নেওয়াটা খুব জরুরি।’ তাঁর সঙ্গে কামাল হোসেনকেও পাকিস্তানিরা গ্রেফতার করেছিল। কামাল হোসেন আমাকে বলেছিলেন, লন্ডন থেকে দিল্লি আসার পথে বিমানে বঙ্গবন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, তিনি আর রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন না। দিল্লিতে তিনি বিষয়টি নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীও তাঁকে সেই পরামর্শ দেন বলে কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু কলকাতার লোকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য দেশে ফেরার চার সপ্তাহের মধ্যে কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি আজকের দিনে (১৭ মার্চ) তাঁর জন্মদিনে ঢাকা সফরের জন্য ইন্দিরা গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ কথাও বলেন, তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন একটি শর্তে। শর্তটি হলো, ১৩ মার্চের মধ্যে ভারতের সমস্ত সেনা বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু প্রবল আপত্তি জানান। ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, বাংলাদেশে একজন ভারতীয় সিপাই থাকতে আমি ঢাকায় যাব না। আমি নিক্সন-ভুট্টোদের বলতে দেব না, ভারতীয় সেনাদের পাহারায় আমি ঢাকায় গেছি। ইন্দিরা তাঁকে আশ্বস্ত করে বললেন, আমি ভারত থেকে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে পাঠিয়ে দেব বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য। সেই সঙ্গে অর্থ সাহায্যও করব। সেদিন সাংবাদিকদের এ কথা-কাটাকাটি দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন ভাই-বোনের ঝগড়া হচ্ছে।

তখনো ভারতের কোনো হাইকমিশনার ঢাকায় নিয়োগ করা হয়নি। ইন্দিরা গান্ধীকে বঙ্গবন্ধু অনুরোধ করেছিলেন, স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের প্রথম বিদেশ ও কমনওয়েলথ সচিব সুবিমল দত্তকে ঢাকায় হাইকমিশনার করে পাঠাতে। সুবিমল বাবুর নিজের ভাষায়, অবসর নেওয়ার ১৮ বছর পরে এই বয়সে আমি ঢাকায় যেতে চাই না। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর কথাতেই তিনি দুই বছরের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন ১৩ মার্চ।

১৭ মার্চ বেলা ১০টা নাগাদ ইন্দিরা গান্ধী ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছলেন। বঙ্গবন্ধু বেগম মুজিবকে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে বিমানবন্দরে আন্তরিক সংবর্ধনা জানালেন। সেদিন রাস্তায় লাখ লাখ লোক দাঁড়িয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে দেখার জন্য। কিন্তু ভোর হওয়ার আগেই ভারতীয় গোয়েন্দারা ঢাকাকে জানিয়ে দিয়েছিল, খোলা রাস্তায় ঢাকার রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে। তাই তেজগাঁও থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ইন্দিরা গান্ধী হেলিকপ্টারে গেলেন।

বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব, তাঁর ছেলেমেয়েরা ছাড়া রাষ্ট্রপতি ভবনে কেক কাটার জন্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের দুজনের সম্পর্ক ঘিরে যেসব ঘটনা দেখেছি ও শুনেছি, তা লিখলে এক মহাভারত হয়ে যাবে। আমি প্রতিদিন বিকালে গণভবনে যেতাম। অনেক ঘটনার আমি সাক্ষী, যা আমি লিখতেও চাই না। কারণ আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে এক দিন প্রশ্ন করেছিলাম, লন্ডনে তারাদার বাড়িতে আপনার সঙ্গে মিসেস গান্ধীর দেখা হয়েছিল এবং পাঁচ ঘণ্টা কথা হয়েছিল। আপনার প্রতিক্রিয়া কী ছিল? উনি আমাকে ধমকের সুরে বললেন, মিসেস গান্ধী কে? আপনি কি আমার দিদির কথা বলছেন? ইন্দিরাদির কথা। এরপরই, তুমি কী করে খবরটা পেলে? আমি বললাম, তারাদা আমাকে বলেছেন, আপনাদের ওই সাক্ষাৎকারের কয়েক মাস পরে আমি লন্ডন গেছিলাম। আমি বললাম নাথ বাবুও বলেছেন। উনি বললেন, তুমি এসব লিখছ না তো? আমি বললাম- না, তা লেখা যায় না। দুই দেশের স্বার্থেই। বাংলাদেশ এখন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র।

ইন্দিরা গান্ধীর সফরের পর ভারত থেকে ঢাকার ফ্রেন্ডশিপ বিমান বাংলাদেশকে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু অনুরোধ করেছিলেন। তাঁরা দিল্লি সফর করে গিয়ে গণভবনে জানাচ্ছিলেন, ওই বিমান দিতে অস্বীকার করেছে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস। বঙ্গবন্ধু অফিসারদের ধমক দিয়ে বললেন, কোন বিমানটা? আমাকে লিখে দাও তো সব। তিনি অফিসারদের বের করে দিয়ে সরাসরি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কথা বললেন। তাঁর বাড়ি এবং অফিসে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সরাসরি লাইন ছিল। বঙ্গবন্ধু বেরিয়ে এসে বললেন, কাল সকাল ১১টায় ওই বিমান তেজগাঁও আসবে। তোমরা রিসিভ কর। যাও।

আরেকটি ঘটনা আমার চোখের সামনে ভাসছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। দ্বিতীয় বিজয় দিবস। সেদিন গণভবনে যাইনি শরীর খারাপ ছিল বলে। শীতের সন্ধ্যায় তাঁর প্রচার সচিব বাদশা ফোন করে বললেন, আপনাকে বঙ্গবন্ধু খোঁজ করছেন। আপনি গণভবনে যাননি। আপনাকে ৩২ নম্বর-এ যেতে বলেছেন। আপনার হোটেলে গাড়ি পৌঁছে গেছে। আপনি চলে যান। আমি ৩২ নম্বর পৌঁছে দেখি বঙ্গবন্ধু গেটে দাঁড়িয়ে তিনজন অফিসারকে খুব বকাবকি করছেন। উনার এমন মেজাজ আমি কখনো দেখিনি। বিষয়টি ছিল, পরের দিন বিজয় দিবসে কাটানোর মতো তোপ (শেল) বাংলাদেশ সেনার কাছে নেই। অফিসাররা বলছিলেন সব পাকিস্তানিরা নিয়ে গেছে। দৃশ্যতই উত্তেজিত বঙ্গবন্ধু তাঁদের দাঁড় করিয়ে রেখে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলেন। ফোন করলেন ইন্দিরা গান্ধীকে। একটু পরেই নেমে এসে তাদের বললেন, রাত দেড়টার সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে শেল আসবে। তোমরা সেগুলি নিয়ে নিও।

আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করছি। ’৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনের পর খরায় প্রায় দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর ক্যাবিনেটের খাদ্যমন্ত্রী ফণী মজুমদারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতের খাদ্যমন্ত্রী বাবু জগজীবন রামের সঙ্গে কথা বলে ধান ও গম (৩ লাখ টন করে) আনার ব্যবস্থা করতে। তো ফণীদা আমাকে ধরে বললেন, আনন্দবাজারের রণজিৎ রায়কে ধরে ভারতের খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দিতে। রণজিৎদা আর ফণীদা পরস্পর বন্ধু ছিলেন। আমাদের ফোন পেয়ে রণজিৎদা (দিল্লিতে থাকতেন) অ্যাপয়েন্ট করে ফণীদাকে জানিয়ে দিলেন। আগামীকাল দিল্লিতে এসে দেখা করার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ফণীদা সেই মতো দিল্লিতে বাবু জগজীবন রামের কাছে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বার্তা দিলেন। সেই শুনে হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, আপনার চাল-গম ট্রেনে উঠে রওনা হয়ে গেছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছে যাবে। ফণীদা বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। তাঁকে নির্দেশ দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু নিজেই ফোন করে চাল ও গমের ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন।

 

লেখক : প্রবীণ সাংবাদিক [ভারত]।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর