বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

স্বর্ণ শুধু বিলাসিতার জন্য নয়, সঞ্চয়ও

গুলজার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্ণধার, আপন জুয়েলার্স

স্বর্ণ শুধু বিলাসিতার জন্য নয়, সঞ্চয়ও

আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ বলেছেন, স্বর্ণ শুধু বিলাসিতার জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করা যায়, মুনাফাও ভালো। ২০ বছর আগের তুলনায় স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। অন্য কোনো খাতে বিনিয়োগ করলে এত লাভ হয় না। যখন স্বর্ণের ভরি ২৫ হাজার টাকা ছিল তখন আমরা মনে করছিলাম আর কেউ স্বর্ণ কিনবে না। এখন ১ লাখ টাকার দ্বারপ্রান্তে তার পরও ক্রেতা স্বর্ণ কিনছে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি স্বর্ণের দাম এত বাড়বে।

তিনি বলেন, একটি শাখা দিয়ে আপন জুয়েলার্সের যাত্রা হয় ১৯৮০ সালে। বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় আটটি শাখা রয়েছে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা কোয়ালিটি কন্ট্রোল করে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছি। আমরা যখন ব্যবসা শুরু করি, তখন গোল্ডের কোয়ালিটি ছিল না। এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করেছি কীভাবে আমাদের তৈরি অলংকার দেশে বিক্রির পাশাপাশি রপ্তানি করা যায়।    

তারই ধারাবাহিকতায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কাস্টমসের সহযোগিতায় ১৯৯৬ সালে দুবাই, বাহরাইন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের স্বর্ণের গহনা প্রদর্শন করি। কিন্তু নীতিমালার অভাবে তখন আমরা রপ্তানি করতে পারিনি। ২০০৭ সালে জুয়েলারি সেক্টরে বিশাল পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক দিলদার আহমেদ ও সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ খানের ঐকান্তিক পরিশ্রমে মানোন্নয়নে পরিবর্তন আসে। সে সময় আপন জুয়েলার্সই জার্মানির কোয়ালিটি কন্ট্রোল মেশিন দিয়ে স্বর্ণালংকার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে। গত বছর আমরা জানতে পারি বসুন্ধরা গ্রুপ গোল্ড রিফাইনারি করবে। আশা করি বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে খ্বু শিগগিরই গোল্ড পাব। তখন এসব সমস্যা দূর হবে। জনাব সায়েম সোবহান আনভীর সাহেব বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। জুয়েলারি খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনাও করছেন।

সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের কোনো হিসাব ছিল না। তিনি সারা দেশের ব্যবসায়ীদের এক ছাতার নিচে আনার উদ্যোগ নেন। দেশের প্রতিটি জেলার জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হয়। তারই আলোকে গত দেড় বছরে প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪০ হাজারের বেশি সদস্য তৈরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। জুয়েলারি শিল্পে মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। বৃহৎ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি জনাব সায়েম সোবহান আনভীর চেষ্টা করছেন এ শিল্পকে কীভাবে বিশ্বদরবারে নেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর