বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন আরচারির জার্মান কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন আরচারির জার্মান কোচ

টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে কাগজের তৈরি মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কোচ ফ্রেডরিখ

চুক্তিতে স্বাক্ষর করে আরচারির জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ বলেছেন, তিনি অলিম্পিকে বাংলাদেশকে পদক এনে দিতে চান। ছেলেরা তার প্রশিক্ষণ ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিক গেমসেই পদক জেতা সম্ভব। আর ২০২৪ সালে পরবর্তী অলিম্পিকে বাংলাদেশ সোনার পদকও জিততে পারে। নতুন কোচের এ ধরনের কথা শুনে সবাই অবাক। কেননা যেখানে এশিয়ান পর্যায়েও বাংলাদেশ এখনো পদক জিততে পারেনি, সেখানে এত তাড়াতাড়ি অলিম্পিকে আরচারিতে পদক জেতার আশা কীভাবে করেন। জার্মান কোচ জোর গলায় বলেছেন, ‘আমি জার্মানি ও চিলির কোচ ছিলাম। চিলিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করিয়েছি। আমি জানি পদক জিততে কী কী করতে হবে খেলোয়াড়দের। মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। ছেলেদের অনেক যাচাই-বাছাই করে দেখব। আমার বিশ্বাস তারা একটা ভালো জায়গায় দাঁড়িয়ে যাবে এবং অলিম্পিকে পদক জেতার জন্য লড়াই করবে।’

এর আগে বিদেশি কোচ এসেছেন আরচারিতে। কিন্তু কেউ অলিম্পিকে পদক জেতার সম্ভাবনার কথা বলেননি। ফ্রেডরিখ তা বলে ক্রীড়াঙ্গনে আলোচিত হয়ে উঠেছেন। ফ্রেডরিখের আরেকটি বিষয় সবার চোখে পড়েছে। গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে তিনি ভোলেননি। শহীদ মিনারে না যেতে পারলেও গতকাল সকালে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে তীরন্দাজদের নির্মিত কাগজের তৈরি মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এই জার্মান কোচ। বিষয়টির প্রশংসা করেছেন সবাই। আগের রাতে আরচারদের কাছে শহীদ দিবস সম্পর্কে জেনেছিলেন ফ্রেডরিখ। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের আত্মত্যাগের কথা জেনে তিনি শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আরচাররাও স্টেডিয়ামের এক কোণে তৈরি করে ফেলেন অস্থায়ী শহীদ মিনার।

গতকাল সকালে অনুশীলন শুরুর আগে সেই মিনারে খালি পায়ে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান ফ্রেডরিখ। পাশাপাশি কয়েকটি বাংলা বাক্যও উচ্চারণ করেন। এ সময় অনুশীলনরত জাতীয় দলের সব আরচার উপস্থিত ছিলেন। ফ্রেডরিখ বলেছেন, ‘ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে গর্ববোধ করছি। কেননা কোনো দেশই মাতৃভাষার জন্য নিজের প্রাণ বিলিয়ে দেয়নি। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকব। এরই মধ্যে আমি বাংলা ভাষা ভালোভাবে শিখতে পারব আশা রাখি। তবে এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’ ফ্রেডরিখ জানান, সুযোগ পেলে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখবেন।

সর্বশেষ খবর