শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

চোখ থাকবে জীবন-মতিনের দিকে

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতিম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চোখ থাকবে জীবন-মতিনের দিকে

কম্বোডিয়ায় অনুশীলনে জাতীয় ফুটবল দল

কোনো বিরতি ছাড়াই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ফুটবলে দেশসেরা এই আসর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে। আগামীকাল কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ। এরপর আবার কাতারে ক্যাম্প করে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাই পর্বে অংশ নেবে বাংলাদেশ। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীরও এএফসি বাছাই পর্বের সিডিউল রয়েছে। এসব কারণেই প্রায় এক মাস লিগ বন্ধ থাকবে। এই সুযোগে অধিকাংশ দলের বিদেশি কোচ ও খেলোয়াড়রা ছুটি কাটাতে দেশে যাবেন। দর্শক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য না হলেও এখনই শিরোপা লড়াই ভালোভাবেই জমে উঠেছে।

বসুন্ধরা কিংস ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকা আবাহনী ১০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্টে তৃতীয় স্থানে। সাইফ স্পোর্টিং ১৭ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে। এখন পর্যন্ত দুই বিদেশি ফুটবলার আবাহনীর সানডে চিজোবা ও মুক্তিযোদ্ধার বাল্লো ফামুসা যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে আছেন। দুজনারই গোল সংখ্যা ৭টি। অবশ্য ফামুসা হ্যাটট্রিকও করেছেন।

গত কয়েক বছর স্থানীয়রা গোল খরায় ভুগলেও এবার দৃশ্যটা ভিন্ন। আরামবাগের জাহিদ হাসান ও ঢাকা আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন দুজনায় ৬ গোল করেছেন। হ্যাটট্রিক করেছেন দুই ফুটবলার। বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া ৪ গোল করেন। স্থানীয়রা গোল পাওয়ায় জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে খুশি। তাই আগামীকাল কম্বোডিয়ার বিপক্ষে চার স্ট্রাইকারকেই খেলাতে পারেন।

গত বছর ঘরের মাঠেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। ফুটবলপ্রেমীরা যেখানে শিরোপা আশা করেছিলেন সেখানে কিনা স্বাগতিকরা সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেমিফাইনাল খেললেও ফাইনালে যাওয়া হয়নি। কম্বোডিয়া ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলেও দল হিসেবে ততটা শক্তিশালী নয়। তারা ১৭২তম অবস্থানে বাংলাদেশ আছে ১৯২-এ। ২০০৯ সালে ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ২-১ গোলে কম্বোডিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে নেহেরু কাপে ১-১ গোলে ড্র হয়।

সমমানের দলের সঙ্গে বাংলাদেশ জেতার সামর্থ্য রাখে। জিতলে র‌্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা উন্নতি ঘটবে। তবে কোচ জেমি ডে চাচ্ছেন অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট খেলার আগে শিষ্যদের পারফরম্যান্স ঝালাই করে নিতে। তাছাড়া জাতীয় দলের জয় পাওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে করে ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলাররা কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। ঢাকা ছাড়ার আগে জেমি ডে জয়ের ব্যাপারে জোরালোভাবে কিছুই বলে যাননি। বলেছেন আশা করি ছেলেরা ভালো খেলবে। পেশাদার লিগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জেমি ডে নিজে দেখেছেন। স্থানীয়দের পারফরম্যান্সে খুশি। দমের উন্নতি তিনি লক্ষ্য করেছেন। সুফিল, জনি, রবিউল, বিপলু, জীবন, মতিন মিয়াদের প্রশংসা করেছেন।

বিশেষ করে জীবন ও মতিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ‘ওরা গোল পাচ্ছে এটা শুধু দল নয়, বাংলাদেশের জন্য খুশির সংবাদ। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে দুজনা সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই বিজয় সম্ভব।’ কোচের কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তার চোখ থাকবে এই দুই খেলোয়াড়ের ওপর। জনি কিংবা সুফিলকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন।

এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাহরাইনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বাহরাইন, ফিলিস্তিন ও শ্রীলঙ্কা। তাই কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন ইংলিশ এই কোচ। ১০ মার্চ দেশে ফিরেই পরদিন কাতারে যাবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। এখান থেকেই ২০ মার্চ যাবে বাহরাইনে।

সর্বশেষ খবর