বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচন ৮ এপ্রিল। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি শেষ হয়েছে। বাছাই, আপিল, শুনানি ও প্রত্যাহার পর্ব শেষে ৪ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ সহ-সভাপতি, এক সাধারণ সম্পাদক, দুই যুগ্ম সম্পাদক, এক কোষাধ্যক্ষ ও ১৯টি সদস্য পদে নির্বাচন হবে। দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেক ও সাবেক তারকা খেলোয়াড় সাজেদ এ এ আদেলকে নিয়ে এক প্যানেল। অন্য প্যানেলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ কে এম মমিনুল হক সাইদ যিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে তাই প্রার্থীদের ব্যস্ততার শেষ নেই। ভোট পেতে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন তারা। নির্বাচনে জয়-পরাজয় হবে এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। কিন্তু এবারের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব অভিযোগ উঠছে তা হকির জন্য সুখকর নয়। ক্রীড়াঙ্গনের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা চাচ্ছেন হকির উন্নয়নের স্বার্থে সমঝোতামূলক কমিটি গঠন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও চাচ্ছেন যোগ্য লোকদের নিয়ে সমঝোতার কমিটি গঠন হোক। সমঝোতা করে শেষ পর্যন্ত কমিটি গঠনের সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়। উত্তেজনা দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচনের পথেই এগুচ্ছে হকি ফেডারেশন। দেশ নন্দিত সংগঠকরা চান
ক্রীড়াঙ্গনের গুণীজনরা উপস্থিত ছিলেন। সবারই একমত হকির উন্নয়নে যোগ্য সংগঠকদের নিয়ে সমাঝোতার কমিটি হোক। নির্বাচন ঘিরে হকিতে অস্থিরতা কেউ চায় না। এখন যদি কেউ সমঝোতায় না আসে তাহলে নির্বাচন হবে। আর এই নির্বাচনে আমাদের সংগঠন পূর্ণ সমর্থন দেবে সাদেক প্যানেলকে।’ মিকু বলেন, ‘হকিতে সাদেক ভাইয়ের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বয়স হলেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুই প্রতিমন্ত্রী বিপু ও শাহরিয়ারও চান হকির চাকা সচল রাখতে যোগ্যরাই দায়িত্ব পাক। বৈঠকে ক্লাব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও জেলা বিভাগীয় সংগঠক মিলিয়ে প্রায় ৫৫ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। যেখানে টোটাল কাউন্সিলরের সংখ্যা ৮৪ জন।