রবিবার, ২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্মৃতিতে প্রোভিডেন্সের সেই ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এক যুগ আগে ২০০৭ সালে প্রোভিডেন্সে বাংলাদেশ যখন মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার, তখন শক্তির বিচারে বেশ পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। র‌্যাঙ্কিংয়ে পার্থক্য ছিল অনেক। কিন্তু ক্রিকেটে শক্তি কিংবা র‌্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্য যে কোনো প্রভাব ফেলে না, বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছিল ২০০৭ সালের ৭ এপ্রিল। নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার বহু রেকর্ডের মালিক টাইগাররা সেদিন থমকে দিয়েছিল প্রোটিয়াসদের। স্বপ্নের ব্যাটিং করে মোহাম্মদ আশরাফুল একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন জ্যাক ক্যালিস, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, হার্শেল গিবসদের দম্ভকে। আশরাফুলের অতি মানবীয় ৮৭ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৭ রানে হারিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হারিয়েছে পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিকে। কিন্তু প্রোভিডেন্সে প্রোটিয়াসদের বিপক্ষে জয়টি এখন পর্যন্ত সেরাদের তালিকাতেই রয়েছে।      

প্রোভিডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা বধের নায়ক আশরাফুল এখন ইংল্যান্ডে। সেখানে তিনি প্রিয় বাংলাদেশের খেলা উপভোগ করবেন। তাই ঐতিহাসিক ম্যাচটি কোনো কিছুই শোনা হয়নি তার মুখ থেকে। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে টাইগাররা হারিয়েছিল শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দার শেভাগ, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারতকে। প্রথমবারের মতো সুপার এইটে খেলতে নেমেই চমকে দিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্বকে। শন পোলক, আন্দ্রে নেল, মাখায়া এনটিনি, ক্যালিসদের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল, আশরাফুল, জাভেদ ওমর, মাশরাফি, আফতাবরা। তামিম ৩৮, আফতাফ ৩৫, মাশরাফি ২৫ রান করেন। কিন্তু ম্যাচসেরা আশরাফুল ছিলেন টর্নেডো মেজাজে। ৮৭ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংসটি খেলেছিলেন মাত্র ৮৩ বলে ১২ বাউন্ডারিতে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেমে গিয়েছিল ১৮৪ রানে। প্রোটিয়াসদের ৪৮.৪ ওভারে গুটিয়ে দিয়েছিল তিন বাঁ হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক, আব্দুর রাজ্জাক রাজ ও সাকিব আল হাসান। তিন বাঁ হাতি স্পিনার ২৯.৪ ওভারে ৯৬ রানের খরচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ১২ বছর আগের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচটির চার ক্রিকেটার মাশরাফি, তামিম, সাকিব ও মুশফিক আজও খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

সর্বশেষ খবর