সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পেসারদের চেয়েও মিতব্যয়ী স্পিনাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেসারদের চেয়েও মিতব্যয়ী স্পিনাররা

তিন অংকের জাদুকরী ইনিংস খেলে প্রশংসায় ভাসছেন সাকিব আল হাসান। বড় ব্যবধানে হার, দুর্বল বোলিং, হতশ্রী ফিল্ডিং, একাদশ এবং টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে সমালোচনায় এফোর-ওফোর হচ্ছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অথচ এই একাদশ নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মামুলি স্কোর নিয়েও লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের আক্রমণে বেসামাল হয়ে পড়ে টাইগার বোলিং। হতশ্রী বোলিং ও ফিল্ডিং করে হেরে যায় ১০৬ রানে। পর্বতসমান ব্যবধানে হারের পর প্রশ্ন উঠেছে, এই বোলিং অ্যাটাক নিয়ে পারবে কি স্বপ্নের সেমিফাইনাল খেলতে? পারবে কি না, সময়ের ব্যাপার। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে স্পিনারদের তুলনায় পেসাররা অনেক বেশি খরুচে বোলিং করছেন।

কার্ডিফে এর আগে কখনো হারেনি টাইগাররা। এই ভেন্যুতে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে এবং ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারান মাশরাফিরা। শনিবারের ম্যাচের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড হওয়ার পরও স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। টস জিতে ব্যাটিং স্বর্গে মাশরাফির আগে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে  চমকে গেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, কার্ডিফের আবহাওয়ার বিবেচনায় মাশরাফির ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। যদিও টাইগার বোলাররা কোনো চাপে ফেলতে পারেনি ইংলিশ বোলারদের। মাশরাফি টানা তিন ম্যাচের ব্যর্থতা পুষিয়ে উইকেট নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৮। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ওভার প্রতি ৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৭৫। সাইফুদ্দিন ২ উইকেট পেলেও ৮.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৭৮। রানের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেসারদের অবস্থা একেবারেই যাচ্ছেতাই। যদিও সাইফুদ্দিনের ৩ ম্যাচে উইকেট ৬টি। অথচ ২৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৭.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ১৭৬। ইংলিশ উইকেটে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ মুস্তাফিজ তিন ম্যাচে ২৬.১ ওভারে ৪ উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ১৯০। মাশরাফি ২১ ওভারে রান দিয়েছেন ১৪৯। পেসারদের তুলনায়  মিতব্যয়ী স্পিনাররা। ব্যাটে দারুণ উজ্জ্বল সাকিব তিন ম্যাচে ৩০ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ১৬৮। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৭১। মেহেদী হাসান মিরাজ সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন প্রতিপক্ষের। ইংলিশদের বিপক্ষে ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৭। তিন ম্যাচে ৩০ ওভারে ৫.২৬ স্ট্রাইক রেটে রান দিয়েছেন ১৫৮। সাকিবের স্ট্রাইক রেট ওভার প্রতি ৫.৬০। মোসাদ্দেক তৃতীয় স্পিনার হিসেবে বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন ২টি।

রান বন্যায় ভেসে থাকা বিশ্বকাপে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররাই তুলনামূলক সফল। এমন পরিসংখ্যান যাদের, সেসব স্পিনার ও পেসারদের নিয়ে বাংলাদেশ পারবে কি স্বপ্নের সেমিফাইনাল খেলতে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর