বুরুন্ডি ফুটবল দলের ম্যানেজার কনস্ট্যাটিন মুতিমার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেল, যোসপিন শিমিরিমানা একজন উঠতি ফুটবলার। বয়স খুব একটা নয়। জাতীয় দলের জার্সিতে আগে কখনো খেলেননি। অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে চমক দেখিয়ে জাতীয় দলে স্থান পেয়েছেন। আর প্রথম সুযোগেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। বুরুন্ডির এই তরুণ ফুটবলার চলমান বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে এখন পর্যন্ত ৪ গোল করে এককভাবে শীর্ষে আছেন। প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও একটা গোল করেছেন। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ বড় বিপদের কারণ হতে পারেন এই শিমিরিমানা। তবে ‘টোটকা’ প্রস্তুত আছে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডেরও।
গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো ফুটবল উপহার দিয়েছেন সিলেটের ছেলে মতিন মিয়া। দুটি গোল করেছেন তিনি। এর মধ্যে তার একটা গোল নিয়ে সাড়া পড়ে গেছে ফুটবল অঙ্গনে। তিন জন ডিফেন্ডার এবং গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে গোলটা করেছেন মতিন মিয়া। অনেকেই বলছেন, বহু বছর ধরে এমন গোল বাংলাদেশের কেউ করেনি। মতিন মিয়ার এই উত্থানের পিছনে কোচ জেমি ডের পরিশ্রম অনেকটাই সফল। ঘষে-মেজে সম্ভাবনাময় একজন ফুটবলারকে নিখুঁত করে গড়ে তুলছেন এই ইংলিশ কোচ। তবে এখনই মতিন মিয়ার উপরে বড় কোনো দায়িত্ব দিতে রাজি নন জেমি ডে। তিনি বলেন, ‘মতিন মিয়া একটা ম্যাচে খুবই ভালো খেলেছে। তবে ওটা কেবলই একটা ম্যাচ। এর উপর ভিত্তি করে আমি তার উপর গুরুভার দিতে চাই না। চাপ দিতে গেলে স্বাভাবিক খেলাটা সে খেলতে পারবে না। তার চেয়ে বরং মতিন মিয়া নিজের খেলাটাই খেলে যাক। এতেই দল উপকৃত হতে পারবে আশা করি।’ কোচ অনেকটাই দায়িত্বমুক্ত করে দিলেন মতিন মিয়াকে। এবার দেখা যাক, শিমিরিমানার বিপক্ষে মতিন মিয়ার লড়াই কী ফলাফল বয়ে আনে বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীদের জন্য!